বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়।
স্বাধীনতা আল্লাহ প্রদত্ত একটি নেয়ামত। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আল্লাহর এই নেয়ামতকে সুনিশ্চিত করেছে।
আরবি ভাষার একটি প্রবচন হব্বুল ওয়াতান মিনাল ইমান। যার অর্থ- দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ। জন্মভূমি মক্কার প্রতি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপরিসীম ভালোবাসার কথা আমাদের জানা। প্রতিপক্ষ মুশরিকদের হিংস্রতায় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যেতে বাধ্য হন। তিনি যখন পবিত্র মদিনার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তখন পেছন ফিরে প্রিয় মাতৃভূমির দিকে তাকাচ্ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হে মক্কা প্রিয় জন্মভূমি আমার! যদি তোমার অধিবাসীরা আমাকে বাধ্য না করত আমি কোনোদিন তোমাকে ছেড়ে যেতাম না।
হাদিসের বর্ণনায় আছে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফকেও খুব ভালোবাসতেন।
কোনো সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকালে মদিনার সীমান্তে উহুদ পাহাড় চোখে পড়লে নবীজীর চেহারাতে আনন্দের আভা ফুটে উঠত এবং তিনি বলতেন, এই উহুদ পাহাড় আমাদের ভালোবাসে, আমরাও উহুদ পাহাড়কে ভালোবাসি। (বুখারি, মুসলিম)।
তাফসিরে কুরতুবিতে বর্ণনা করা হয়েছে, যখন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জন্মভূমি মক্কা নগরী ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করছিলেন, তখন তার চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠেছিল। দেশের জন্য, জন্মভূমির জন্য রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মায়া ও ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। পরবর্তীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় হাবিবের মাধ্যমে মক্কাকে মুশরিকদের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে, স্বাধীনতা দিয়ে ধন্য করেছেন।
হিজরতের পর মদিনায় হজরত আবুবকর (রা.) ও হজরত বেলাল (রা.) জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় তাদের মনে প্রিয় স্বদেশ মক্কার স্মৃতিচিহ্ন জেগে উঠেছিল। তারা জন্মভূমি মক্কার কথা স্মরণ করে আবেগে আপ্লুত হয়ে কবিতা আবৃত্তি করতে লাগলেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের মনের এ দুরবস্থা দেখে প্রাণভরে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! আমরা মক্কাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি তার চেয়েও বেশি মদিনার ভালোবাসা আমাদের অন্তরে দান করুন। ’ (বুখারি শরিফ)।
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে স্বদেশকে ভালোবেসে আমাদের জন্য দেশপ্রেমের আদর্শ রেখে গেছেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্বদেশ মক্কাকে ভালোবাসতেন, মক্কার জনগণকে ভালোবাসতেন। তাদের আল্লাহর পথে আনার জন্য তিনি অপরিসীম অত্যাচার সহ্য করেছেন। তারপরও কখনো স্বদেশবাসীর অকল্যাণ কামনা করেননি। তায়েফে নির্যাতিত হওয়ার পরও কোনো বদদোয়া করেননি।
আমাদের স্বাধীনতা এসেছে রক্তের বিনিময়ে। জঙ্গি নামের ইসলামের ভেকধারীরা এ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আল্লাহ তাদের ষড়যন্ত্র থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন।
স্বাধীনতা আল্লাহ প্রদত্ত একটি নেয়ামত। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আল্লাহর এই নেয়ামতকে সুনিশ্চিত করেছে।
আরবি ভাষার একটি প্রবচন হব্বুল ওয়াতান মিনাল ইমান। যার অর্থ- দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ। জন্মভূমি মক্কার প্রতি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপরিসীম ভালোবাসার কথা আমাদের জানা। প্রতিপক্ষ মুশরিকদের হিংস্রতায় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যেতে বাধ্য হন। তিনি যখন পবিত্র মদিনার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তখন পেছন ফিরে প্রিয় মাতৃভূমির দিকে তাকাচ্ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হে মক্কা প্রিয় জন্মভূমি আমার! যদি তোমার অধিবাসীরা আমাকে বাধ্য না করত আমি কোনোদিন তোমাকে ছেড়ে যেতাম না।
হাদিসের বর্ণনায় আছে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফকেও খুব ভালোবাসতেন।
কোনো সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকালে মদিনার সীমান্তে উহুদ পাহাড় চোখে পড়লে নবীজীর চেহারাতে আনন্দের আভা ফুটে উঠত এবং তিনি বলতেন, এই উহুদ পাহাড় আমাদের ভালোবাসে, আমরাও উহুদ পাহাড়কে ভালোবাসি। (বুখারি, মুসলিম)।
তাফসিরে কুরতুবিতে বর্ণনা করা হয়েছে, যখন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জন্মভূমি মক্কা নগরী ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করছিলেন, তখন তার চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠেছিল। দেশের জন্য, জন্মভূমির জন্য রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মায়া ও ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। পরবর্তীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় হাবিবের মাধ্যমে মক্কাকে মুশরিকদের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে, স্বাধীনতা দিয়ে ধন্য করেছেন।
হিজরতের পর মদিনায় হজরত আবুবকর (রা.) ও হজরত বেলাল (রা.) জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় তাদের মনে প্রিয় স্বদেশ মক্কার স্মৃতিচিহ্ন জেগে উঠেছিল। তারা জন্মভূমি মক্কার কথা স্মরণ করে আবেগে আপ্লুত হয়ে কবিতা আবৃত্তি করতে লাগলেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের মনের এ দুরবস্থা দেখে প্রাণভরে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! আমরা মক্কাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি তার চেয়েও বেশি মদিনার ভালোবাসা আমাদের অন্তরে দান করুন। ’ (বুখারি শরিফ)।
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে স্বদেশকে ভালোবেসে আমাদের জন্য দেশপ্রেমের আদর্শ রেখে গেছেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্বদেশ মক্কাকে ভালোবাসতেন, মক্কার জনগণকে ভালোবাসতেন। তাদের আল্লাহর পথে আনার জন্য তিনি অপরিসীম অত্যাচার সহ্য করেছেন। তারপরও কখনো স্বদেশবাসীর অকল্যাণ কামনা করেননি। তায়েফে নির্যাতিত হওয়ার পরও কোনো বদদোয়া করেননি।
আমাদের স্বাধীনতা এসেছে রক্তের বিনিময়ে। জঙ্গি নামের ইসলামের ভেকধারীরা এ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আল্লাহ তাদের ষড়যন্ত্র থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন।
Comments
Post a Comment