জানা, না থাকলে,জানার চেষ্টা করুন। তবুও, নাই বলে নিজের মুর্খতাকে প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন!!
ইসলামী শরীয়তের মুলনীতি হল, কোন বিষয় সম্পর্কে পরিস্কারভাবে না জেনে তা প্রচার করা ব্যক্তি মিথ্যুক হবার জন্য এরকম কাজই যথেষ্ট।
আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ [٤٩:٦]
মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। - সূরা হুজুরাত-৬
অযথা মানুষকে হয়রানী করবেন না।প্রতিহিংসার দাবানলে প্রজ্জলিত হয়ে, না জেনে সরল মনা মুসলমানদের কোথায় নিমজ্জিত করছেন? একটু ভাবুন। না জানার মত গুড়ামী পরিহার করে আসুন জেনে নেই।
ঈদে মীলাদুন্নবী ﷺ অস্বীকার করতে গিয়ে কিছু সম্প্রদায় বলে থাকে ‘ দুই ঈদ ব্যতীত আর কোন ঈদ নাই! নাউযুবিল্লাহ !!
যারা বলে দুই ঈদ ব্যতীত আর কোন ঈদ নাই, তারা কুরআন-হাদীস অস্বীকারকারী! আর কুরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফ অস্বীকারকারীরা যে কুফুরিতে সামিল হচ্ছেন, তাকি একবারও ভেবে দেখেছেন তারা?
আসুন আমরা দেখি ইসলামী শরীয়তে কতগুলা ঈদ রয়েছে ,
🔹জুমুআর দিন মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন, নিশ্চয় এ দিন (জুমুআর দিন) আল্লাহ তা’য়ালা মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি জুমুয়া পড়তে আসবে সে যেন গোসল করে ও সুগন্ধি থাকলে উহা লাগায় এবং তোমাদের উপর মিসওয়াক করা আবশ্যক।- ইবন মাজাহ পৃঃ ৭৮
অনেক হাদীসে জুমুআর দিন দিনটিকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহা থেকেও শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।- ইবন মাজাহ পৃঃ ৭৭ ও মিশকাত শরীফ পৃঃ ১২০
🔹আইয়ামুত-তাশরীকের দিনগুলো ঈদের দিন হিসেবে গণ্য। যেমন হাদীস শরীফে আছে,,
عن عقبة بن عامر- رضى الله عنه- أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «يوم عرفة، ويوم النحر، وأيام منى عيدنا أهل الإسلام، وهي أيام أكل وشرب» . [رواه أبو داود وصححه الألباني]
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাদ্বিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত যে রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আরাফাহ দিবস, কুরবানির দিন ও মিনার দিনসমূহ [কুরবানি পরবর্তী তিন দিন] আমাদের ইসলাম অনুসারীদের ঈদের দিন।- আবু দাউদ ২৪১৩
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ শীর্ষক আয়াতটি নাযিল হয়েছে জুমার দিন, আরাফার দিন। আলহামদুলিল্লাহ উভয় দিন আমাদেরর জন্য ঈদ।
আসুন আমারা মোট ঈদ সংখ্যা হিসাব করি - আরাফার দিন ঈদের দিন + ঈদুল আদ্বহার পরবর্তী তিন দিন + বছরে ৫২ টি শুক্রবার + ঈদুল আদ্বহা + ঈদুল ফিতর = ৫৮ টি ঈদ।এসব গুলা ঈদ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত।
অতএব প্রমানিত হলো যে, শরীয়তে দুই ঈদ ব্যতীত আরো অনেক ঈদ আছে।সুতরাং যারা বলে, দুই ঈদ ব্যতীত আর ঈদ নাই তাদের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং কুরআন-সুন্নাহ'র খেলাফ কথা প্রমানিত হলো।
সুতরাং কোরআন ও হাদীস থেকে দেখা যাচ্ছে, শরীয়ত সমর্থিত যে কোন আনন্দের দিনই ঈদের দিন । আর ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী বলতে বুঝায় নবী কারীম ﷺ এর পৃথিবীতে আগমন উপলক্ষে ঈদ বা আনন্দের দিন।আর এই দিন হল সকল ঈদের সেরা ঈদ।
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে সহীহ আক্বিদা বুঝার এবং বাতিল আক্বিদাকে প্রত্যাখান করার তাওফিক দান করুন। আমিন
Comments
Post a Comment