ড. মুরসি, আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতবাসী করুন
ইসলামী আন্দোলনের এই মহান নেতা ২০শে আগস্ট ১৯৫১ সালে জন্ম গ্রহন করেন, তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক এবং ১৯৭৮ সালে একই বিষয়ে সম্মান ডিগ্রী লাভ করেন। ঐ বছরই তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। ১৯৮২ সালে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালিফোর্নিয়াতে মুহাম্মদ মুরসির প্রকৌশল বিষয়ে গবেষণা শেষ হয়। এবং তিনি ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। ঐ বছরই তিনি ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, নর্থরিজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৫ সালে মুরসি শারকিয়া প্রদেশের জাগাজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপনার চাকরি ছেড়ে মিশরে চলে আসেন।
এর পরে রাজনীতিতে যোগ দেন....
১ জুলাই ২০১২ সালে মিশরের জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে মিশরের প্রেসিডন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
কিন্তু অন্যায় ভাবে মিশরের সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে কারাবন্দী করে।
ড. মুহাম্মদ মুরসি হলেন-
★ মিসরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত আরব প্রেসিডেন্ট।
★ প্রথম সিভিল প্রেসিডেন্ট।
★প্রথম কুরআনে হাফেজ প্রেসিডেন্ট।
★ প্রথম কোন ইসলামিক দল থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
★ প্রথম প্রেসিডেন্ট- যিনি জনগনকে তাঁর সমালোচনা করার অবারিত সুযোগ দিয়েছেন।
★ প্রথম প্রেসিডেন্ট- যিনি কিনা তাঁর জেলে থাকাকালীন কারা রক্ষীর সাথে করমর্দন করেছেন।
★ প্রথম প্রেসিডেন্ট- যিনি তাঁর ছবি সরকারি অফিসে ঝুলাতে নিষেধ করেছেন।
★ প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি তাঁর পরিবারকে ছুটির দিনে নিজ খরচে ঘুরতে নিয়ে যেতেন।
★প্রথম প্রেসিডেন্ট- যিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার, পিএইচডি হোল্ডার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কুরআনে হাফেজ।
★ মিসরের প্রথম আধুনিকজ্ঞান সম্পন্ন প্রেসিডেন্ট ।
★ তিনিই প্রথম হেজাবধারী মহিলাকে টিভি পর্দায় খবর পাঠ করার অনুমতি প্রদান করেছিলেন যা মিসরের ৫২ বছরের ইতিহাসে প্রথম ।
★ আমেরিকা থেকে ডক্টরেটপ্রাপ্ত প্রথম আরবীয় প্রেসিডেন্ট ।
★ যে অফিসার তাকে বিনা দোষে কারাগারে পাঠায়, তাকে তিনি ক্ষমা করে দিয়ে দায়িত্বে বহাল রাখেন।
★ প্রথম শাসক যিনি প্রকাশ্যে বিক্ষোভকারীদের সামনে ভাষণ দিয়েছেন।
★ প্রথম প্রেসিডেন্ট- যিনি প্রতি জুমআ জামে মসজিদে আদায় করতেন।
★প্রথম প্রেসিডেন্ট- যিনি একটি ভাড়াটে ফ্ল্যাটে থাকতেন ।
★ প্রথম প্রেসিডেন্ট- যিনি বিদেশে সাধারণ পর্যটকের ন্যায় ভ্রমণ করতেন।
★ প্রথম প্রেসিডেন্ট- যিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে যার ছেলে বিদেশে চাকুরি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন ।
★ যিনি তার বোনের চিকিৎসার খরচ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বহন করেননি।
★ প্রথম প্রেসিডেন্ট- যিনি ইমামতি ও খেতাবত করার যোগ্যতা রাখতেন।
★ এমন প্রেসিডেন্ট- যিনি শেষ কারাজীবনে তিলাওয়াতের জন্য এক নোসখা কোরআন দেবার আবেদন করেছিলেন এবং জালিমরা তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি।
তিনি ১৭ জুন মিসরীয় জালিম শাসক আবদুল ফাত্তাহ আল সিসির নিয়ন্ত্রণাধীন আদালতের কাঠগড়ায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন। আল্লাহ আমাদের ও তাঁর সকল গুনাহ মাফ করুন। তাঁকে শাহাদাতের বুলন্দ মর্তবা নসিব করুন। জান্নাতুল ফিরদাউসে আলা মকাম দান করুন। আমীন! বিহুরমাতি রাহমাতুল্লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া সাল্লামা।
Comments
Post a Comment