বাংলাদেশের ভবিষ্যত: ইসলামে বিশ্বাসীরা খেয়াল করুন
*****
কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সেক্যুলার মুসলিম রাজনীতিক উমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির উপর ধার্মিক হিন্দু নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বিজয় লাভ আমার মতে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বিষয়৷ একই ভাবে বাংলাদেশের সেক্যুলার মুসলিম রাজনীতিক হাসিনা-খালেদার উপর যদি বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের মত ধর্মবাদী কোনো গোষ্ঠীর ইচ্ছার বিজয় হয়, তাহলে এটিকেও আমি স্বাভাবিক বিষয় বলে মনে করবো৷
-
উল্লেখ্য, ইসলামে কোনো মুসলমানের স্বৈরচার বা সেক্যুলার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ নির্ভরযোগ্য মুফতীদের মতে এরা মুনাফিক এবং প্রকৃত মুসলিমদের জন্য তারা প্রকাশ্য কাফির তথা অমুসলিমদের চেয়েও অধিক ক্ষতিকর৷ মুসলিম নামধারী গাইরতহীন এসব মুনাফিক ও মুরতাদদের কারণেই আজ সারা দুনিয়ায় মুসলিমরা কাফিরদের হাতে নিগৃহীত ও কোণঠাসা৷
-
ভারতের হিন্দুরা এই কারণে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য যে, তারা সেক্যুলার কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদী বিজেপিকে ভারতের ক্ষমতায় বসিয়েছে৷
আর পাকিস্তান, কাশ্মীর ও বাংলাদেশের মুসলমানরা এই কারণে নিন্দাবাদ পাওয়ার যোগ্য যে, তারা ইসলামপন্থী জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন সেক্যুলার দলকে ক্ষমতায় বসিয়েছে৷
-
অতএব, ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার যদি এই মুহূর্তে পাকিস্তান বা বাংলাদেশ দখলের ঘোষণা দেয়, তাহলে এতে আমাদের সেক্যুলার মুনাফিক ও মুরতাদরা হিন্দুত্ববাদীদের কাছে নিশ্চয় পরাজিত হবে৷
-
২০০২ সালে গুজরাটে যুদ্ধমুক্ত সময়ে দাঙ্গা লাগিয়ে হাজারো মুসলমানকে পুড়িয়ে মারার জন্য সরাসরি অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার স্বজাতি যেখানে তার হাতে পুরো ভারতের ক্ষমতা তুলে দিয়েছে, সেখানে জামায়াতের যেসব নেতার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালে শুধুমাত্র পাকিস্তানর অখন্ডতার পক্ষে বিবৃতি দেওয়া ছাড়া কাউকে হত্যার কোনো অভিযোগ নেই, তাদেরকে এই বাঙালী সেক্যুলার মুসলমানেরা চল্লিশ বছর পর এসে প্রতিহিংসাবশত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে৷
আল্লাহ্র কসম! আমি নিশ্চিত, হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকারের বাংলাদেশ নীতিতে শীঘ্রই তারাই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা ১৯৭১ সালে ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে রক্তাক্ত উপায়ে পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়েছিল৷
সো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ীরা তাদের পাপের করুণ প্রায়শ্চিত্তের জন্য অপেক্ষা করুন৷
---
বিধান: সেক্যুলার মুসলিম (মুনাফিক ও মুরতাদ) ও অমুসলিমদের শাসনামলে (যেমন হিন্দুত্ববাদীদের দখলদারিত্বকালে) ইসলামে বিশ্বাসী মুমিনরা যদি তাদের ধর্মীয় ফরজ (যেমন নামাজ) ও হারাম (যেমন শূকর ভক্ষণ) বিধানগুলো পালন করে চলতে না পারে, তাহলে তাদের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো (দীনের জন্য) দেশে হিজরতের চেষ্টা করা ফরজ৷ কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে লড়াই করে মরা ফরজ নয়৷ তবে এটি হারামও নয়৷ যার যার বোধ ও বিশ্বাসের সীমার ব্যাপার৷
-
প্রসঙ্গত, আমি ইসলামবিরোধী সেক্যুলার মুসলিমদেরকে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির চেয়ে অধিক নীতিহীন ও অধিক কাপুরুষ মনে করি৷ তাদের দাফন-কাফনে শরীক হওয়া মুমিনদের জন্য আমি হারাম মনে করি৷ কিন্তু মুরজিয়া মোল্লা-মুফতীরা এটাকে জায়েয নয়; বরং ওয়াজিব বলে ফতোয়া দিবে৷ ফলা'নতুল্লাহি আলাইহিম৷
-
মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে প্রকৃত মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত করুন৷
-
আবুল হুসাইন আলেগাজী
সদর লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম৷
*****
কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সেক্যুলার মুসলিম রাজনীতিক উমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির উপর ধার্মিক হিন্দু নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বিজয় লাভ আমার মতে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বিষয়৷ একই ভাবে বাংলাদেশের সেক্যুলার মুসলিম রাজনীতিক হাসিনা-খালেদার উপর যদি বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের মত ধর্মবাদী কোনো গোষ্ঠীর ইচ্ছার বিজয় হয়, তাহলে এটিকেও আমি স্বাভাবিক বিষয় বলে মনে করবো৷
-
উল্লেখ্য, ইসলামে কোনো মুসলমানের স্বৈরচার বা সেক্যুলার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ নির্ভরযোগ্য মুফতীদের মতে এরা মুনাফিক এবং প্রকৃত মুসলিমদের জন্য তারা প্রকাশ্য কাফির তথা অমুসলিমদের চেয়েও অধিক ক্ষতিকর৷ মুসলিম নামধারী গাইরতহীন এসব মুনাফিক ও মুরতাদদের কারণেই আজ সারা দুনিয়ায় মুসলিমরা কাফিরদের হাতে নিগৃহীত ও কোণঠাসা৷
-
ভারতের হিন্দুরা এই কারণে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য যে, তারা সেক্যুলার কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদী বিজেপিকে ভারতের ক্ষমতায় বসিয়েছে৷
আর পাকিস্তান, কাশ্মীর ও বাংলাদেশের মুসলমানরা এই কারণে নিন্দাবাদ পাওয়ার যোগ্য যে, তারা ইসলামপন্থী জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন সেক্যুলার দলকে ক্ষমতায় বসিয়েছে৷
-
অতএব, ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার যদি এই মুহূর্তে পাকিস্তান বা বাংলাদেশ দখলের ঘোষণা দেয়, তাহলে এতে আমাদের সেক্যুলার মুনাফিক ও মুরতাদরা হিন্দুত্ববাদীদের কাছে নিশ্চয় পরাজিত হবে৷
-
২০০২ সালে গুজরাটে যুদ্ধমুক্ত সময়ে দাঙ্গা লাগিয়ে হাজারো মুসলমানকে পুড়িয়ে মারার জন্য সরাসরি অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার স্বজাতি যেখানে তার হাতে পুরো ভারতের ক্ষমতা তুলে দিয়েছে, সেখানে জামায়াতের যেসব নেতার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালে শুধুমাত্র পাকিস্তানর অখন্ডতার পক্ষে বিবৃতি দেওয়া ছাড়া কাউকে হত্যার কোনো অভিযোগ নেই, তাদেরকে এই বাঙালী সেক্যুলার মুসলমানেরা চল্লিশ বছর পর এসে প্রতিহিংসাবশত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে৷
আল্লাহ্র কসম! আমি নিশ্চিত, হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকারের বাংলাদেশ নীতিতে শীঘ্রই তারাই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা ১৯৭১ সালে ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে রক্তাক্ত উপায়ে পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়েছিল৷
সো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ীরা তাদের পাপের করুণ প্রায়শ্চিত্তের জন্য অপেক্ষা করুন৷
---
বিধান: সেক্যুলার মুসলিম (মুনাফিক ও মুরতাদ) ও অমুসলিমদের শাসনামলে (যেমন হিন্দুত্ববাদীদের দখলদারিত্বকালে) ইসলামে বিশ্বাসী মুমিনরা যদি তাদের ধর্মীয় ফরজ (যেমন নামাজ) ও হারাম (যেমন শূকর ভক্ষণ) বিধানগুলো পালন করে চলতে না পারে, তাহলে তাদের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো (দীনের জন্য) দেশে হিজরতের চেষ্টা করা ফরজ৷ কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে লড়াই করে মরা ফরজ নয়৷ তবে এটি হারামও নয়৷ যার যার বোধ ও বিশ্বাসের সীমার ব্যাপার৷
-
প্রসঙ্গত, আমি ইসলামবিরোধী সেক্যুলার মুসলিমদেরকে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির চেয়ে অধিক নীতিহীন ও অধিক কাপুরুষ মনে করি৷ তাদের দাফন-কাফনে শরীক হওয়া মুমিনদের জন্য আমি হারাম মনে করি৷ কিন্তু মুরজিয়া মোল্লা-মুফতীরা এটাকে জায়েয নয়; বরং ওয়াজিব বলে ফতোয়া দিবে৷ ফলা'নতুল্লাহি আলাইহিম৷
-
মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে প্রকৃত মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত করুন৷
-
আবুল হুসাইন আলেগাজী
সদর লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম৷
Comments
Post a Comment