আমি এই লেখাটি গতবছর ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে লিখেছিলাম।
"আগস্ট মাস।যে মাস আমাদের বাঙালি জাতির জীবনে শোকের মাস।১৯৭৫ সালে যে মাসের ১৫তারিখে
ফযরের আজানের সময় আমাদের দেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমানকে কে হত্যা করেছিল
কিছুবিপথগামী ও কুচক্রী সৈন্যরা। আবার অনেকে বলে কুচক্রী সৈন্যসদস্যদের পাশাপাশি জাসদের কিছু
নেতারাও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে জড়িত। বাাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি কালো দিবস পেতে
হয়েছে।১৯৭৫ এর পর তৎকালীন শাসকদের কাছে এটি আনন্দ দিবস ছিল।তখন অনেকে জানত না যে
১৫আগস্ট একটি কালো দিবস।আস্তে আস্তে জিয়াউর রহমানের পতন হল,এরশাদ ক্ষমতায় এল। তখনও
শোক দিবস পালনে বাধা ছিল।১৯৯০এর সময় এরশাদের পতন হল এবাং ফের বিএনপি ক্ষমতায় এল। তখনও
শোক দিবস হত তবে এর কোন সরকারি ছুটি থাকত না। ১৯৯৬সালে শেখ হাসিনার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ
সরকার ক্ষমতায় আসল এবাং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষনা করল। তখন থেকেই
প্রতিবছর বাাংলাদেশের মানুষকে ১৫আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করতে হচ্ছে। ২০০১ সালে
ফের যখন বিএনপি ক্ষমতায় এল তখন ১৫আগস্টের শোক দিবসের সরকারি ছুটি উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
করেছে। ১৯৯৬ থেকে যখন জাতীয় শোক দিবস ১৫আগস্ট হল তখন থেকে বিএনপিরা শোকের পরিবর্তে
ঘটা করে,কেক কেটে, রযালি করে আনন্দ দিবস করেছে। ১৯৯৬ থেকে ঐ দিন নাকি খালেদা জিয়ার জন্মদিন
হিসেবে পালিত হয়েছে। মূলত বিএনপি ১৯৯০ থেকেই ১৫ আগস্ট খালেদাজিয়ার জন্মদিন হিসেবে পালন করে
আসছে। যদিও এ নিয়েই ১৯৯৬ থেকে রাজনৈতিক ভাবে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তত্বাবধায়ক সরকার যখন
২০০৭-০৮ সালে ক্ষমতায় ছিল তখনও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন হত এবাং এর সরকারি
ছুটিও ছিল। এখন প্রতিবছরই ১৫আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আগস্ট
মাসব্যাপী আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসাংগঠন সারাদেশে আলোচনা সভা,মিলাদ-কিয়াম ও দোয়া
মাহফিল,শোকরযালি,মানববন্ধন,এবাং আলোকচিত্র প্রদর্শনী করে থাকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ
উপলক্ষে রচনা ও কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতা,আলোচনা ও দোয়া হয়।প্রতিটি গ্রামে শহরে,পথেঘাটে
শোকদিবসের ব্যানার পোস্টার ও কালোপতাকা দেখা যায়। ১৫আগস্টের দিন অনেক মসজিদ ও মাদ্রাসায়
কোরানখতম ও বিশেষ দোয়া হয়। কিন্তুসম্প্রতি গতকয়েক বছর শোকের নামে এমন কিছুকাজ এ
আগস্ট মাসে করে থাকে যা বর্জনীয়। যেমন,গতবছর (২০১৭)চট্টগ্রামে শোক রযালির মধ্যে আ:লীগ নেতা
ইকবাল ও তার ৩-৪জন সহযোগীকে “হায় মুজিব” বলে ছুরি ও শিকল দিয়ে মাতম করতে দেখা যায়। যা কিনা
মহররম মাসে পবিত্র আশুরার শিয়ামিছিলের নকল। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আবার অনেক এলাকায়
শোকদিবসের আলোচনা সভা ও দোয়ামাহফিলের নামে যে মঞ্চে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল হয়
সেখানেই ঢোলতবলা,বাদ্যবাজনা নিয়ে গানবাজনা, নাচ ও রঙ্গমঞ্চ চলে। এটি মূলত
শোকের নামে তামাশা ও শয়তানি।অবশ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন টা হয় না। এ মাসে যারা কোন রাজনীতি
করে না এবাং যারা আ:লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ করে না তারা তাদের ব্যক্তিগত আনন্দ করতে পা।। ছাত্রলীগের অনেকেই চাাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। প্রকৃতপক্ষে শোকের মাস আগস্টে আলোচনা
সভা,শোকরযালি ও দোয়া মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তুএর নামে “হায় মুজিব”বলে মাতম অথবা নাচ
গান,রঙ্গমঞ্চ করা বর্জনীয়। নতুবা এতে করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্ম দিতে পারে। তাই শোকের নামে এসব
অপকর্ম বন্ধ করে দিতে হবে।"
"আগস্ট মাস।যে মাস আমাদের বাঙালি জাতির জীবনে শোকের মাস।১৯৭৫ সালে যে মাসের ১৫তারিখে
ফযরের আজানের সময় আমাদের দেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমানকে কে হত্যা করেছিল
কিছুবিপথগামী ও কুচক্রী সৈন্যরা। আবার অনেকে বলে কুচক্রী সৈন্যসদস্যদের পাশাপাশি জাসদের কিছু
নেতারাও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে জড়িত। বাাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি কালো দিবস পেতে
হয়েছে।১৯৭৫ এর পর তৎকালীন শাসকদের কাছে এটি আনন্দ দিবস ছিল।তখন অনেকে জানত না যে
১৫আগস্ট একটি কালো দিবস।আস্তে আস্তে জিয়াউর রহমানের পতন হল,এরশাদ ক্ষমতায় এল। তখনও
শোক দিবস পালনে বাধা ছিল।১৯৯০এর সময় এরশাদের পতন হল এবাং ফের বিএনপি ক্ষমতায় এল। তখনও
শোক দিবস হত তবে এর কোন সরকারি ছুটি থাকত না। ১৯৯৬সালে শেখ হাসিনার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ
সরকার ক্ষমতায় আসল এবাং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষনা করল। তখন থেকেই
প্রতিবছর বাাংলাদেশের মানুষকে ১৫আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করতে হচ্ছে। ২০০১ সালে
ফের যখন বিএনপি ক্ষমতায় এল তখন ১৫আগস্টের শোক দিবসের সরকারি ছুটি উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
করেছে। ১৯৯৬ থেকে যখন জাতীয় শোক দিবস ১৫আগস্ট হল তখন থেকে বিএনপিরা শোকের পরিবর্তে
ঘটা করে,কেক কেটে, রযালি করে আনন্দ দিবস করেছে। ১৯৯৬ থেকে ঐ দিন নাকি খালেদা জিয়ার জন্মদিন
হিসেবে পালিত হয়েছে। মূলত বিএনপি ১৯৯০ থেকেই ১৫ আগস্ট খালেদাজিয়ার জন্মদিন হিসেবে পালন করে
আসছে। যদিও এ নিয়েই ১৯৯৬ থেকে রাজনৈতিক ভাবে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তত্বাবধায়ক সরকার যখন
২০০৭-০৮ সালে ক্ষমতায় ছিল তখনও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন হত এবাং এর সরকারি
ছুটিও ছিল। এখন প্রতিবছরই ১৫আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আগস্ট
মাসব্যাপী আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসাংগঠন সারাদেশে আলোচনা সভা,মিলাদ-কিয়াম ও দোয়া
মাহফিল,শোকরযালি,মানববন্ধন,এবাং আলোকচিত্র প্রদর্শনী করে থাকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ
উপলক্ষে রচনা ও কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতা,আলোচনা ও দোয়া হয়।প্রতিটি গ্রামে শহরে,পথেঘাটে
শোকদিবসের ব্যানার পোস্টার ও কালোপতাকা দেখা যায়। ১৫আগস্টের দিন অনেক মসজিদ ও মাদ্রাসায়
কোরানখতম ও বিশেষ দোয়া হয়। কিন্তুসম্প্রতি গতকয়েক বছর শোকের নামে এমন কিছুকাজ এ
আগস্ট মাসে করে থাকে যা বর্জনীয়। যেমন,গতবছর (২০১৭)চট্টগ্রামে শোক রযালির মধ্যে আ:লীগ নেতা
ইকবাল ও তার ৩-৪জন সহযোগীকে “হায় মুজিব” বলে ছুরি ও শিকল দিয়ে মাতম করতে দেখা যায়। যা কিনা
মহররম মাসে পবিত্র আশুরার শিয়ামিছিলের নকল। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আবার অনেক এলাকায়
শোকদিবসের আলোচনা সভা ও দোয়ামাহফিলের নামে যে মঞ্চে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল হয়
সেখানেই ঢোলতবলা,বাদ্যবাজনা নিয়ে গানবাজনা, নাচ ও রঙ্গমঞ্চ চলে। এটি মূলত
শোকের নামে তামাশা ও শয়তানি।অবশ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন টা হয় না। এ মাসে যারা কোন রাজনীতি
করে না এবাং যারা আ:লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ করে না তারা তাদের ব্যক্তিগত আনন্দ করতে পা।। ছাত্রলীগের অনেকেই চাাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। প্রকৃতপক্ষে শোকের মাস আগস্টে আলোচনা
সভা,শোকরযালি ও দোয়া মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তুএর নামে “হায় মুজিব”বলে মাতম অথবা নাচ
গান,রঙ্গমঞ্চ করা বর্জনীয়। নতুবা এতে করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্ম দিতে পারে। তাই শোকের নামে এসব
অপকর্ম বন্ধ করে দিতে হবে।"
Comments
Post a Comment