কবরপন্থা ☗
মুসলিমরা মারা গেলে কবর দেয়া হয়। তারা বারযাখের জীবনে দুনিয়ার কর্মের ফলস্বরূপ নিজ নিজ অবস্থায় থাকে। নবী-রাসূল ও শহীদরা বিশেষ সুরতে রিযিকপ্রাপ্ত হন, জীবিত রুহের সম্মানপ্রাপ্ত হন। মৃতের জন্য দুয়া করতেও কবরকে উদ্দেশ্য করা জরুরি কিছু নয়। আল্লাহ্র কাছে মাগফিরাত কামনা করলেই হয়।
কবর ইসলামে কোন মুখ্য বিষয় নয়, কবরকে অসম্মান করা যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি কবরকে উদ্দেশ্যে বা কেন্দ্র করে কিছু করাও নিষিদ্ধ। আমরা হাদিসে দেখি-
⌂ জাবির (রা) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কবর পাকা করতে, কবরের উপর বসতে ও কবরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন. [সহি মুসলিম ২১১৪; জানাযা অধ্যায়]
⌂ আবুল হাইয়্যাজ আল আসাদী (র) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমি কি তোমাকে এমনভাবে পাঠাব না, যে কাজে , রাসূলুল্লাহ(ﷺ) আমাকে পাঠিয়েছিলেন? তা হচ্ছে কোন (জীবের) প্রতিকৃতি বা ছবি দেখলে তা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিবে এবং কোন উচূ কবর দেখলে তা ভেঙ্গে দিবে [মুসলিম ২১১২; তিরমীযি ১০৪৯]
মোটকথা, ইসলামের শরিয়াত হচ্ছে, কবরকে কেন্দ্র করে সাজসজ্জা,ঘরবাড়ি, আখড়া, ইবাদতের স্থান ইত্যাদি বানানো যাবে না, বরং কবর সমান রাখাই রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর আদর্শ। মাজার-গিলাপ ত ইসলাম থেকে অনেক দূরের জিনিস। বরং উঁচু ও জাকজমকপূরন কবর নষ্ট করে দেয়ার নির্দেশই দেয়া আছে। তবে সেক্ষেত্রে বিদাতি-মুশরিকদের দমাতে গিয়ে কবরে শায়িত ব্যক্তির যেন অবমাননা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
ইসলামে সমান করা কিংবা সামান্য তির্যক করে চাপা দিয়ে সেই কবরের সামনে পাথর দিয়ে চিহ্ন রাখা পর্যন্ত জায়েয আছে। নবী-রাসূলদের কবর বিশেষ কারণে আলাদা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে ও প্রতিরক্ষা দেয়া হয়ে আসছে। তবুও, সেখানেও ইবাদতের স্থান বানানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে, হাদিসে দেখি-
⌂ আবু হুরায়রা(রা) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহ্র রাসূল(ﷺ) বলেন- “আল্লাহ তা’আলা ইহূদীদের ধবংস করুন। কেননা তারা তাদের নবীদের করবকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে” [বুখারী ৪২৪; মুসলিম ১০৬৬]
সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবন উমর(রা) ত রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর কবর অযথা স্পর্শ করা এক প্রকারের বেয়াদবি বলে গণ্য করতেন।[সিয়ার আ’লামিন নুবালা ৩৭৭/১২]
কবর উঁচু করা,সাজসজ্জা ও কবরকেন্দ্রিক ইবাদত করা ইহুদি নাসারা ও পারস্যের অগ্নিপূজক মুশরিক সম্প্রদায়ের স্বভাব।
● ইমাম গাজ্জালী(র) বলেন, নিশ্চয়ই কবর হাতানো ও চুমু খাওয়া ইহুদি-নাসারাদের স্বভাব। [ইহইয়া উলুমুদদ্বীন, ২৭২/১]
● আব্দুল কাদির জিলানী(র) বলেন- যখন কবর যিয়ারত করবে, তখন তাতে হাত রাখবে না এবং তাকে চুমু খাবে না; কারণ নিশ্চয়ই এটা ইহুদিদের স্বভাব। [গুনিয়াতুত তালিবীন, ৯১/১]
যত রকম বিদাত ও শিরকের উৎস এইসব ঘরবাড়িওয়ালা কবর তথা মাজার। শিয়া-ধর্মাবলম্বীরা ত এই মাজারভিত্তিক কার্যকলাপকেই দ্বীনের অংশ বানিয়ে নিয়েছে! সিরিয়াতে সারা দুনিয়ার শিয়াদের ডাকা হচ্ছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়তে একটাই কারণ দেখিয়ে, তা হলঃ- “সুন্নিরা সব মাজার/শিরকালয় নষ্ট করে দিতেছে” অথচ, শিরকের আখড়া বাদে আহলে বাইতের কবরে কোন মুসলমান হামলা করেনি, বরং শিয়াদের বোমাতেই মাজার নষ্ট হয়েছে। হ্যা, একটা জিনিস হয়েছে তা হল, মুসলিমদের বিজিত/অধিকৃত এলাকায় শিয়ারা মাজারকেন্দ্রিক শিরকের অধিকার হারিয়েছে!
শিয়া ধর্মগ্রন্থেও মিথ্যাচারের আড়ালে আলী(রা) ও আহলে বাইতের বংশধরদের মুখে বহু কঠোর বাণী উদ্ধৃত হয়েছে কবরে স্থাপনা/মাজার নির্মাণ,কবরে ইবাদত করা এবং কবর উঁচু করার বিরুদ্ধে, তার মধ্যে কিছু উদ্ধৃত করা হলঃ-
☫ ‘আমিরুল মু’মিনীন(আঃ) বলেন- আমাকে রাসূল(সা) পাঠিয়েছেন কবর ভেঙ্গে দিতে ও ছবি নষ্ট করতে’ [আল কাফি ৩৩২/৬,রি-১১; ওয়াসায়েল আশ শিয়া, রি-৩৪৩১]
☫ ‘সাদিক(আঃ) বলেন- কবরের উপরে মাটি ব্যতীত আর যা কিছু দেয়া হয় তা মৃতের উপরে ভারী বোঝা’ [মান লা ইয়াহদুরুহুল ফকীহ, ১৩৫/১,রি-৫৭৬; ওয়াসায়েল আশ শিয়া,রি-৩৪০৮]
☫ ‘আমিরুল মু’মিনীন(আঃ) বলেন- ‘যে কোন কবর নতুন করে সাজাল, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল’ [তাহযিবুল আহকাম,মাসআলা-১৪৯৬; মান লা ইয়াহদুরুহুল ফকীহ, ১৩৫/১,রি-৫৭৯; ওয়াসায়েল আশ শিয়া,রি-৩৪২৪; তাযকিরাতুল ফুক্কাহা ১০৬/২]
☫ ‘আবু আব্দুল্লাহ(আ) বলেনঃ- সাত ধরণের উপার্জন অবৈধ- প্রশাসনে ঘুষ,পতিতার কামাই,ধর্মের বিনিময়ে উপঢৌকন,কুকুরের বিক্রয়মূল্য, যে ব্যক্তি কবরের উপরে স্থাপনা নির্মাণ করে, মূর্তি নির্মাতা এবং বেদুঈনদের অপকর্মের বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ’ [মুসতাদরাক আল-ওয়াসায়েল, রি-১৪৭৭৮]
এছাড়া আরো এমন রিওয়ায়াতও উঁকি মারে শিয়া ধর্মের কিতাবসমূহে যাতে দেখা যায়, কবর চার আঙ্গুলের বেশি উঁচা করাই যাবেন। যাই হোক, ত্রিত্ববাদী মুশরিক খ্রিস্টানরা যেরকম বাইবেলে অবশিষ্ট কিছু একত্ববাদী,সত্য বাণিকে মানবে না, তেমনি শিয়া ধর্মাবলম্বীরাও তাদের আয়াতুল্লাতদের কথার বাইরে গিয়ে শিয়া ধর্মগ্রন্থে অল্পস্বল্প তাওহিদপন্থী কথা মানবে না।
আল্লাহ্ আমাদের মুসলিমদেরকে কবরপন্থা,মাজারভিত্তিক কার্যকলাপ থেকে হেফাজত করুন।
মুসলিমরা মারা গেলে কবর দেয়া হয়। তারা বারযাখের জীবনে দুনিয়ার কর্মের ফলস্বরূপ নিজ নিজ অবস্থায় থাকে। নবী-রাসূল ও শহীদরা বিশেষ সুরতে রিযিকপ্রাপ্ত হন, জীবিত রুহের সম্মানপ্রাপ্ত হন। মৃতের জন্য দুয়া করতেও কবরকে উদ্দেশ্য করা জরুরি কিছু নয়। আল্লাহ্র কাছে মাগফিরাত কামনা করলেই হয়।
কবর ইসলামে কোন মুখ্য বিষয় নয়, কবরকে অসম্মান করা যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি কবরকে উদ্দেশ্যে বা কেন্দ্র করে কিছু করাও নিষিদ্ধ। আমরা হাদিসে দেখি-
⌂ জাবির (রা) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কবর পাকা করতে, কবরের উপর বসতে ও কবরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন. [সহি মুসলিম ২১১৪; জানাযা অধ্যায়]
⌂ আবুল হাইয়্যাজ আল আসাদী (র) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমি কি তোমাকে এমনভাবে পাঠাব না, যে কাজে , রাসূলুল্লাহ(ﷺ) আমাকে পাঠিয়েছিলেন? তা হচ্ছে কোন (জীবের) প্রতিকৃতি বা ছবি দেখলে তা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিবে এবং কোন উচূ কবর দেখলে তা ভেঙ্গে দিবে [মুসলিম ২১১২; তিরমীযি ১০৪৯]
মোটকথা, ইসলামের শরিয়াত হচ্ছে, কবরকে কেন্দ্র করে সাজসজ্জা,ঘরবাড়ি, আখড়া, ইবাদতের স্থান ইত্যাদি বানানো যাবে না, বরং কবর সমান রাখাই রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর আদর্শ। মাজার-গিলাপ ত ইসলাম থেকে অনেক দূরের জিনিস। বরং উঁচু ও জাকজমকপূরন কবর নষ্ট করে দেয়ার নির্দেশই দেয়া আছে। তবে সেক্ষেত্রে বিদাতি-মুশরিকদের দমাতে গিয়ে কবরে শায়িত ব্যক্তির যেন অবমাননা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
ইসলামে সমান করা কিংবা সামান্য তির্যক করে চাপা দিয়ে সেই কবরের সামনে পাথর দিয়ে চিহ্ন রাখা পর্যন্ত জায়েয আছে। নবী-রাসূলদের কবর বিশেষ কারণে আলাদা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে ও প্রতিরক্ষা দেয়া হয়ে আসছে। তবুও, সেখানেও ইবাদতের স্থান বানানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে, হাদিসে দেখি-
⌂ আবু হুরায়রা(রা) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহ্র রাসূল(ﷺ) বলেন- “আল্লাহ তা’আলা ইহূদীদের ধবংস করুন। কেননা তারা তাদের নবীদের করবকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে” [বুখারী ৪২৪; মুসলিম ১০৬৬]
সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবন উমর(রা) ত রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর কবর অযথা স্পর্শ করা এক প্রকারের বেয়াদবি বলে গণ্য করতেন।[সিয়ার আ’লামিন নুবালা ৩৭৭/১২]
কবর উঁচু করা,সাজসজ্জা ও কবরকেন্দ্রিক ইবাদত করা ইহুদি নাসারা ও পারস্যের অগ্নিপূজক মুশরিক সম্প্রদায়ের স্বভাব।
● ইমাম গাজ্জালী(র) বলেন, নিশ্চয়ই কবর হাতানো ও চুমু খাওয়া ইহুদি-নাসারাদের স্বভাব। [ইহইয়া উলুমুদদ্বীন, ২৭২/১]
● আব্দুল কাদির জিলানী(র) বলেন- যখন কবর যিয়ারত করবে, তখন তাতে হাত রাখবে না এবং তাকে চুমু খাবে না; কারণ নিশ্চয়ই এটা ইহুদিদের স্বভাব। [গুনিয়াতুত তালিবীন, ৯১/১]
যত রকম বিদাত ও শিরকের উৎস এইসব ঘরবাড়িওয়ালা কবর তথা মাজার। শিয়া-ধর্মাবলম্বীরা ত এই মাজারভিত্তিক কার্যকলাপকেই দ্বীনের অংশ বানিয়ে নিয়েছে! সিরিয়াতে সারা দুনিয়ার শিয়াদের ডাকা হচ্ছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়তে একটাই কারণ দেখিয়ে, তা হলঃ- “সুন্নিরা সব মাজার/শিরকালয় নষ্ট করে দিতেছে” অথচ, শিরকের আখড়া বাদে আহলে বাইতের কবরে কোন মুসলমান হামলা করেনি, বরং শিয়াদের বোমাতেই মাজার নষ্ট হয়েছে। হ্যা, একটা জিনিস হয়েছে তা হল, মুসলিমদের বিজিত/অধিকৃত এলাকায় শিয়ারা মাজারকেন্দ্রিক শিরকের অধিকার হারিয়েছে!
শিয়া ধর্মগ্রন্থেও মিথ্যাচারের আড়ালে আলী(রা) ও আহলে বাইতের বংশধরদের মুখে বহু কঠোর বাণী উদ্ধৃত হয়েছে কবরে স্থাপনা/মাজার নির্মাণ,কবরে ইবাদত করা এবং কবর উঁচু করার বিরুদ্ধে, তার মধ্যে কিছু উদ্ধৃত করা হলঃ-
☫ ‘আমিরুল মু’মিনীন(আঃ) বলেন- আমাকে রাসূল(সা) পাঠিয়েছেন কবর ভেঙ্গে দিতে ও ছবি নষ্ট করতে’ [আল কাফি ৩৩২/৬,রি-১১; ওয়াসায়েল আশ শিয়া, রি-৩৪৩১]
☫ ‘সাদিক(আঃ) বলেন- কবরের উপরে মাটি ব্যতীত আর যা কিছু দেয়া হয় তা মৃতের উপরে ভারী বোঝা’ [মান লা ইয়াহদুরুহুল ফকীহ, ১৩৫/১,রি-৫৭৬; ওয়াসায়েল আশ শিয়া,রি-৩৪০৮]
☫ ‘আমিরুল মু’মিনীন(আঃ) বলেন- ‘যে কোন কবর নতুন করে সাজাল, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল’ [তাহযিবুল আহকাম,মাসআলা-১৪৯৬; মান লা ইয়াহদুরুহুল ফকীহ, ১৩৫/১,রি-৫৭৯; ওয়াসায়েল আশ শিয়া,রি-৩৪২৪; তাযকিরাতুল ফুক্কাহা ১০৬/২]
☫ ‘আবু আব্দুল্লাহ(আ) বলেনঃ- সাত ধরণের উপার্জন অবৈধ- প্রশাসনে ঘুষ,পতিতার কামাই,ধর্মের বিনিময়ে উপঢৌকন,কুকুরের বিক্রয়মূল্য, যে ব্যক্তি কবরের উপরে স্থাপনা নির্মাণ করে, মূর্তি নির্মাতা এবং বেদুঈনদের অপকর্মের বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ’ [মুসতাদরাক আল-ওয়াসায়েল, রি-১৪৭৭৮]
এছাড়া আরো এমন রিওয়ায়াতও উঁকি মারে শিয়া ধর্মের কিতাবসমূহে যাতে দেখা যায়, কবর চার আঙ্গুলের বেশি উঁচা করাই যাবেন। যাই হোক, ত্রিত্ববাদী মুশরিক খ্রিস্টানরা যেরকম বাইবেলে অবশিষ্ট কিছু একত্ববাদী,সত্য বাণিকে মানবে না, তেমনি শিয়া ধর্মাবলম্বীরাও তাদের আয়াতুল্লাতদের কথার বাইরে গিয়ে শিয়া ধর্মগ্রন্থে অল্পস্বল্প তাওহিদপন্থী কথা মানবে না।
আল্লাহ্ আমাদের মুসলিমদেরকে কবরপন্থা,মাজারভিত্তিক কার্যকলাপ থেকে হেফাজত করুন।
Comments
Post a Comment