থেমে থেমে রাসুল সাঃ অবমাননা
(From islamtime24.com)
২০১৩ পরবর্তী সময়ে অনলাইনে আল্লাহ, রাসূল ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তি এবং ধর্মানুভূতিতে আঘাতের ঘটনা কিছুদিন কম থাকলেও সম্প্রতি আবার তা বেড়ে গেছে। কয়েকমাসের ব্যবধানে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় ঘটেছে রাসূলকে অবমাননা করে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের মনে আঘাত দেওয়ার ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সর্বশেষ ভোলার বুরহানুদ্দিনে নবী সা.কে কটূক্তি এবং এর প্রতিবাদে করা তাওহিদী জনতার বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে চার নবিপ্রেমিকের শাহাদতের ঘটনা উত্তাল করে তুলেছে সারাদেশ।
(From islamtime24.com)
২০১৩ পরবর্তী সময়ে অনলাইনে আল্লাহ, রাসূল ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তি এবং ধর্মানুভূতিতে আঘাতের ঘটনা কিছুদিন কম থাকলেও সম্প্রতি আবার তা বেড়ে গেছে। কয়েকমাসের ব্যবধানে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় ঘটেছে রাসূলকে অবমাননা করে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের মনে আঘাত দেওয়ার ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সর্বশেষ ভোলার বুরহানুদ্দিনে নবী সা.কে কটূক্তি এবং এর প্রতিবাদে করা তাওহিদী জনতার বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে চার নবিপ্রেমিকের শাহাদতের ঘটনা উত্তাল করে তুলেছে সারাদেশ।
কিছুদিন পরপর অনলাইনের বিভিন্ন সাইটে রাসূলকে অবমাননার ব্যাপারটিকে বড় কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন চট্টগ্রাম ওমর গনি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, বিশিষ্ট লেখক ও আলোচক ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, আল্লাহ, রাসূল, উম্মাহাতুল মু’মিনিন এবং সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে কূরুচিপূর্ণ কথা বলা বৃহত্তর কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ। ২০১৩ সালের আইসিটি আইনের ফলে তা কিছুটা কমে আসলেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি, এ ঘটনা বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আলেম ও সিনিয়র সাংবাদিক মাওলানা লিয়াকত আলী বলেন, কিছুদিন পর পর নবীর অবমাননাকে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা বলা যায় না এবং একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইসলাম ও মুসলমানদের উপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যে ষড়যন্ত্র এসব ঘটনা তারই অংশ। তাছাড়া সমাজে বিকৃত মানসিকতার কিছু দুবৃত্ত ও দুস্কৃতিকারী থাকেই কঠোর আইন প্রয়োগ করেও তাদের সঠিক পথে আনা যায় না।
দেশে বিদ্যমান আইনে ধর্ম-অবমাননার শাস্তি ও তার বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, মাওলানা লিয়াকত আলী বলেন, ধর্ম অবমাননার শাস্তি তো সর্বোচ্চই হওয়া উচিত এবং তার সঠিক বাস্তবায়নও জরুরি।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. খালিদ হোসেন বলেন, দেশে ধর্ম-অবমাননার শাস্তির জন্য আইন আছে ঠিকই তবে, এর বাস্তবায়ন সচরাচর আমাদের নজরে আসে না। পুলিশি হেফাজত এবং কিছুদিন কারাভোগের খবরই আমরা পাই কেবল। আইনের সঠিক প্রয়োগ থাকলে অপরাধীরা কিছুটা হলেও নিবৃত হত।
ভোলা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সারাদেশে চলমান বিক্ষুব্ধ আন্দোলন প্রসঙ্গে ড. আ ফ ম খালিদ বলেন, মুসলমানরা নবীকে নিজের প্রাণের চাইতেও বেশি ভালবাসে। নবী অবমাননার প্রতিবাদ করতে গিয়ে চারজন নবীপ্রেমিকের প্রাণ বিসর্জনের ঘটনা তারা কখনোই সহজভাবে নিতে পারে না। তাই সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে। তবে নবি অবমাননার ঘটনা যেহেতু থেমে থেমে কিছুদিন পরপরই ঘটছে তাই দায়িত্বশীল আলেমদের উচিত এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং তার সঠিক ও দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য শাসনযন্ত্রের উপর চাপ প্রয়োগ করতে আন্দোলনের পাশাপাশি বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করা উচিত।
মাওলানা লিয়াকত আলী বলেন, দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের আরও দায়িত্বশীল এবং কৌশলী ভূমিকা পালন করা উচিত।
ভোলার বুরহানুদ্দিনে সাধারণ নিরস্ত্র ধর্মপ্রাণ মানুষের উপর পুলিশি আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে মাওলানা আ ফ ম খালিদ বলেন, সাধারণ জনতার ধর্মীয় অধিকার প্রশ্নে যে আন্দোলন তার উপর পুলিশের নির্বিচার গুলি চালানোর জন্য স্থানীয় পুলিশকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।
বিবিসি বাংলায় ‘ভোলায় বিক্ষুব্ধ জনতার মন্দির ভাঙচুর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, মাওলানা আ ফ ম খালিদ বলেন, প্রথমে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার। দেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোকে আমরা দেখছি, স্পর্শকাতর একটা বিষয়ে নিরব বা মুসলমানদের বিলুদ্ধে একপাক্ষিক ভূমিকা নিতে। তাই সঠিক তদন্ত ছাড়া বিবিসির খবরকে মেনে নেওয়া যায় না।
দ্বিতীয়ত, যদি আক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে কারা করেছে তাও তদন্ত করে বের করা উচিত। আর যদি বিক্ষুব্ধ জনতা মন্দিরে ভাঙচুর করে থাকে তাহলে এর দায় অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের। হাটহাজারিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারী কর্তৃক মন্দির পাহারা দেওয়ার দৃশ্য দেখার পর এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, ভোলায় যদি আন্দোলনকারীরা মন্দিরে ভাঙচুর করে থাকে তাহলে পুলিশ তাদের উপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে উত্তেজিত করার কারণেই করেছে।
Comments
Post a Comment