মীলাদুন নবী (ছঃ) সম্পর্কিত ৪টি প্রশ্নের উত্তর
উত্তর প্রদান : মাওলানা আবুল হুসাইন আলেগাজী
প্রশ্নঃ মীলাদুন নবী ছঃ উপলক্ষ্যে রেলী/মিছিল বের করা কি বৈধ ?
উত্তরঃ মানুষকে কষ্ট দিয়ে ও মানুষের অধিকার হরণ করে করলে বৈধ হবে না। কেউ যদি এটাকে জরুরী বা নবীপ্রেমের মাপকাঠি বানায়, তাহলেও সে ভুল ও ভ্রান্তিতে রয়েছে। শুধুমাত্র নবীজির ছঃ বাণী সম্বলিত ব্যানার/ফেস্টুন নিয়ে তা মানুষকে জানান দেবার উদ্দেশ্যে করলে দোষের কিছু নেই; বরং নিয়ত ছহীহ থাকলে তাতে সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশা-আল্লাহ।
উত্তরঃ মানুষকে কষ্ট দিয়ে ও মানুষের অধিকার হরণ করে করলে বৈধ হবে না। কেউ যদি এটাকে জরুরী বা নবীপ্রেমের মাপকাঠি বানায়, তাহলেও সে ভুল ও ভ্রান্তিতে রয়েছে। শুধুমাত্র নবীজির ছঃ বাণী সম্বলিত ব্যানার/ফেস্টুন নিয়ে তা মানুষকে জানান দেবার উদ্দেশ্যে করলে দোষের কিছু নেই; বরং নিয়ত ছহীহ থাকলে তাতে সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশা-আল্লাহ।
♦
প্রশ্ন: ঈদ মানে আনন্দ। নবীজী (সঃ) যদি ১২ রবিউল আউয়াল যদি জন্ম ও মৃত্যুবরণ উভয়টাও করে থাকেন তবে মৃত্যু দিবসে ঈদ পালন না করে বরং অন্য দিনে পালন করা বেটার নয়?
উত্তর: বিষয়টা যার যার ঈমান ও ইলমের উপর নির্ভর করছে। সব মানুষ বা সকল মুসলিম সমান জ্ঞান-গুণ সম্পন্ন নয়। মানুষ বলতে অধিকাংশই অনুষ্ঠান ও আনন্দ প্রিয়। ত্যাগ, ধৈর্য্য ও দুনিয়াবিমুখতার কথা মানুষ মোটেই শুনতে চায় না। কোনো দল-গোষ্ঠীর মানুষই না। তবে ওলামায়ে রব্বানী তথা প্রকৃত আলেমগণের উচিত, তারপরও মানুষের মাঝে ত্যাগ, ধৈর্য্য ও দুনিয়াবিমুখতার কথা প্রচার করে যাওয়া।
প্রশ্ন: মীলাদ বলতে যে কতিপয় লোক সম্মিলিতভাবে দরূদ পাঠ করাকেই মনে করে? এটাও কি প্রশংসনীয়, সমর্থনযোগ্য ও জায়েয?
বা
প্রশ্নঃ মীলাদুন নবী ছঃ উপলক্ষ্যে আমি কি করতে পারি?
উত্তরঃ নবীজি ছঃ এর প্রতি যাদের হ্রদয়ে সত্যিকারের ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রয়েছে, তারা আজ ১২ রবিউল আউয়াল নীচের কাজগুলোর একটি বা একাধিক করতে পারেনঃ
১. রোজা রাখা।
২. একজন বা একাধিক দরিদ্র মুসলিমকে একবেলা তা তার চেয়ে বেশি খাবার খাওয়ানো বা তার মূল্য দান করা।
৩. সারাদিন বেশি করে দরুদ পড়া।
৪. সারাদিন নবীজির ছঃ জন্ম থেকে হিজরত পর্যন্ত ঘটনাগুলো মনযোগ সহকারে পড়া।
৫. ইলমে নববীর ছাত্রদের প্রতিষ্ঠানে যতটুকু সম্ভব দান করা।
৬. সারা বছর নবীজি ছঃ এর সুন্নতের উপর চলার প্রতিজ্ঞা করা।
৭. বিরোধী ও ভিন্নমতের লোকসহ সকল সৃষ্টিজীবের প্রতি ক্ষমা ও দয়ার আচরণ করা এবং গালিগালাজ ও নিজেকে সবার সেরা প্রমাণ করার অসার চেষ্টা থেকে বিরত থাকা।
৮. নবীজির ছঃ এর জীবনী নিয়ে রচিত কোনো বই নিজের সংগ্রহে না থাকলে তার কোনো একটি কেনার জন্য বের হওয়া।
৯. নবীজির ছঃ এর জীবনী নিয়ে রচিত কোনো বই কোনো স্বজন, বন্ধু বা পরিচিতজনকে হাদিয়া দেওয়া।
১০. সংগ্রহে না থাকলে ইমাম নবভী রহঃ কর্তৃক রচিত রিয়াজুছ ছালিহীনের একটি কপি সংগ্রহ করে নিয়মিত বা মাঝে-মধ্যে পড়ার চেষ্টা করা।
♦
মহান আল্লাহ আমাদেরকে মধ্যপন্থায় অবিচল থাকার তৌফীক দান করুন।
১৩.১২.২০১৬, মঙ্গলবার
(সূত্রঃ লেখকের ফেসবুক পাতা)
Comments
Post a Comment