বিশ্ব কাঁপানো করোনাঃ এটিই কি জীবনের শেষ রমজান
মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী
চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালক, ঢাকা সেন্টার ফর দাওয়াহ এন্ড কালচার
রহমত বরকত মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবার এসেছে পবিত্র রমজান। বহু বছর ধরে বাংলাদেশে এই মহিমান্বিত মাসের অভিজ্ঞতা এমন দেখা গেছে যে, আগে পরের আবহাওয়ার বাইরে ভিন্ন এক বাতাবরণ নিয়ে এসেছে এই রমজান। প্রচন্ড তাপদাহ পরিনত হয়েছে শীতল ছায়াময় মায়াময় ভুবনে। তিরিশ দিনই হালকা রোদ ছায়া, কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, কখনো ঠান্ডা বাতাস। রমজানের পর আবার যেই সেই। অন্তত গত দশ বছর ধরে গ্রীষ্মের রমজান বাংলাদেশে এমনই ছিলো।
এবারের রমজান এমন এক সময় এসেছে, যখন অস্বাভাবিক এক প্রাণঘাতী মহামারীতে গোটা পৃথিবী কাতর। নোভেল করোনাভাইরাস কোভিড১৯ এর প্রাদুর্ভাবে বিশ্বময় মানবজাতি তটস্থ। দুনিয়াজুড়ে মানুষ ঘরে ঢুকে গেছে। তিন চারমাস ধরে বিশ্বের প্রায় সবদেশ অদ্ভুত এক অচলায়তন। অর্থনীতি লাইফসাপোর্টে। মানুষ মরছে, আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যুভয়ে কাঁপছে। লাশের মিছিল বহন করে করে কাঁদছে। বাকিরা ঘরে বসে থেকে হাঁপিয়ে উঠছে। আর কোটি কোটি মানুষ জীবন- জীবিকার তাড়নায় ধুঁকছে।
এসময় মক্কা ও মদীনার দুই প্রধান মসজিদের কার্যক্রম চরমভাবে সীমিত। ওমরাহ বন্ধ। তাওয়াফ নিয়ন্ত্রিত। নামাজ জামাত জুমা তারাবি নামমাত্র। এটি মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় শরিয়তের বিধানের আলোকেই গৃহীত সিদ্ধান্ত। গোটা মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়ার সতর্কতা এমনই। কোথাও মসজিদ বন্ধ। কোথাও অতি সীমিত।
এমন সংকট মুহূর্তেই জগৎজুড়ে রমজান এলো। আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশেও আল্লাহর রহমত বরকত মাগফিরাত ও নাজাতের অবারিত সওগাত নিয়ে এসেছে সৌভাগ্যের রমজান। এদেশের সাড়ে চার লাখ মসজিদে তারাবি হবে খুবই সীমিত আকারে। আর ৯৯ ভাগ নামাজি সারা দুনিয়ার অধিকাংশ মুসলমানের মতোই এ বছরের তারাবি পড়বেন নিজ নিজ পরিসরে। শরীয়তের রুখসত, সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি অনুসরণ করে।
এতে নামাজ ও কোরআনের বরকত ছড়িয়ে যাবে ঘরে ঘরে। চার পাঁচ লাখের জায়গায় এবার এমনকি বিশ পঁচিশ লাখ খতম তারাবি অনুষ্ঠিত হওয়াও বিচিত্র নয় এই বাংলাদেশে। বিপদের দিনে আল্লাহর দিকে রুজু হয় মানুষ। ঘরে তারাবি হবে তাই এবার সম্ভব হলে পারিবারিক পরিসরে শিশু ও মহিলারাও শরিক হবেন ইনশাআল্লাহ। হাফেজ সাহেবরা নিজের অবস্থান বা নির্বাচিত স্থানে সামান্য কিছু মুসল্লী এলাউ করে ছোট্ট ছোট্ট জামাতও করতে পারেন।
সামগ্রিক ভাবে পরিস্থিতি খারাপ হলেও মুসলমানদের জন্য এ অবস্থায় রমজান আসা মানে মুক্তির চাবিকাঠি হাতে আসা। জীবন মৃত্যু আল্লাহর হাতে। আল্লাহর খাতায় লেখা থাকলে মওত হবে। করোনাকালে পবিত্র রমজানে তওবা ও ঈমানের সাথে শহীদি বিদায়, মৃত্যু হিসাবে একেবারে মন্দ না। আল্লাহর রাস্তায় শাহাদতের পরের স্তর তথা মোটামুটি সেকেন্ড ক্লাসের মৃত্যু। বান্দার কাজ তাকদীরের ওপর বিশ্বাস করে সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর ঈমান আস্থা ভরসা রেখে নিজ নিজ কর্তব্য করে যাওয়া। কোরআন হাদিস ইতিহাস অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের মতের আলোকে সঠিক এবং সতর্ক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
বিপদ একদিক দিয়ে রহমতও হতে পারে। প্রতিটি মন্দেরই ভালো দিক থাকে। এ সময়ে সবচেয়ে বড় অর্জন হতে পারে বিপন্ন মানুষের খেদমত করে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা। দান সদকা ও জাকাত দেওয়ার মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি খুশী করা। কোরআন, নামাজ, মাসাআলা- মাসায়েলসহ ইসলামের সঠিক জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষা লাভ করা। কিয়ামুল্লাইল তাহাজ্জুদ তিলাওয়াত ও দোয়ার বিশেষ ইহতিমাম করা। হায়াত থাকলে আবার রমজান পাওয়া যাবে নয়তো এটাই আমাদের শেষ রমজান। একে সর্বোচ্চ আন্তরিক হয়ে রোজা নামাজ তওবা ইস্তেগফার ও ইবাদতের মধ্যদিয়ে পালন করা। দোয়া দরূদ তওবা জিকির জারি রাখা।
মানবজাতিকে আল্লাহ ক্ষমা করুণা ও অনুগ্রহে নতুন জীবনের সন্ধান দিন। ঈমান ও হেদায়েতের দিকে এগিয়ে আসার তাওফীক দিন। মুসলিম উম্মাহর ওপর বিশেষ রহমত করুন। জুলুম নির্যাতনের কবল থেকে উদ্ধার করুন। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে গায়েবি রহমত বরকত ও প্রোটেকশন নিশ্চিত করে বিশেষ ভাবে রক্ষা করুন। বিশ্বমন্দায়ও তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক বৃদ্ধি করে দিতে পারেন। ধ্বংসের মধ্যেও যাকে চান হেফাজত করেন।
বাংলাদেশের জন্য আগামী ২০/২৫ দিনের মাথায় করোনার ভয়াবহ অবস্থা প্রকাশিত হওয়ার কঠিন আশঙ্কার সময়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের বরকতে হেফাজতে রেখে এমন আশঙ্কা ও বিশ্ব অভিজ্ঞতা ভুল সাব্যস্ত করুন। দ্রুত জামাত জুমা তারাবি ইত্যাদি মসজিদে গিয়ে পড়ার পরিস্থিতি ফিরিয়ে দিন। জীবনযাত্রার সব কিছু এবং ধর্মীয় সামাজিক আর্থিক দিক স্বাভাবিক করে দিন।
মানুষের তৎপরতা বিবর্জিত এ ভীতিকর সময়টিকেই নিজের খাস রহমত ও কুদরতের দ্বারা আল্লাহ আমাদের জন্য লাভজনক ও উপকারী বানিয়ে দিন। আবহাওয়া ভালো রাখুন। জলে স্থলে অন্তরীক্ষে তার অবারিত দান ও রিজিকে ভরপুর করে দিন।
বাংলাদেশের সাগর, নদী, ক্ষেত, খামার, খনি, জমিন, আকাশ, বাতাস ও মানুষের দেহ মন হৃদয়ে বিশেষ দয়া দান, রহমত ও বরকত এভাবেই দিয়ে দেন, যাতে আমরা সবাই সমৃদ্ধ ও সন্তুষ্ট হয়ে যেতে পারি। তার আমরণ শুকরিয়া আদায় করে যেতে পারি। বিপদ দিনের এই রমজানে এই আমাদের প্রার্থনা।
তুমি খুশী হয়ে ডেকে নাও যদি,
তবে চলে যেতে নেই আফসোস,
নেই কোনো ভয়।
তুমি কোনো এক সুসময়ে তুলে নেবে,
সাগ্রহ প্রতীক্ষার হবে অবসান।
গুনাহে আপাদমস্তক মোড়া,
অর্জনে চরম হতাশ,
দেখাবার মতো মুখ নেই আমার --
তবে তুমি বড়ো দয়াবান।
প্রীতি ও ভীতি ভরা সম্পর্কের,
তোমার ভালোবাসার,
তোমার ক্ষমা ও রহমতের হবে
হবে জয়।
তুমি ডাকবে আর আমার যেতে মন চাইবে না,
তা কি সম্ভব, এটাও কি হয়?'
২৪.৪.২০২০ ঈ. পহেলা রমজান ১৪৪১ চাঁদরাত
মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী
চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালক, ঢাকা সেন্টার ফর দাওয়াহ এন্ড কালচার
রহমত বরকত মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবার এসেছে পবিত্র রমজান। বহু বছর ধরে বাংলাদেশে এই মহিমান্বিত মাসের অভিজ্ঞতা এমন দেখা গেছে যে, আগে পরের আবহাওয়ার বাইরে ভিন্ন এক বাতাবরণ নিয়ে এসেছে এই রমজান। প্রচন্ড তাপদাহ পরিনত হয়েছে শীতল ছায়াময় মায়াময় ভুবনে। তিরিশ দিনই হালকা রোদ ছায়া, কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, কখনো ঠান্ডা বাতাস। রমজানের পর আবার যেই সেই। অন্তত গত দশ বছর ধরে গ্রীষ্মের রমজান বাংলাদেশে এমনই ছিলো।
এবারের রমজান এমন এক সময় এসেছে, যখন অস্বাভাবিক এক প্রাণঘাতী মহামারীতে গোটা পৃথিবী কাতর। নোভেল করোনাভাইরাস কোভিড১৯ এর প্রাদুর্ভাবে বিশ্বময় মানবজাতি তটস্থ। দুনিয়াজুড়ে মানুষ ঘরে ঢুকে গেছে। তিন চারমাস ধরে বিশ্বের প্রায় সবদেশ অদ্ভুত এক অচলায়তন। অর্থনীতি লাইফসাপোর্টে। মানুষ মরছে, আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যুভয়ে কাঁপছে। লাশের মিছিল বহন করে করে কাঁদছে। বাকিরা ঘরে বসে থেকে হাঁপিয়ে উঠছে। আর কোটি কোটি মানুষ জীবন- জীবিকার তাড়নায় ধুঁকছে।
এসময় মক্কা ও মদীনার দুই প্রধান মসজিদের কার্যক্রম চরমভাবে সীমিত। ওমরাহ বন্ধ। তাওয়াফ নিয়ন্ত্রিত। নামাজ জামাত জুমা তারাবি নামমাত্র। এটি মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় শরিয়তের বিধানের আলোকেই গৃহীত সিদ্ধান্ত। গোটা মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়ার সতর্কতা এমনই। কোথাও মসজিদ বন্ধ। কোথাও অতি সীমিত।
এমন সংকট মুহূর্তেই জগৎজুড়ে রমজান এলো। আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশেও আল্লাহর রহমত বরকত মাগফিরাত ও নাজাতের অবারিত সওগাত নিয়ে এসেছে সৌভাগ্যের রমজান। এদেশের সাড়ে চার লাখ মসজিদে তারাবি হবে খুবই সীমিত আকারে। আর ৯৯ ভাগ নামাজি সারা দুনিয়ার অধিকাংশ মুসলমানের মতোই এ বছরের তারাবি পড়বেন নিজ নিজ পরিসরে। শরীয়তের রুখসত, সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি অনুসরণ করে।
এতে নামাজ ও কোরআনের বরকত ছড়িয়ে যাবে ঘরে ঘরে। চার পাঁচ লাখের জায়গায় এবার এমনকি বিশ পঁচিশ লাখ খতম তারাবি অনুষ্ঠিত হওয়াও বিচিত্র নয় এই বাংলাদেশে। বিপদের দিনে আল্লাহর দিকে রুজু হয় মানুষ। ঘরে তারাবি হবে তাই এবার সম্ভব হলে পারিবারিক পরিসরে শিশু ও মহিলারাও শরিক হবেন ইনশাআল্লাহ। হাফেজ সাহেবরা নিজের অবস্থান বা নির্বাচিত স্থানে সামান্য কিছু মুসল্লী এলাউ করে ছোট্ট ছোট্ট জামাতও করতে পারেন।
সামগ্রিক ভাবে পরিস্থিতি খারাপ হলেও মুসলমানদের জন্য এ অবস্থায় রমজান আসা মানে মুক্তির চাবিকাঠি হাতে আসা। জীবন মৃত্যু আল্লাহর হাতে। আল্লাহর খাতায় লেখা থাকলে মওত হবে। করোনাকালে পবিত্র রমজানে তওবা ও ঈমানের সাথে শহীদি বিদায়, মৃত্যু হিসাবে একেবারে মন্দ না। আল্লাহর রাস্তায় শাহাদতের পরের স্তর তথা মোটামুটি সেকেন্ড ক্লাসের মৃত্যু। বান্দার কাজ তাকদীরের ওপর বিশ্বাস করে সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর ঈমান আস্থা ভরসা রেখে নিজ নিজ কর্তব্য করে যাওয়া। কোরআন হাদিস ইতিহাস অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের মতের আলোকে সঠিক এবং সতর্ক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
বিপদ একদিক দিয়ে রহমতও হতে পারে। প্রতিটি মন্দেরই ভালো দিক থাকে। এ সময়ে সবচেয়ে বড় অর্জন হতে পারে বিপন্ন মানুষের খেদমত করে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা। দান সদকা ও জাকাত দেওয়ার মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি খুশী করা। কোরআন, নামাজ, মাসাআলা- মাসায়েলসহ ইসলামের সঠিক জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষা লাভ করা। কিয়ামুল্লাইল তাহাজ্জুদ তিলাওয়াত ও দোয়ার বিশেষ ইহতিমাম করা। হায়াত থাকলে আবার রমজান পাওয়া যাবে নয়তো এটাই আমাদের শেষ রমজান। একে সর্বোচ্চ আন্তরিক হয়ে রোজা নামাজ তওবা ইস্তেগফার ও ইবাদতের মধ্যদিয়ে পালন করা। দোয়া দরূদ তওবা জিকির জারি রাখা।
মানবজাতিকে আল্লাহ ক্ষমা করুণা ও অনুগ্রহে নতুন জীবনের সন্ধান দিন। ঈমান ও হেদায়েতের দিকে এগিয়ে আসার তাওফীক দিন। মুসলিম উম্মাহর ওপর বিশেষ রহমত করুন। জুলুম নির্যাতনের কবল থেকে উদ্ধার করুন। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে গায়েবি রহমত বরকত ও প্রোটেকশন নিশ্চিত করে বিশেষ ভাবে রক্ষা করুন। বিশ্বমন্দায়ও তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক বৃদ্ধি করে দিতে পারেন। ধ্বংসের মধ্যেও যাকে চান হেফাজত করেন।
বাংলাদেশের জন্য আগামী ২০/২৫ দিনের মাথায় করোনার ভয়াবহ অবস্থা প্রকাশিত হওয়ার কঠিন আশঙ্কার সময়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের বরকতে হেফাজতে রেখে এমন আশঙ্কা ও বিশ্ব অভিজ্ঞতা ভুল সাব্যস্ত করুন। দ্রুত জামাত জুমা তারাবি ইত্যাদি মসজিদে গিয়ে পড়ার পরিস্থিতি ফিরিয়ে দিন। জীবনযাত্রার সব কিছু এবং ধর্মীয় সামাজিক আর্থিক দিক স্বাভাবিক করে দিন।
মানুষের তৎপরতা বিবর্জিত এ ভীতিকর সময়টিকেই নিজের খাস রহমত ও কুদরতের দ্বারা আল্লাহ আমাদের জন্য লাভজনক ও উপকারী বানিয়ে দিন। আবহাওয়া ভালো রাখুন। জলে স্থলে অন্তরীক্ষে তার অবারিত দান ও রিজিকে ভরপুর করে দিন।
বাংলাদেশের সাগর, নদী, ক্ষেত, খামার, খনি, জমিন, আকাশ, বাতাস ও মানুষের দেহ মন হৃদয়ে বিশেষ দয়া দান, রহমত ও বরকত এভাবেই দিয়ে দেন, যাতে আমরা সবাই সমৃদ্ধ ও সন্তুষ্ট হয়ে যেতে পারি। তার আমরণ শুকরিয়া আদায় করে যেতে পারি। বিপদ দিনের এই রমজানে এই আমাদের প্রার্থনা।
তুমি খুশী হয়ে ডেকে নাও যদি,
তবে চলে যেতে নেই আফসোস,
নেই কোনো ভয়।
তুমি কোনো এক সুসময়ে তুলে নেবে,
সাগ্রহ প্রতীক্ষার হবে অবসান।
গুনাহে আপাদমস্তক মোড়া,
অর্জনে চরম হতাশ,
দেখাবার মতো মুখ নেই আমার --
তবে তুমি বড়ো দয়াবান।
প্রীতি ও ভীতি ভরা সম্পর্কের,
তোমার ভালোবাসার,
তোমার ক্ষমা ও রহমতের হবে
হবে জয়।
তুমি ডাকবে আর আমার যেতে মন চাইবে না,
তা কি সম্ভব, এটাও কি হয়?'
২৪.৪.২০২০ ঈ. পহেলা রমজান ১৪৪১ চাঁদরাত
Comments
Post a Comment