প্রকৃতপক্ষে মাদখালি কারা?
Who Are Really Madkhalis?
মাদখালিয়াহ।এটি একটি নাম।তবে এ নামটা নেতিবাচক নাম। উপমহাদেশসহ সারা মুসলিম বিশ্বে এ নামটি আলোচিত সমালোচিত।মূলত এ নামটি সৌদি আরব ও আহলে হাদিস সালাফিদের উপর প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে মাদখালি কারা এটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও সংশয় রয়েছে।১৯৯৪-৯৫সাল। সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায এর মৃত্যুর দেড় বছর পরে মদিনা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোন একটা বিষয় নিয়ে হঠাৎ হইচই শুরু।মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে চার শ্রেণীর ছাত্র ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়। আহলে হাদিস সালাফি (এরা আবার দুই পক্ষ, ডঃ বারী ও ডঃ গালিব), জামায়াতে ইসলামী, দেওবন্দি কওমি এবং ছারছীনা/ফুরফুরা/নেছারাবাদীর মতো মতাদর্শের অনুসারীরা। তৎকালীন সময় মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মরহুম একে এম ইউসুফ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ছিল।ভারত,পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকেও মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪-৫শ্রেনির শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য নির্ধারিত হয়।
হঠাৎ আহলে হাদিসদের ডাঃ বারী গ্রুপ দূর্বল হতে থাকে। সেই সময়ে এমন সব সালাফি শিক্ষার্থীরা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে শুরু করে যারা নিজেদেরকে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজেদের সম্পদ মনে করে এবং তারা দেওবন্দি কওমিসহ অন্যান্য পক্ষকে কোণঠাসা করা শুরু করে।সেইসমস্ত সালাফিরা ১৯৯৫-৯৬ সালে একবার খারেজী বিষয়ে সেমিনার শুরু করে। সেই সেমিনারের কর্ণধার ছিলেন রাবী আল মাদখালি।তিনি একটা দীর্ঘ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সেখানে হযরত সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রহঃ),ইমাম হাসানুল বান্নাহ (রহঃ),ডঃ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহঃ),শায়খ যাকারিয়া কান্ধলভী,তাবলীগি জামাতের ইলিয়াস কান্ধলভী,সাইয়েদ হুসাইন আহমেদ মাদানী(রহঃ) এর বিরুদ্ধে "খারেজী"অপবাদ দিয়ে তাদের নামে আজেবাজে কথা বলে। পরে সেই সেমিনারের প্রবন্ধটি " মানহাজুল আম্বিয়া ফি দাওয়া ইল্লাল্লাহ " নামে গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়।রাবী মাদখালি একজন ফিতনাবাজ হিসেবে প্রমাণিত হয়।
রাবী মাদখালি তার মানহাজুল আম্বিয়া বইয়ে আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানি,সাইয়েদ কুতুব শহীদ, ইমাম হাসানুল বান্নার মতো হকপন্থী আলেম উলামায়েকিরামদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন এবং তাদেরকে "জাহান্নামের দরজা ও খারেজী "বলে আখ্যায়িত করেন।(নাউজুবিল্লাহ) রাবী মাদখালির বইয়ে অসংখ্য আপত্তিকর ও বিভ্রান্তিকর কথা রয়েছে। রাবী মাদখালির বই থেকেই ভয়ংকর ফিতনার বজ্রধ্বনি আরম্ভ হয়। রাবী আল মাদখালি,মুহাম্মদ আল হাদী মাদখালী, মিশরের মুহাম্মদ আল রাসলান,ব্রিটেনের আবু খাদিজাহ,ব্রাদার শামসী এবং এদের সাঙ্গপাঙ্গরাই মাদখালিয়াতের অন্যতম গুরু। এই মাদখালিরা নিজেদেরকে আহলেহাদিস সালাফি দাবি করলেও তারা আসলে বিদআতী, গোমরাহ ও ফিতনাবাজ।এই মাদখালিরা বিভিন্ন দেশে দেশে হক্বপন্থি আলেম উলামাদের বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়েছে।এই মাদখালীরা তাবলীগ জামাত, ইসলামী গনজাগরণ, ইসলামী আন্দোলন ও তাসাউফের বিরুদ্ধে খারাও নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে। এই মাদখালিরা তাসাউফের বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলে। অথচ কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে তাসাউফ গ্রহণযোগ্য ও সঠিক।রাবী মাদখালির "মানহাজুল আম্বিয়া" নামক বইটা আহলেহাদিস সালাফীদেরকে মাদখালিয়াতে রূপান্তর করার চেষ্টা করছে। উপমহাদেশে আহলেহাদিস সালাফিদের অনেকেই মাদখালি নামক কু-মতাদর্শকেই সমর্থন করছে।
২০১৩ সালে মিশরের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসীর পতনের জন্য এই মাদখালীরাই দায়ী। এই মাদখালিরা বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ হকপন্থী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ইসলামী দল সংগঠনের বিরুদ্ধে তারা আজেবাজে কথা বলে অশান্তি সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম,হাফেজ্জী হুজুর রহঃ এর খেলাফত আন্দোলন,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর মতো দল সংগঠন এর বিরোধিতা করে কথিত মাদখালিরা মূলত ফিতনার বজ্রধ্বনি ছড়াচ্ছে।এই মাদখালিরা তাসাউফের বিরুদ্ধাচারণ করে এবং ফুরফুরা-ছারছীনা,চরমোনাই,ঢালকানগর,জৌনপুরী,ফুলতলী,সোনাকান্দা ও নেছারাবাদীর মতো হক্কানী পীর মাশায়েখগণ যারা প্রকৃত ইসলামের অতন্দ্র প্রহরী তাদের বিরুদ্ধে তারা মুশরিক বিদাতি সহ নানান ধরনের আজেবাজে ভাষায় কথা বলে।এই কথিত মাদখালিরা মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমীন বা মুসলিম ব্রাদারহুড,ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও আফগানিস্তানের ইসলামী ইমারাহর মতো হকপন্থী মুজাহিদদের বিরোধিতা করে তাদের বিরুদ্ধে জঘন্য বিষোদগার প্রপাগান্ডা করে মুসলিম বিশ্বের মাঝে ফিতনা সৃষ্টি করেছে।বাংলাভাষীদের মধ্যে কথিত শেখ মতিউর রহমান মাদানী বা মতিউর দাম্মামী, আঃ রাজ্জাক বিন ইউসুফ ও মুজাঃবিন মু্হসিন গংরাই এই মাদখালিজমের প্রমোটার৷তবে হ্যা,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই কেউ মাদখালি হয় না৷
সাইয়েদ কুতুব শহীদ, ইমাম শহীদ হাসানুল বান্নাহ,আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ),শায়খ যাকারিয়া কান্ধলভী (রহঃ),শায়খ ডঃ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহঃ),শায়খ ডঃ আল্লামা ইউসুফ কারজাভী,সৌদি আরবের শায়খ ডঃ মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আল আরিফী,শায়খ আয়েয আল কারনী,শায়খ সালমান আল আওদাহ উনারা কেউ খারেজী অথবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। যারা উনাদেরকে খারেজী বলে তারা পথভ্রষ্ট ।সৌদি আরবের বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স MBS ও মিশরের কু শাসক আব্দুল ফাতা সিসির অপকর্মের সমালোচনা করলে কেউ খারেজী হতে পারে না৷সউদি আরব সহ কতিপয় আরব দেশগুলোতে অসংখ্য হকপন্থী আলেমদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও জেল জুলুমের জন্য এই মাদখালিরাই দায়ী।এই মাদখালিরা মূলত সৌদি আরবের MBS ও মিশরের সিসির মতো কু-শাসকদের পেট্টোডলারে পরিচালিত হয়।তাই এরা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ও কাতারের আমির তামিম আল থানির মতো হকপন্থী শাসকদের তারা ভালোভাবে দেখতে পারে না। বর্তমানে সৌদি আরব ও UAE এর শাসকদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টির জন্য এই মাদখালিরাই দায়ী৷২০১৩ সালে মিশরে নিরীহ মুসলিমদের উপর গণহত্যা, ২০১৭ সালে কাতার সংকট এবং লিবিয়ার বর্তমান সংকটাপন্ন অবস্থার জন্য এই কথিত মাদখালি নজদীদের হাত রয়েছে৷দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানে অসংখ্য আহলেহাদিস সালাফিরা মাদখালিয়াতের খপ্পরে পড়েছে৷আমি অবশ্য ডঃ সাইফুল্লাহ, ডা আসাদুল্লাহ আল গালিব,শাইখ মাওঃ শহীদুল্লাহ্ খান মাদানী,ড মুসলেহ উদ্দিন, ডঃ মুহাম্মদ ইমাম হোসেন, ডঃ আবুবকর মুহাম্মদ যাকারিয়া এদেরকে কোনোভাবেই মাদখালি বলতে চাইনা৷তাই বুঝা গেল যে, যারা রাবী আল মাদখালি গংদের গোমরাহী আকিদায় বিশ্বাসী ও যারা MBS এর মত কু-শাসকদের একনিষ্ঠ সমর্থন জানায় তারাই মূলত মাদখালী। সব আহলেহাদিসরা মাদখালী নয় আবার সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ ও খারিজীদের বিরুদ্ধে কথা বললে কেউ মাদখালি হয়না৷ (আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান কর, আমিন!)
No To Madkhalism, Yes To Ahlus Sunnah
Who Are Really Madkhalis?
মাদখালিয়াহ।এটি একটি নাম।তবে এ নামটা নেতিবাচক নাম। উপমহাদেশসহ সারা মুসলিম বিশ্বে এ নামটি আলোচিত সমালোচিত।মূলত এ নামটি সৌদি আরব ও আহলে হাদিস সালাফিদের উপর প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে মাদখালি কারা এটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও সংশয় রয়েছে।১৯৯৪-৯৫সাল। সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায এর মৃত্যুর দেড় বছর পরে মদিনা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোন একটা বিষয় নিয়ে হঠাৎ হইচই শুরু।মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে চার শ্রেণীর ছাত্র ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়। আহলে হাদিস সালাফি (এরা আবার দুই পক্ষ, ডঃ বারী ও ডঃ গালিব), জামায়াতে ইসলামী, দেওবন্দি কওমি এবং ছারছীনা/ফুরফুরা/নেছারাবাদীর মতো মতাদর্শের অনুসারীরা। তৎকালীন সময় মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মরহুম একে এম ইউসুফ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ছিল।ভারত,পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকেও মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪-৫শ্রেনির শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য নির্ধারিত হয়।
হঠাৎ আহলে হাদিসদের ডাঃ বারী গ্রুপ দূর্বল হতে থাকে। সেই সময়ে এমন সব সালাফি শিক্ষার্থীরা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে শুরু করে যারা নিজেদেরকে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজেদের সম্পদ মনে করে এবং তারা দেওবন্দি কওমিসহ অন্যান্য পক্ষকে কোণঠাসা করা শুরু করে।সেইসমস্ত সালাফিরা ১৯৯৫-৯৬ সালে একবার খারেজী বিষয়ে সেমিনার শুরু করে। সেই সেমিনারের কর্ণধার ছিলেন রাবী আল মাদখালি।তিনি একটা দীর্ঘ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সেখানে হযরত সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রহঃ),ইমাম হাসানুল বান্নাহ (রহঃ),ডঃ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহঃ),শায়খ যাকারিয়া কান্ধলভী,তাবলীগি জামাতের ইলিয়াস কান্ধলভী,সাইয়েদ হুসাইন আহমেদ মাদানী(রহঃ) এর বিরুদ্ধে "খারেজী"অপবাদ দিয়ে তাদের নামে আজেবাজে কথা বলে। পরে সেই সেমিনারের প্রবন্ধটি " মানহাজুল আম্বিয়া ফি দাওয়া ইল্লাল্লাহ " নামে গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়।রাবী মাদখালি একজন ফিতনাবাজ হিসেবে প্রমাণিত হয়।
রাবী মাদখালি তার মানহাজুল আম্বিয়া বইয়ে আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানি,সাইয়েদ কুতুব শহীদ, ইমাম হাসানুল বান্নার মতো হকপন্থী আলেম উলামায়েকিরামদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন এবং তাদেরকে "জাহান্নামের দরজা ও খারেজী "বলে আখ্যায়িত করেন।(নাউজুবিল্লাহ) রাবী মাদখালির বইয়ে অসংখ্য আপত্তিকর ও বিভ্রান্তিকর কথা রয়েছে। রাবী মাদখালির বই থেকেই ভয়ংকর ফিতনার বজ্রধ্বনি আরম্ভ হয়। রাবী আল মাদখালি,মুহাম্মদ আল হাদী মাদখালী, মিশরের মুহাম্মদ আল রাসলান,ব্রিটেনের আবু খাদিজাহ,ব্রাদার শামসী এবং এদের সাঙ্গপাঙ্গরাই মাদখালিয়াতের অন্যতম গুরু। এই মাদখালিরা নিজেদেরকে আহলেহাদিস সালাফি দাবি করলেও তারা আসলে বিদআতী, গোমরাহ ও ফিতনাবাজ।এই মাদখালিরা বিভিন্ন দেশে দেশে হক্বপন্থি আলেম উলামাদের বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়েছে।এই মাদখালীরা তাবলীগ জামাত, ইসলামী গনজাগরণ, ইসলামী আন্দোলন ও তাসাউফের বিরুদ্ধে খারাও নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে। এই মাদখালিরা তাসাউফের বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলে। অথচ কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে তাসাউফ গ্রহণযোগ্য ও সঠিক।রাবী মাদখালির "মানহাজুল আম্বিয়া" নামক বইটা আহলেহাদিস সালাফীদেরকে মাদখালিয়াতে রূপান্তর করার চেষ্টা করছে। উপমহাদেশে আহলেহাদিস সালাফিদের অনেকেই মাদখালি নামক কু-মতাদর্শকেই সমর্থন করছে।
২০১৩ সালে মিশরের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসীর পতনের জন্য এই মাদখালীরাই দায়ী। এই মাদখালিরা বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ হকপন্থী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ইসলামী দল সংগঠনের বিরুদ্ধে তারা আজেবাজে কথা বলে অশান্তি সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম,হাফেজ্জী হুজুর রহঃ এর খেলাফত আন্দোলন,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর মতো দল সংগঠন এর বিরোধিতা করে কথিত মাদখালিরা মূলত ফিতনার বজ্রধ্বনি ছড়াচ্ছে।এই মাদখালিরা তাসাউফের বিরুদ্ধাচারণ করে এবং ফুরফুরা-ছারছীনা,চরমোনাই,ঢালকানগর,জৌনপুরী,ফুলতলী,সোনাকান্দা ও নেছারাবাদীর মতো হক্কানী পীর মাশায়েখগণ যারা প্রকৃত ইসলামের অতন্দ্র প্রহরী তাদের বিরুদ্ধে তারা মুশরিক বিদাতি সহ নানান ধরনের আজেবাজে ভাষায় কথা বলে।এই কথিত মাদখালিরা মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমীন বা মুসলিম ব্রাদারহুড,ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও আফগানিস্তানের ইসলামী ইমারাহর মতো হকপন্থী মুজাহিদদের বিরোধিতা করে তাদের বিরুদ্ধে জঘন্য বিষোদগার প্রপাগান্ডা করে মুসলিম বিশ্বের মাঝে ফিতনা সৃষ্টি করেছে।বাংলাভাষীদের মধ্যে কথিত শেখ মতিউর রহমান মাদানী বা মতিউর দাম্মামী, আঃ রাজ্জাক বিন ইউসুফ ও মুজাঃবিন মু্হসিন গংরাই এই মাদখালিজমের প্রমোটার৷তবে হ্যা,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই কেউ মাদখালি হয় না৷
সাইয়েদ কুতুব শহীদ, ইমাম শহীদ হাসানুল বান্নাহ,আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ),শায়খ যাকারিয়া কান্ধলভী (রহঃ),শায়খ ডঃ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহঃ),শায়খ ডঃ আল্লামা ইউসুফ কারজাভী,সৌদি আরবের শায়খ ডঃ মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আল আরিফী,শায়খ আয়েয আল কারনী,শায়খ সালমান আল আওদাহ উনারা কেউ খারেজী অথবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। যারা উনাদেরকে খারেজী বলে তারা পথভ্রষ্ট ।সৌদি আরবের বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স MBS ও মিশরের কু শাসক আব্দুল ফাতা সিসির অপকর্মের সমালোচনা করলে কেউ খারেজী হতে পারে না৷সউদি আরব সহ কতিপয় আরব দেশগুলোতে অসংখ্য হকপন্থী আলেমদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও জেল জুলুমের জন্য এই মাদখালিরাই দায়ী।এই মাদখালিরা মূলত সৌদি আরবের MBS ও মিশরের সিসির মতো কু-শাসকদের পেট্টোডলারে পরিচালিত হয়।তাই এরা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ও কাতারের আমির তামিম আল থানির মতো হকপন্থী শাসকদের তারা ভালোভাবে দেখতে পারে না। বর্তমানে সৌদি আরব ও UAE এর শাসকদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টির জন্য এই মাদখালিরাই দায়ী৷২০১৩ সালে মিশরে নিরীহ মুসলিমদের উপর গণহত্যা, ২০১৭ সালে কাতার সংকট এবং লিবিয়ার বর্তমান সংকটাপন্ন অবস্থার জন্য এই কথিত মাদখালি নজদীদের হাত রয়েছে৷দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানে অসংখ্য আহলেহাদিস সালাফিরা মাদখালিয়াতের খপ্পরে পড়েছে৷আমি অবশ্য ডঃ সাইফুল্লাহ, ডা আসাদুল্লাহ আল গালিব,শাইখ মাওঃ শহীদুল্লাহ্ খান মাদানী,ড মুসলেহ উদ্দিন, ডঃ মুহাম্মদ ইমাম হোসেন, ডঃ আবুবকর মুহাম্মদ যাকারিয়া এদেরকে কোনোভাবেই মাদখালি বলতে চাইনা৷তাই বুঝা গেল যে, যারা রাবী আল মাদখালি গংদের গোমরাহী আকিদায় বিশ্বাসী ও যারা MBS এর মত কু-শাসকদের একনিষ্ঠ সমর্থন জানায় তারাই মূলত মাদখালী। সব আহলেহাদিসরা মাদখালী নয় আবার সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ ও খারিজীদের বিরুদ্ধে কথা বললে কেউ মাদখালি হয়না৷ (আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান কর, আমিন!)
No To Madkhalism, Yes To Ahlus Sunnah
বর্তমানে আহলে হাদিসের আলেম আবু বকর জাকারিয়া,এখন পুরোপুরি ভাবে মাদখালিদের অন্তর্গত,ইউটিউবে তার বক্তব্যগুলা শুনলেই বুঝতে পারা যায়।
ReplyDeleteআবু বকর জাকারিয়া শুধু এস,আর,টি এরদোগান ও শাসকদের বিরুদ্বে কথা বলে,আর এম,বি সালমানসহ অন্যান্য আরব মুনাফেক শাসকদের পক্ষে কথা বলে।
সাম্প্রতি জাকারিয়া সাহেব এই দেশের একজন বক্তা আবু ত্বহা আদনানকে "খারেজী" বলে অপবাদ দিয়েছে।
আর এটাই হল আবু বকর জাকারিয়া এর বৈশিষ্ট্য