একটা নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে:বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে, বিজ্ঞান প্রসার ও ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদান
একটা নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে:বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে, বিজ্ঞান প্রসার ও ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদান
সংকলনে:শেখ আহসান উদ্দিন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯২০সালের ১৭মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি,রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী,রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার ০৭মার্চের ভাষণ আমাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার উৎস। অনেক মানুষ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক কিছু বলে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শেরে বাংলা ফজলুল হক,সোহরাওয়ার্দী,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব,মাওলানা ভাষানী উনাদের প্রত্যেককে সম্মান দেখানো ও তাদের জন্য দোয়া করা উচিৎ।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা তার অন্যতম রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তিভূমি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ৮টি শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করে। সব কমিশন ছিল এ দেশের মানুষের মৌলচেতনা, সমাজ-সংস্কৃতি ও কৃষ্টিবিরোধী। ১৯৭০ সালে নির্বাচনী বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে বিনিয়োগকে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ বলে অভিহিত করেন। সে আলোকে ১৯৭৪ সালে একটি সুদূরপ্রসারী শিক্ষার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন জাতিকে উপহার দিয়েছেন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান প্রণীত অধ্যাদেশ বাতিল করে ১৯৭৩ সালে উচ্চশিক্ষা প্রসারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীন পেশা ও বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেছিলেন।১৯৭৪ সালে প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনে বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, জনগণই সব সাহিত্য ও শিল্পের উৎস। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনোদিন মহৎ সাহিত্য বা উন্নত শিল্পকর্ম হতে পারে না। তিনি শিল্পী-সাহিত্যিকদের খুবই সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ ১৯৭৪ সালে প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে প্রধান অতিথির পদ অলঙ্কৃত করার আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি তার পরিবর্তে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ও পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। ওই সময়ে তিনি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে আসেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য করাকে অপছন্দ করেন। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্যেও তার অনেক অবদান আছে।
বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান।
বড় বিচিত্র, বর্ণাঢ্য আর কীর্তিতে ভরা তার গোটা জীবন। বাংলাদেশকে সব ধর্মের সব মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি ছিলেন সদা সচেষ্ট। বঙ্গবন্ধুর স্বল্পকালীন শাসনামলে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণার্থে গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ভৌত অবকাঠামোগত পদক্ষেপ যেমন ছিল, তেমনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের বিষয়াদি বিবেচনায় রেখে তিনি ইসলামের প্রচার-প্রসারে গ্রহণ করেছিলেন বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকরী নানা ব্যবস্থা।
তিনি যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনিই। এ দুটি অনন্য সাধারণ অনুষঙ্গ বঙ্গবন্ধুর জীবনকে দান করেছে উজ্জ্বল মহিমা।
ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা, প্রচার-প্রসার ও এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সামগ্রিক জীবনকে মহান ধর্ম ইসলামের কল্যাণময় স্রোতধারায় সঞ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে সরকারি জায়গা বরাদ্দ : বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সামাধান করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে তুরাগ নদীর তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। সেখানেই আজ পর্যন্ত তাবলিগ জামাত বিশ্ব ইজতেমা করে আসছে।কাকরাইল মসজিদের সম্প্রসারণ, রেডিও ও টিভিতে কুরআন তিলাওয়াত,১২রবিউল আউয়াল মিলাদুন্নবী(সাঃ),১৫শাবানের রাত বা শবেবরাত ও ২৭রমজান লাইলাতুল কদরে সরকারি ছুটি ঘোষণা ইত্যাদি বঙ্গবন্ধুর অন্যতম অবদান।
১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আরব বিশ্বের পক্ষে সমর্থন করেন এবং এ যুদ্ধে বাংলাদেশ তার সীমিত সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ অবদান রাখার চেষ্টা করেন।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) অধিবেশনে যোগদান করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়েই বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মাঝে বাংলাদেশের স্থান করে নেন। ওআইসি সম্মেলনে যোগদান করে ইসলাম ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু মুসলিম নেতাদের সামনে যে বক্তব্য তুলে ধরেন
আমার লেখার সমাপ্তি এখানেই
Comments
Post a Comment