আমাদের কিছু আঁতেলের সিলেক্টিভ মানবতার নমুনা
সাইয়েদ গোলাম কিবরিয়া আযহারী
আমাদের দেশের কিছু আঁতেল যারা আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের উপর ফুলের টুকা পড়লেও চীৎকার চেচামেচি, প্রতিবাদ -বিক্ষোভ ও লেখালেখি করে, এমনেস্টি, হিন্দু উগ্রবাদী দাংগাবাজ মোদীসহ "তথাকথিত" বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাদের অনেকেই আজ ইসরাইল-প্যালেস্টাইন ইস্যূতে বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনীদের পক্ষে সহমর্মিতা প্রকাশ, ইসরাইলের বিরুদ্ধে লেখালেখি, অনলাইন অফলাইন প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ইত্যাদি নিয়ে অনেকটা এরকম প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন,
"এসব লেখালেখি ও প্রতিবাদ করে কোন লাভ নাই। শিক্ষা দীক্ষা, জ্ঞান বিজ্ঞান, টেকনোলজিতে, নিজস্ব সংস্কৃতি দিয়ে বিশ্বে এগিয়ে না গেলে এগুলো হবেই।"
অর্থ্যাৎ আপনি ক্ষমতাধর না হয়ে দুর্বল হলে সবলের হাতে মার খাবেনই। এটাই পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়ম।
আমার প্রতিউত্তরঃ
---------------------
আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের উপর কাল নামধারী মুসলমান কিছু সন্ত্রাসী জংগী হামলা করলে পরে, আমিও সংখ্যালগুদের উদ্দেশ্যে বলব, "ক্ষমতা না থাকলে, শক্তি না থাকলে এগুলো হবেই। ক্ষমতা ও শক্তি দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আর না হলে মার খেতেই হয়।"
তখন আমাকে কিন্তু আবার মাঝখান দিয়া অন্য কিছু ভাববেন না।
উল্লেখ্যঃ আমি জাস্ট তাদের বিবেকে আঘাত করার জন্য একটা উপমা দিলাম। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপাদমস্তক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী মানুষ। সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্ম চর্চা করবে এটাই আমার দর্শন।
আর মুসলমানরা জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষা সংস্কৃতিতে পিছিয়ে সেটা আমিও সবসময় স্বীকার করি ও সবসময় এ প্রসঙ্গে কথা বলি৷
কিন্তু উপদেশ দেয়ার টাইম আছে। আছে তরিকা।
জুলুম নির্যাতন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তীব্র আওয়াজ তুলে, কিছুটা উপদেশ দেয়া যায়।
এভাবে খালি মুখে উপদেশ কেউ নেয় না। মাঝখান দিয়া (দালাল...) অন্যকিছু ভাবে৷
জুলুম নির্যাতন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলার জন্য সকল বৈধ ও গঠনমূলক পন্থায় প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন।
আর কিছু না হোক, আল্লাহ পাকের দরবারে অন্তত এই প্রতিবাদ রেকর্ড হচ্ছে৷ কাল হাশরের দিনে তাঁর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার সামনে হয়ত বলা যাবে, রাস্তায় নেমে অন্তত প্রতিবাদ করেছি আপনার নির্যাতিত উম্মতের তরে। বিবেকের দংশন থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়। যদিও মন প্রচন্ড অশান্ত এই সমস্যা শুরুর পর থেকেই৷ বিশেষ করে বাচ্চা শিশুগুলোর রক্তাক্ত চেহারা চোখের সামনে ভাসছেই।
আল্লাহ পাক খাস রহমত করুন ফিলিস্তিনবাসীর উপর, আর ইসরায়েলী দখলদার হানাদার অবৈধ রাষ্ট্রকে ধবংস করুন। আমিন।
Comments
Post a Comment