দেশ বিদেশের আহলে হাদিস সালাফি হুজুররা তো মুক্তিকামী হামাসকে জংগী ও বদ আকিদা বলছেই। এদিকে মধ্যমপন্থী মিষ্টি চেহারার মিষ্টিভাষী শায়খরা শুধুমাত্র আমেরিকা জাতিসংঘের বিরুদ্ধেই অনবরত লিখছেন আর কথা বলছেন। মাঝে মাঝে ও আই সিকে একটু খুঁচা দেন৷ একটু মায়াকান্না ফিলিস্তিনিদের জন্য। ব্যাস। কিন্তু সৌদির বিরুদ্ধে তারা নিরব। সৌদি সাহায্য ও প্রতি বছরের হজ্জ কাফেলা নিয়ে যাওয়ার ব্যবসা বন্ধের ভয় তাদের মাঝেও পরিলক্ষিত। হায়রে দুনিয়া!
নিরপেক্ষভাবে কথা বলতে না পারলে, ঘরের শত্রু বিভীষণদের বিরুদ্ধে না বলতে পারলে এই প্রসঙ্গে জবান বন্ধ রাখা উচিত।
সিলেক্টিভ মানুষদের জন্য মানবতা ও সিলেক্টিভ জালিমদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ খুবই খারাপ।
উহুদ যুদ্ধে যাওয়ার সময় মুনাফিক সর্দার ইবনে উবাই ইবনে সলুল তার বাহিনী নিয়ে ফিরে যায় মদিনাতে। সৌদি, মিশর, আমিরাত এবং বেশিরভাগ আরব ও মুসলিম দেশ আজ সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ অবৈধ দখলদার হানাদার জালিম ইসরাইলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর বিষয়েও।
কোথায় আজ সৌদি সাবেক বাদশাহ কিং ফয়সলের সেই ইমানী চেতনা? যিনি আমেরিকার জন্য তেলের সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন ইসরায়েল ইস্যূ নিয়ে মতবিরোধের কারণেই। আর আমেরিকার হুমকির জবাবে বলেছিলেন, আমরা খেজুর ও পানি খেয়ে জীবনযাপন করা বেদুইন আরবের বংশধর। ডলারের সাপ্লাই বন্ধ হওয়ার হুমকি আমাদেরকে দিয়ে লাভ নাই।
সৌদি ও অন্যান্য আরব দেশগুলোর বিরুদ্ধে বলুন! তাদের এই নিরবতাতে আমল আখলাকগত মুনাফিকির পরিচয় পাওয়া যায়। গদির লোভ ছাড়তে বলুন প্লিজ। হজ্জ ব্যবসা ও সৌদি সহায়তা আপনাদের জন্য বন্ধ হতে পারে। তা নিয়ে চিন্তা করেন কীনা বুঝা যাচ্ছে। আমেরিকা-জাতিসংঘের বিপক্ষে স্টেটাস তো ঠিকই দিলেন। আল কুফরু মিল্লাতুন ওয়াহিদাহ। সকল কাফির মিলে এক জাতি৷ ওরা কি মুসলমানদের আপন হবে কখনো?
যুদ্ধ করতেও কেউ বলছে না কোন মুসলমান দেশকে। চারপাশের সকল মুসলিম দেশ মিলে হুমকি দিলে ইসরায়েল কোনদিনও সাহস করবে না যুদ্ধ করার। যুদ্ধ হলে ওরাও শেষ হয়ে যাবে ভাল করে জানে তারা। যে ক্ষতি হবে তা ওরাও কাটিয়ে ওঠতে পারবে না৷ হামাসের ৩০০০ রকেট সামলাতেই হিমশিম খেয়েছে তারা। আয়রন ডোম টেকনোলজি ১০% ক্ষেত্রে ফেইল করেছে। ৫-৬ টি দেশ একসাথে এটাক করলে চারদিক ঘিরে কি হবে বুঝেন?
মুসলমানরা এক হলেই ওরা লেজ গুটিয়ে পালাবে। জানের মায়া, দেশের মায়া সবার আছে৷ এটাই বুঝতেছে না কিছু কাপুরুষ মুসলমান।
এক ফিলিস্তিন ইস্যূ আজ কত ধরনের মুসলমানদের পরিচয় যে ফাঁস করে দিল। আল্লাহ পাক হেদায়াত করুন আমাদের। ইমানী শক্তি বাড়িয়ে দিন। আমাদেরকে সব ভুলে এক হওয়ার তওফিক দিন। আমিন।
পিক পরিচিতিঃ সাবেক সৌদি বাদশা কিং ফয়সাল রাহ. দিল্লীর সৈয়দ নিজামুদ্দিন আউলিয়া রাহ. এঁর মাজার শরিফ জিয়ারত করে বের হচ্ছেন। তিনি যেন বনু ওমাইয়াদের মধ্যকার ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাহ. ছিলেন! জংগীবাদী কিংবা ফাসাদী নয়, বরং সত্যিকারের জি হা দী স্পিরিটের মুসলিম নেতারা কেন যেন সুফি অথবা সুফিদের ভক্তই হয়! সর্বযুগে। সেই আল আকসা বিজয়ী গাজী সালাহুদ্দিন আইয়্যুবি থেকে শুরু করে খাজায়ে আজমির হয়ে, ভারত বিজয়ী মুহাম্মদ ঘুরি, হজরত শাহজালাল মুজাররদ সোহরাওয়ার্দী, সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দিন, ওমরুল মুখতার সুনুসি, শায়খ আব্দুল কাদির জাযায়েরি, শায়খ শামিল নকশেবন্দী রাহ. থেকে শুরু করে হালের কিং ফয়সল, এরদোগান সকল সত্যিকারের উম্মতপ্রেমিক জি হা দী জযবার নেতাগণ হয়ত সুফি নয়ত সুফিপ্রেমিক। আর বাকিরা বিভিন্ন দুনিয়াবী এজেন্ডা নিয়ে চলে৷ এজেন্ডা অনুযায়ী সিলেক্টিভ মানবতা, সিলেক্টিভ প্রতিবাদ, সিলেক্টিভ মানুষদের জন্য তথাকথিত জি হা দ (পড়ুন ফাসাদ বিশৃঙ্খলা)!
কৃতঃ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আযহারী
#SavePalestine #SaveAlAqsa ❤️
Comments
Post a Comment