যাদেরকে তারা পেট্রোডলারের দরবারি আলেম বলে, কেমন তাঁদের আর্থিক অবস্থা” !!!
শাইখ সালেহ আল উসাইমীনের একটি ভাঙাচূড়া ঘর ছিল। একদিন বাদশাহ খালিদ তাঁর বাড়িতে বেড়াতে গেলেন। বাদশা তার জন্য একটা বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন। তিনি বললেন যে তার বাড়ির প্রয়োজন নেই। সালেহিয়্যাতে তাঁর একটা বাড়ি আছে। তিনি বললেন, চলুন আমরা জান্নাতের একটা বাড়ি বানাই। উনাইযার একটা মসজিদের অবস্থা বেহাল। আমরা সে মসজিদ সংস্কার করি।
বাদশাহ চলে গেলে, তাঁর ছেলে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন – “বাবা, সালেহিয়্যাতে আমাদের বাড়ি কোথায়?”
তিনি বললেন – “ওখানকার কবরস্থানটাই আমাদের বাড়ি।”
▌সুদূর মৌরিতানিয়া থেকে শায়খ বিন বায রহিমাহুল্লাহকে চিঠি লিখেছেন এক ভদ্র মহিলা। তার ছেলেকে শায়খ বিন বায পড়াশোনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে মেধাবৃত্তি দিয়ে আসছিলেন। তিনি চিঠিতে শায়খকে অনুরোধ করেছেন– তিনি যেন এই বৃত্তিটি চালিয়ে যান।
চিঠিতে তিনি বলেন, এই বৃত্তিটি বন্ধ করে দেওয়া হলে তার ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। তার পড়াশোনা শেষ হতে এখনো ২ বছর বাকি। এই মহূর্তে তিনি শায়খ বিন বায -এর কাছে অনুরোধ করা ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছেন না।
শায়খ বিন বায তাঁর সেক্রেটারিকে ডেকে বললেন, ডোনেশন ফান্ড থেকে ভদ্র মহিলাকে ২ বছরের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দিয়ে দিতে।
সেক্রেটারি জানাল, ডোনেশন ফান্ডের টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে। দেওয়ার মত কোনো টাকা নেই।
শায়খ তখন বললেন, তাহলে যাকাত ফান্ড থেকে দিয়ে দাও।
তখন সে বলল, যাকাত ফান্ডের টাকাও শেষ।
শয়খ বললেন, তাহলে আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাটা পাঠিয়ে দাও।
সেক্রেটারি এবারও জানাল যে, আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেও কোনো টাকা নেই শায়খ! আপনি এরকম অনেক জায়গায় টাকাগুলো দিয়ে দিয়েছেন!
অথচ সেটি ছিল মাসের মাঝখান। তিনি রহিমাহুল্লাহ মাসের মাঝখানেই সব টাকা সদকা করে দিয়েছেন!
শায়খ তখন তার সেক্রেটারিকে বললেন, তাহলে তুমি আমার নামে কিছু টাকা ধার নাও এবং সেটা পাঠানোর ব্যবস্থা কর। আশা করি আমি শীঘ্রই সেটা পরিশোধ করতে পারব।
তিনি ছিলেন সৌদি আরবের প্রধান মুফতি! যার পক্ষে হাজারো অজুহাত দিয়ে এরকম বৃত্তির আহবান প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ ছিল। তিনি সেটা না করে, টাকা ধার করে মৌরিতানিয়ার একজন মহিলাকে সাহায্য করলেন!
নি:সন্দেহে এরকম মহত্বের প্রতিদান দুনিয়াতে শোধ করা সম্ভব হয় না। যার জন্য প্রতিদান লাগে আখিরাতে। সেটা হল জান্নাত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা শায়খ বিন বায রহিমহুল্লাহকে তাঁর ভাল কাজগুলোর প্রতিদান স্বরুপ জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। আমিন।
শায়খ বিন বায রহিমাহুল্লাহর ছাত্র শায়খ ওয়ালীদ বাসনি -এর লেখা থেকে অনূদিত। [Courtesy: Sheperd Hajj Package]
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
© Ahlus Sunnah Wal Jama’ah
Comments
Post a Comment