হজ ইসলামের ০৫টি স্তম্ভের অন্যতম। ইমান,নামাজ,রোযা/সিয়াম,যাকাতের পরেই এর অবস্থান। মহানবী মুহাম্মদ সাঃ এর হিজরতের পরে ৬ষ্ঠ হিজরী অথবা ০৯ম হিজরীতে মুসলিমদের উপর হজ্ব ফরজ হয়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
(তরজমা)" মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।" -সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭।
হজ ফরজ হওয়ার শর্ত :১. ইসলাম ধর্মাবলম্বী হওয়া ২.বালেগ ও আকলবান হওয়া এবং ৩.ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া এবং বায়তুল্লাহতে পৌঁছার মত যানবাহন যেমন- বিমান, গাড়ী, সওয়ারী ইত্যাদির মালিক হওয়া অথবা এগুলোতে চড়ার মত ভাড়ারঅধিকারী হওয়া এবং যাদের ভরণপোষণ দেয়া ফরজ তাদের খরচ পুষিয়ে হজ্বে আসা-যাওয়া করার মত সম্পত্তির মালিক হওয়া বা মক্কা পর্যন্ত যাওয়ার সামর্থ্য সম্পদের যোগ্যতা থাকা।
হজের ফরয তিনটি ১.ইহরাম বাঁধা ২.০৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে অবস্থান বা উকুফে আরাফা এবং ৩.বাইতুল্লাহ বা কাবা শরীফে তাওয়াফে যিয়ারত।
হজের ওয়াযিব ছয়টি ১. ০৯ জিলহজ্জ সূর্যাস্তের পর থেকে ১০ জিলহজ ভোর পর্যন্ত মিনায় অবস্থান ২.১০ জিলহজ ভোরে মিনায় জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ ৩.কুরবানী করা ৪.মাথা মুন্ডানো ৫.মক্কায় সাফা মারওয়াহ সায়ী করা এবং ৬.তাওয়াফুল বিদা বা বাইতুল্লায় বিদায়ী তাওয়াফ
Comments
Post a Comment