🔴#ইরানে_২০১৮_সরকার_বিরোধী_অান্দোলন এবং #কিছু_কথা
মিডিয়া অাপনাকে বলেছিলো সৌদির জনগন তাদের সরকারকে চায়না! অালে সৌদ জোর করে ক্ষমতায় অাছে! কিন্তু বাস্তবতা হলো সৌদির জনগন অালে সৌদদের একটি ডাকে জীবন দিতেও প্রস্তুত!
অপরপক্ষে এই সৌদি বিরোধী মিথ্যাখবর যারা ছড়ায় তাদের দেশের জনগন তাদেরকে কতটুকু চায় তা একটু যাচাই করে দেখা যাক!
২০১৮ সালে ইরানের সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কারনে ভুক্তভোগী অভুক্ত জনগন সরনকালের সবচেয়ে বড় সরকার বিরোধী অান্দোলনে নামে। ইরান পৃথিবীর অন্যতম তেল সমৃদ্ধ দেশ হওয়া সত্ত্বেও তাদের অর্থনীতি প্রায় তলানিতে। এবং এর মূল কারন নিজের দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে মুসলিম দেশগুলোতে শিয়াজমের নামে অাল-কায়দা থেকে অাইএসঅাইএস, হুথি থেকে হিজবুল্লাহ, সবধরনের শিয়া-সুন্নি সন্ত্রাসী সংগঠনকে এসব তেল বিক্রির অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে লালল পালন করা।
এবং এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থায়নের মাধ্যমে নিজ দেশের জনগনের বর্তমান ও ভবিষ্যত গাঢ় অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে ইরানের তথাকথিত খোমেনি বিপ্লবি সরকার।কথিত এই বিপ্লব যার প্রকৃত নাম "অন্টি সুন্নি মিশন" অর্থাৎ যেকোনো উপায়ে সুন্নি দেশগুলোকে ও সু্ন্নি মুসলমানদের নিধন করা, এই বিপ্লব সয়ং ইরানের মেজরিটি জনগন চায়না। কিন্তু খুনি খোমেনির ভয়ে জনগন মুখ খুলতেও সচারাচর সাহস পায়না।
কথিত অারব বিপ্লবের সময় বিশ্বব্যপি মুসলিম দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদের জন্য অকতারে অর্থ ব্যয় করার কারনে নিজ দেশের জনগনকে তীব্র বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানহীনতা এবং তীব্র খাদ্যাভাবে ফেলে দেয় ইরানের রুহানি সরকারন।যার বদৌলতে একটি ডিমের দাম পর্যন্ত দ্বিগুণ হয়ে যায়। দ্রব্যমুল্য লাগামহীন ভাবে সাধারন মানুষের ধরা ছোয়ার বাহিরে চলে যায়।
এবং সাধারন মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনের ভয় ত্যাগ করে তেহরানের রাস্তায় নেমে অাসে। লাগাতার অান্দোলনের ৬-৮ দিন হয়ে গেলেও বিশ্ব মিডিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে তা কাভারেজ করেনি। অথচ এই মিডিয়াই সৌদিতে পান থেকে চুন খসে পরলেও মানুষকে ভুলভাল বুঝিয়ে সৌদিকে বদনাম করে। অান্দোলননে তীব্রতায় পুলিশ সাধারণত জনগনের উপর চরাও হলে সাধারন জনগনও পুলিশের উপর চরাও হয়,এতে বেসামরিক লোকসহ পুলিশও নিহত হয়।
কথিত বিপ্লবী খোমেনির ছবি পুরানো হয়,তার ভন্ডামির বীরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হয়।হাজারো ইরানি জনগনকে "মোল্লা রেজিম চাইনা" বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
কথিত বিপ্লবের ৪০ বছর পর ইরানের অর্জনের একটা খন্ড দৃশ্য এটা যদিও প্রকৃত অবস্থা অনেক বেশি শোচনিয়। কথিত ইমাম মাহদির বা শিয়াদের "১২ তম গুহাবাসী ইমাম" এর অাবির্ভাবের প্লট তৈরি করতে ইরানের মোল্লা রেজিম সবার উপর ৫% বাৎসরিক অনুদান বাধ্যতামুলক করেছে। এবং এই অনুদান ইরানের জনগনের কাছে গলার ফাস হয়ে দিনে দুপুরে ডাকাতির নামান্তর হয়ে অাছে।এইসব অর্থ সবই তাদের কথিত মোল্লারা গোগ্রাসে হজম করছে।
"ফুটল গোলাপ ইরান দেশে"র লেখকেরা ও এর গুণগ্রাহীরা ইরানের খোমেনীর কাছ থেকে " ইমামত প্রতিষ্ঠা"য় উদ্ভুদ্ধ হয়ে একি ফর্মুলার "ইকামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা" করতে "শহীদ" এর মেলা বসিয়ে জান্নাতবাসী হওয়ার লাইনে দাড়িয়ে থেকে শুধু সৌদি অারব অারব ও অাহলে হাদিসদের ঈমান বিধ্বংসী(!) কার্যকলাপ চোখে পরলেও ইরানের এসব মহৎকর্ম তাদের চক্ষুগোচর হয়না।
বিপ্লবের ৪০ বছর পরও তাদের অাইডলদের "দ্বীন প্রতিষ্ঠা"র প্রকৃত স্বরূপ যদি এমন হয় তাহলে কোন্ দ্বীন তারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করতে চায় সে প্রশ্ন থেকেই যায়। অার তাদের অভিশাপের বাণে জর্জরিত সৌদি অারবে প্রায় ১০০ বছর ধরে এতো সুন্দর ইসলামিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ বজায় থাকার পরও কেনো সৌদি অারবের দ্বীন তাদের কাছে গোমরাহ মনে হয় তা রহস্যময় বটে!
◾ইশতিয়াক অাহমেদ
Comments
Post a Comment