ইবলিশের রাজত্ব - ১ ও ২ একসাথে
-মীর সালমান
আমাদের দেশে এক দল মানুষ পাবেন যাদের কাছে ইসলাম অর্থ হলো
১) নজদি/ ওহাবিদের পিন্ডি চটকানো।
২) ওলি আউলিয়াদের পূজা অর্চনা
৩) প্রচুর পরিমানে জাল হাদিস, জাল আসার এবং জাল কারগুজারি, কারামাত, কাশফ বয়ান করা।
এসকল লোকেরা হয় চূড়ান্ত যারা কোন যুক্তিতর্ক বোঝে না এবং মূর্খতাকে জ্ঞান মনে করে। তারা জ্ঞানকে শয়তানি মনে করে। জ্ঞানীদের বলে জানতে জানতে জানোয়ার। এসকল লোক কুসংস্কারের আখড়া। তাদের কাছে কুসংস্কার এবং মূর্খ মানব মস্তিষ্কপ্রসুত উদ্ভট আচার অনুষ্ঠান হলো ধর্ম।
আমাদের দেশের এসব মূর্খ এবং নির্বোধ লোকেরা তাদের ধর্মীয় চিন্তার এই উসুল উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেছে দুইটি গোষ্ঠীর কাছ থেকে
১) উপমহাদেশের পৌত্তলিক মুশরিকদের কাছ থেকে
২) ইরানের মাজুসি রাফেজিদের কাছ থেকে
রাফেজিদের ব্যাপারে প্রখ্যাত তাবেঈ ইমাম শাবি (রহ) বলেন, আমি পৃথিবীতে রাফেজিদের চেয়ে মিথ্যুক কোন সম্প্রদায় দেখি নাই। অথচ সেযুগের রাফেজিরা আধুনিক ইসনা আশারিয়াদের চেয়ে শতগুন ভালো ছিলো। কিন্তু রাফেজি মতবাদের ডিএনএ এর ভেতর দুইটা জিনিস আছে।
১) আহলে বাইতের ইশকে গুলু, খুরাফাত এবং শিরক
২) প্রচুর কুসংস্কার
এই দুইটি রোগের পরিচ্ছন্ন ঐতিহাসিক কারনও আছে।
রাফেজি মতবাদের জন্মই হয়েছে রাজনৈতিক মতলববাজির জন্য সাহাবাদের প্রতি বিদ্বেষের ভিত্তিতে। ফলে তারা যখন সাহাবাদের প্রতি বিদ্বেষ রেখে ইসলামের দাবি করে সেখানে রাজনৈতিক কারণে বিকৃত ধর্মচর্চা অনিবার্য। কিন্তু পৃথিবীতে রাজনীতি সদাপরিবর্তনশীল। ফলে তাদের ধর্মীয় বিকৃতি যুগে যুগে আরও উদ্ভট হয়ে উঠে। বিশেষত সেই যুগে যখন মিডিয়া এবং যোগাযোগ ব্যাবস্থা খুবই দুর্বল ছিলো এবং রাফেজিদের কেন্দ্র ছিলো দারুল খেলাফত থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে।
২
রাফেজিদের ধর্মের সাথে পারসিক জাতীয়তাবাদ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। রাফেজিরা হাসান (রা) এর পরিবর্তে হুসাইন (রা)কে অধিকতর গুরুত্ব দেয় এবং তার ব্লাড লাইনকে তাদের কথিত ইমামত ধারণার ভিত্তি বানায় কারন ইমাম আলী বিন হুসাইন জয়নুল আবেদিন (রহ) এর আম্মা ছিলেন হুসাইন (রা) এর দাসী এবং ইরানের রাজকন্যা।
ফলে ইরানিদের ভেতর একটা শিয়া বীজ সর্বদা ছিলোই। এজন্য মুখতার আস সাকাফি ইরাকে তার শয়তানের রাজত্ব কায়েম করে যা ছিলো ইরানি সাম্রাজ্যের অংশ। তারপর বুয়াইয়্যিদরা শিয়া ছিলো। তারা শতশত বছর ইরানে রাজত্ব করেছে। কুখ্যাত হাশিসি আন্দোলনের নেতা হাসান আল সাব্বার রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিলো ইরান। সর্বশেষ সাফাভি সাম্রাজ্য ছিলো ইরানের ভূখন্ডে। হাসান আল সাব্বাহ এবং ইসমাইল সাফাভি আক্ষরিক অর্থেই কায়েম করেছিলো ইবলিসের শয়তানের রাজত্ব। তারা জনসাধারণকে মোহগ্রস্ত করতে শুধু মাদকদ্রব্যই ব্যবহার করে নাই বরং পাশাপাশি ব্যবহার করেছে প্রচুর উদ্ভট কুসংস্কার। এসকল কুসংস্কারের নাম দেয় তারা ধর্ম। এসকল সাম্রাজ্যের বাদশারা ছিলেন আক্ষরিক অর্থে দুনিয়াতে শয়তানের প্রতিনিধি। তারা ছিলেন ইবলিসের ছায়া।
ইবলিসের রাজত্বে আল্লাহর উলুহিয়াত নিষিদ্ধ করা হয়, কুরআনকে অস্বীকার করা হয় (সাফাভি সাম্রাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ দরবারি আলেম ছিলেন মোল্লা বাকের মজলিসি। তিনি আজও ইরানি মোল্লাদের শ্রদ্ধার পাত্র। তিনি কুরআন বিকৃতিতে বিশ্বাস করতেন), সুন্নাহকে প্রত্যাখ্যান করা হয়, সকল বিশ্বস্ত এবং পবিত্র চরিত্রের রাবিদের হাদিস অস্বীকার করে প্রকাশ্য মিথ্যুক, প্রতারক, তাদের কথিত ইমামদের দ্বারা অভিশপ্ত এবং মাতাল রাবিদের বানোয়াট হাদিসকে তাদের দ্বীনের ভিত্তি বানানো হয়। এসকল ক্ষেত্রেও প্রায়ই তাদের হাদিসের ইসনাদ থাকে ছেঁড়া। তারা মুসলমানের হত্যা করে। খুমুসের নামে মুসলমানদের সহায় সম্পদ লুট করে। জনগনকে বিভিন্ন কুসংস্কারে অভ্যস্ত করে তাদের সম্পদ বাদশা এবং মোল্লারা অবাধে লুটপাট করে। সুন্নি মুসলমানদের জীবন এবং সম্পদ কোন দ্বীধা এবং অনুতাপ ছাড়াই হালাল ঘোষনা করা হয়। এটাই ইরানি মাজুসি জাতীয়তাবাদ এবং রাফেজি আকিদার নেক্সাসে গড়ে উঠা ইবলিশের রাজত্বের যুগে যুগে সাধারণ ইতিহাস।
চলবে
Comments
Post a Comment