বাকস্বাধীনতার নামে মহানবী(সাঃ)এর অবমাননা:মানি না মানবো না
সম্প্রতি গত অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে ইউরোপের অন্যতম দেশ ফ্রান্সের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক কর্তৃক মহানবী(সাঃ)এর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল, প্রতিবাদস্বরূপ সেই শিক্ষককে একজন চেচেন মুসলিম হত্যা করেছিল ।এর আগে সেদেশে "শার্লি হেবদো" নামক বিতর্কিত পত্রিকা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছিল।এই ঘটনার পরে ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়ে ফ্রান্সের বহুতল ভবনে ডিজিটাল স্ক্রিনে জনসম্মুখে সেইসব ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে অপমানিত হয়েছেন।এতে করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিমদের অন্তরের মাঝে রক্তক্ষরণ শুরু হয়,ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমায়ুনেল ম্যাখোর বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রতিবাদ শুরু হয়।
ফ্রান্সের শাসকদের এই জঘন্য কান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশে মুসলমানদের জেগে উঠেছে,মিছিল মিটিং হচ্ছে,কুয়েত,তুরস্ক ও পাকিস্তানসহ অনেক দেশেই ফ্রান্সের পন্য বয়কট করা শুরু হয়েছে। বিশ্বের অসংখ্য আলেম উলামায়ে কেরামগণ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।
আসলে যারা বিশ্বনবী(সাঃ) এর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র বানায় তারা মূলত মানবতার শত্রু।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশে বলেন, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে মুসলিম বিশ্বের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। যত দিন ক্ষমা চাইবে না, ততদিন পর্যন্ত ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত রাখতে হবে। তিনি অনতিবিলম্বে মহানবীকে অবমাননার প্রতিবাদে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান। হেফাজত মহাসচিব বলেন, সরকার আরও ১০০ বছর ক্ষমতায় থাকুক। কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ করে ক্ষমতায় থাকতে হবে। সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। প্রশাসনের কথা রক্ষা করে এখানেই থেমে গেলাম। প্রয়োজনে আগামী কর্মসূচিতে এখানে থামব না। আমরা নবীর বন্ধু। হেফাজতে ইসলামের আরও দাবি আছে, সেগুলো পূরণ করতে হবে।
Comments
Post a Comment