Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2019

১৫ আগস্ট শোকদিবস নিয়ে আমার লেখা

আমি এই লেখাটি গতবছর ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে লিখেছিলাম। "আগস্ট মাস।যে মাস আমাদের বাঙালি জাতির জীবনে শোকের মাস।১৯৭৫ সালে যে মাসের ১৫তারিখে ফযরের আজানের সময় আমাদের দেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমানকে কে হত্যা করেছিল কিছুবিপথগামী ও কুচক্রী সৈন্যরা। আবার অনেকে বলে কুচক্রী সৈন্যসদস্যদের পাশাপাশি জাসদের কিছু নেতারাও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে জড়িত। বাাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি কালো দিবস পেতে হয়েছে।১৯৭৫ এর পর তৎকালীন শাসকদের কাছে এটি আনন্দ দিবস ছিল।তখন অনেকে জানত না যে ১৫আগস্ট একটি কালো দিবস।আস্তে আস্তে জিয়াউর রহমানের পতন হল,এরশাদ ক্ষমতায় এল। তখনও শোক দিবস পালনে বাধা ছিল।১৯৯০এর সময় এরশাদের পতন হল এবাং ফের বিএনপি ক্ষমতায় এল। তখনও শোক দিবস হত তবে এর কোন সরকারি ছুটি থাকত না। ১৯৯৬সালে শেখ হাসিনার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসল এবাং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষনা করল। তখন থেকেই প্রতিবছর বাাংলাদেশের মানুষকে ১৫আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করতে হচ্ছে। ২০০১ সালে ফের যখন বিএনপি ক্ষমতায় এল তখন ১৫আগস্টের শোক দিবসের সরকারি ছুটি উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ১৯৯৬ থেকে যখন

নির্যাতিত কাশ্মীরের কিছু আদি কথা।

নির্যাতিত কাশ্মীরের কিছু আদি কথা। (লিখেছেন: মুফতি বিন ইয়ামিন আশারি) Mufti bineamin ashari .............................................................. সম্মানিত বন্ধুগন বর্তমান কাশ্মীরের এহেন কঠিন অবন্হা আপনারা সবাই জানেন। আমি যখন ছোট ছিলাম তখনই এই কাশ্মীরের প্রসংসা লোক মুখে শুনতাম আবার এটিও শুনতাম যে দেশটি স্বাধীন নয় বরং দ্বিভাগী!  কাশ্মীরের পুরনো ইতিহাস যদি আমরা সামনে আনি তাহলে এই মুলে আমরা দেখতে পাবো সার্থ সন্ধানকারী কিছু কৌট নেতা ও ভারত পাকিস্তানের সরকারদেরকে। বিশেষ করে কাশ্মীরের নিজেস্ব নেতারা যারা কাশ্মীরকে রক্ষ করার জন্য জনগন কতৃক নেতা হয়েছিলো কিন্তু তদন্ত করলে বুঝা যায় সেই কিছু  নেতারাই কাশ্মীরের সাথে বেঈমানী করেছে যার কারনে আজ কাশ্মীরের এহেন অবস্হা। যাই হোক কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর বিশাল অবস্থান আজ থেকে নয়, ১৯৪৭ সাল থেকেই। তবে সে সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বেড়েছে।যে জায়গায় বর্তমান ভারতে প্রতি ১০০ জনের মাথা পিছু একজন করে সৈন্য নির্ধারিত সেই জায়গায় কাশ্মীরের জনগনের উপর প্রতি ৮ জনের মাথা পিছু একজন সৈন্য নির্ধারিত করা হয়েছে এবং সে সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে সৈন্য সংখ্যা। সম্ভবত

কোরবানির শিক্ষা ও মাসায়েল৷

কুরবানীর_শিক্ষা_ও_মাসাঈল : সংক্ষিপ্ত আলোকপাতঃ হযরত আল্লামা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আল্লাহর নবী হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর পবিত্র ত্যাগের স্মৃতির অনুসরণে আমরা প্রত্যেক বছর কুরবানী করি। যাদের কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে তাদের কুরবানী করা ওয়াজিব। #কুরবানীর_ইতিহাস কুরবানীর ইতিহাস সম্পর্কে কুরআন শরীফে এসেছে হযরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর কাছে নেক সন্তানের জন্য এই বলে দুআ করলেন- ﺭَﺏِّ ﻫَﺐ ﻟﻰ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺼّـٰﻠِﺤﻴﻦَ . হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর। । (আল-কুরআন, সূরা-আস্সাফ্ফাত, আয়াত নং-১০০ ) এই আয়াত থেকে আমরা শিক্ষা পাই আমরা যখন আল্লাহর কাছে সন্তান কামনা করব তখন নেক সন্তান কামনা করব। যেভাব ইবরাহীম (আ.) চেয়েছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর দুআ কবূল করলেন, কুরআনে এসেছে- ﻓَﺒَﺸَّﺮْﻧَـٰﻪُ ﺑِﻐُﻠَـٰﻢٍ ﺣَﻠِﻴﻢٍ . সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম (আল-কুরআন, প্রাগুক্ত ) আল্লাহ তাআলা ইবরাহীম (আ.) কে নেক সন্তান দান করলেন হযরত ইসমাঈল (আ.)। তিনি যখন বাবার সাথে চলা ফেরার উপযুক্ত হলেন তখন ইবরাহীম (আ.) বললেন - ﻳﺎ ﺑُﻨَﻰَّ ﺇِﻧّﻰ ﺃَﺭﻯٰ ﻓِﻰ ﺍﻟﻤَﻨﺎﻡِ ﺃَﻧّﻰ ﺃَ

বাংলাদেশের ভবিষ্যত: ইসলামে বিশ্বাসীরা খেয়াল করুন

বাংলাদেশের ভবিষ্যত: ইসলামে বিশ্বাসীরা খেয়াল করুন ***** কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সেক্যুলার মুসলিম রাজনীতিক উমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির উপর ধার্মিক হিন্দু নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বিজয় লাভ আমার মতে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বিষয়৷ একই ভাবে বাংলাদেশের সেক্যুলার মুসলিম রাজনীতিক হাসিনা-খালেদার উপর যদি বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের মত ধর্মবাদী কোনো গোষ্ঠীর ইচ্ছার বিজয় হয়, তাহলে এটিকেও আমি স্বাভাবিক বিষয় বলে মনে করবো৷ - উল্লেখ্য, ইসলামে কোনো মুসলমানের স্বৈরচার বা সেক্যুলার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ নির্ভরযোগ্য মুফতীদের মতে এরা মুনাফিক এবং প্রকৃত মুসলিমদের জন্য তারা প্রকাশ্য কাফির তথা অমুসলিমদের চেয়েও অধিক ক্ষতিকর৷ মুসলিম নামধারী গাইরতহীন এসব মুনাফিক ও মুরতাদদের কারণেই আজ সারা দুনিয়ায় মুসলিমরা কাফিরদের হাতে নিগৃহীত ও কোণঠাসা৷ - ভারতের হিন্দুরা এই কারণে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য যে, তারা সেক্যুলার কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদী বিজেপিকে ভারতের ক্ষমতায় বসিয়েছে৷ আর পাকিস্তান, কাশ্মীর ও বাংলাদেশের মুসলমানরা এই কারণে নিন্দাবাদ পাওয়ার যোগ্য যে, তারা ইসলামপন্থী জামায়াতকে বাদ দিয়