Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2021

কারবালার ঘটনার ৫০ বছর পরে যা ঘটল (শায়খ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আযহারী)

 কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার ৫০ বছর পর ইমাম হোসাইন রা. আ. এঁর নাতি এবং ইমাম জয়নুল আবেদীন আলি ইবনুল হোসাইন আ. রা. এঁর সন্তান ইমাম জায়েদ বিন আলী রা. আ. ওমাইয়া দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লব শুরু করলেন।  ওমাইয়াদেরকে উৎখাত করতে ইমাম জায়েদ বিন আলী রা. প্রিয়নবীর ﷺ আহলে বায়ত প্রেমিকদেরকে একত্রিত করছেন। খবর পেয়ে আমাদের হানাফি মাজহাবের ইমাম, ইমামে আজম হজরত আবু হানিফা রাহ. ১০ হাজার দিরহাম বা রৌপ্যমুদ্রা প্রেরণ করেন তাঁর সরাসরি ওস্তাদ ইমাম জায়েদ বিন আলির রা. নিকট জালিম ওমাইয়াদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সেই যুদ্ধে সাহায্য স্বরুপ। ওমাইয়াগুষ্টি অপপ্রচার করতে লাগল, "ইমাম আবু হানিফা রাফেজি শিয়া হয়ে গেছেন"। উল্লেখ্য, ইমাম আবু হানিফা রাহ. আহলে বায়তের নয়জন ইমামের ছাত্রত্ব গ্রহণ করেন বলে উল্লেখ আছে। তিনি বলতেন, "লাওলাস সানাতান লা হালাকান নু'মান"। "যদি সেই দুই বছর না হত (আহলে বায়তের ইমামগণের খেদমতে থাকা আমার জীবনের ২ বছর), তবে নু'মান ইবনে সাবিত আবু হানিফা ধ্বংস হয়ে যেত।" পরবর্তীতে ওমাইয়া জালিমদের হাতে শাহাদাতপ্রাপ্ত (১২২ হিজরী সনে) ইমাম জায়েদ বিন আলি আ. এঁর লাশ মুবারকই আব্বাসিয়দের

কারবালার যুদ্ধ শেষে........

 কারবালার যুদ্ধ শেষ। ইয়াজিদের বন্দি শিবির থেকে আহলে বায়তের জীবিত সদস্যগণ বহুদিন পর আবারো মদিনা মুনাওয়ারাতে ফেরত এসেছেন। ইমাম হোসাইন আ. রা. এঁর একমাত্র (আমি যতদূর জানি,  ইমাম হাসান আ রা এঁর পুত্র সন্তান আরো জীবিত ছিলেন) জীবিত পুত্রসন্তান ইমাম আলি ইবনুল হোসাইন প্রকাশিত জয়নুল আবেদিন সাজ্জাদ রা. মদিনা শরিফে আবারো বসবাস শুরু করেছেন। উনার মূল নাম হচ্ছে আলি ইবনুল হোসাইন কিন্তু "জায়নুল আবেদিন" বা "ইবাদাতকারীদের সৌন্দর্য" উপাধীতেই ইতিহাসে প্রসিদ্ধ। অত্যধিক সেজদা, নামাজ, ইবাদাত বন্দেগী করতেন বলে "সাজ্জাদ"ও উপাধী দেয়া হয় তাঁকে। যাইহোক, ইমাম জয়নুল আবেদীন রা. আ. মদিনা শরিফে দিন কাটাচ্ছেন৷ কিন্তু কারবালার সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা যা তিনি অসুস্থ অবস্থায় তাবু থেকে নিজ চোক্ষে দেখেছেন তা এক লমহার জন্যও ভুলতে পারেন না। অঝর ধারায় দুই চোখে পানি ঝরত যখনই কারবালার কথা মনে পড়ত। এমনকি পানি দেখলেও কান্না করতেন। ইতিহাস, সিরত, তারিখের বিভিন্ন  কিতাবে এসেছে, যখন মুহাররাম মাস আসত, তখন নবী পরিবারের সদস্য ইমাম জয়নুল আবেদীন সহ অন্যান্য সদস্য- সদস্যাগণের কান্নার আওয়াজে মদিনাবাসী বুঝে যেতেন মুহ

মুহাররম মাসে বিয়ে,প্রচলিত জারিগান,করনীয় বর্জনীয় প্রসঙ্গ

 মুহাররম মাসে বিয়ে,প্রচলিত জারিগান,করনীয় বর্জনীয় প্রসঙ্গ -শায়খ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আযহারী ১। কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেন মুহাররাম মাসে, আশুরার সময়ে বিয়ে শাদী কিংবা অন্যান্য আনন্দ উদযাপন করা জায়েজ আছে কী?  প্রিয় পাঠক! এটা যার যার ভালোবাসা ও মনের অভিব্যক্তির বিষয়। আল্লাহ না করুন, আপনার পরিবারের ১ জন মাত্র সদস্য গাড়ি এক্সিডেন্টে আগস্ট মাসের কোন এক দিনে মারা গেলে আপনি পরের বছর এই দিনে এই মাসে পারতেন বিয়ে কিংবা আনন্দ উদযাপন করতে? কোন জীবনেও পারবেন না পরের বছর কেন! প্রতিবছর আগস্ট মাস আসলেই আপনার অটোমেটিক সেই শোক অন্তরে জাগ্রত হবে, আপনি এই মাসে আপনজন হারিয়েছিলেন৷ প্রিয়নবী ﷺর পরিবার কি আমাদের জন্য আমাদের নিজের পরিবার থেকেও অধিক ভালোবাসার নন (সূরা শুরা আয়াত নং ২৩, মুসলিম, হাদিস নং ৬১১৯-৬১২২, তিরমিজি হাদিস নং ৩২০৫)? আর প্রিয়নবীরﷺপরিবারের ১ জন না ১০ জন না ২০ জন না, মোট ২৩ জন সদস্য ও সরাসরি রক্তের সম্পর্ক ও ভক্ত মুরিদিনসহ সর্বমোট ৭২ জন আশুরার দিনে নির্মমভাবে  শহীদ হয়েছেন এই উম্মতের নামধারী কিছু জালিমের হাতে।  এখন আপনার ইচ্ছা আপনি এই মাসে কী করবেন! শরীয়তের কোন বিধিনিষেধ নেই মুহাররাম মাসে বিয়ে শাদী কিংবা আন