Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2022

বিদায় রমযান, বিদায় ঈদ : কী পেলাম, কী হারালাম

মাওলানা আল্লামা   মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক রমযান মাস পুরোটাই কল্যাণ ও বরকতের মাস। এই মাস আমাদের উপর মেঘমালার মতো সুশীতল ছায়া দান করছিল, এ মাসের রোযা তাকওয়ার অনুশীলন দান করছিল। মেহরাবগুলোতে হাফেয সাহেবদের সুমধুর তেলাওয়াতের ধ্বনি, যা মূলত মুমিনদের উদ্দেশ্যে রাহমানুর    রাহীমের আহবান, মস্তিষ্ককে সুশোভিত আর অন্তঃকরণকে আলোকিত করছিল, তেলাওয়াত, তাহাজ্জুদ, যিকির ও দুআ অন্তরকে আল্লাহর নৈকট্যের অনুভূতিতে সিক্ত এবং চোখ থেকে খোদাভীতির অশ্রু ঝরাচ্ছিল। দেখতে দেখতেই এই ধারাবাহিকতার পরিসমাপ্তি ঘটল। যেন ইবাদতের সেই বিশেষ রুখ পরিবর্তিত হল এবং ১ শাওয়ালে রোযা নয়, ইসলামী শিক্ষা মোতাবেক ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নির্দেশ এল এবং এরই মাধ্যমে বান্দা তার গোলামির পরিচয় তুলে ধরার নির্দেশ পেল। শাওয়ালের ২ তারিখ থেকে এক বছরের জন্য এই দুই নেয়ামত রমযান ও ঈদ আমাদের কাছ থেকে চলে গেল। যদি হায়াত পাই আর আল্লাহ তাআলার তাওফীক হয় তাহলে পুরো এক বছর পর আবার এই দু্ই নেয়ামত আমরা ফিরে পাব। এ পর্যায়ে একজন মুমিনের ভেবে দেখা উচিত যে, রমযান ও ঈদ থেকে সে কী পেল এর কী কী প্রভাব ও ক্রিয়া অন্তর ও মস্তিষ্কে,

যাদেরকে তারা পেট্রোডলারের দরবারি আলেম বলে, কেমন তাঁদের আর্থিক অবস্থা” !!!

  যাদেরকে তারা পেট্রোডলারের দরবারি আলেম বলে, কেমন তাঁদের আর্থিক অবস্থা” !!! শাইখ সালেহ আল উসাইমীনের একটি ভাঙাচূড়া ঘর ছিল। একদিন বাদশাহ খালিদ তাঁর বাড়িতে বেড়াতে গেলেন। বাদশা তার জন্য একটা বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন। তিনি বললেন যে তার বাড়ির প্রয়োজন নেই। সালেহিয়্যাতে তাঁর একটা বাড়ি আছে। তিনি বললেন, চলুন আমরা জান্নাতের একটা বাড়ি বানাই। উনাইযার একটা মসজিদের অবস্থা বেহাল। আমরা সে মসজিদ সংস্কার করি। বাদশাহ চলে গেলে, তাঁর ছেলে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন – “বাবা, সালেহিয়্যাতে আমাদের বাড়ি কোথায়?” তিনি বললেন – “ওখানকার কবরস্থানটাই আমাদের বাড়ি।” ▌সুদূর মৌরিতানিয়া থেকে শায়খ বিন বায রহিমাহুল্লাহকে চিঠি লিখেছেন এক ভদ্র মহিলা। তার ছেলেকে শায়খ বিন বায পড়াশোনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে মেধাবৃত্তি দিয়ে আসছিলেন। তিনি চিঠিতে শায়খকে অনুরোধ করেছেন– তিনি যেন এই বৃত্তিটি চালিয়ে যান। চিঠিতে তিনি বলেন, এই বৃত্তিটি বন্ধ করে দেওয়া হলে তার ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। তার পড়াশোনা শেষ হতে এখনো ২ বছর বাকি। এই মহূর্তে তিনি শায়খ বিন বায -এর কাছে অনুরোধ করা ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছেন না। শায়খ বিন বায তাঁর সেক্রেটারিকে ডেকে বললে