Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2022

ইয়েমেনের হুথি শিয়া প্রসঙ্গ (ডঃ রাগিব সারজানী Part 2)

 হুথি শিয়া প্রসঙ্গ ডঃ রাগিব সারজানী Part 2 হুথিদের ক্ষমতার উৎস  বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য যদিও অনেকগুলো কারণ উল্লেখ করা সম্ভব ; কিন্তু সঙ্গত কারণেই কয়েকটি উল্লেখ করছি মাত্র । আশা করি , এতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে । প্রথমত : এ বিষয়টি কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয় যে , ইয়েমেনের ছোট্ট একটি জেলায় অবস্থানরত কিছু লোক কোনো রকম বহিস্থ সহায়তা ছাড়াই বছরের পর বছর রণাঙ্গনে টিকে থাকতে সক্ষম হবে । এর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে দেখা যাবে , হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কেবল একটি দেশেরই লাভ ; দেশটি হলো ইরান । ইরান একটি ইসনা আশারিয়া শিয়া রাষ্ট্র ; তাই যে - কোনো মূল্যেই হোক সমগ্র বিশ্বে তারা এ মতবাদ ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট । সুতরাং যদি তাদের পক্ষে কোনোভাবে ইয়েমেনে হুথিদের ক্ষমতায়ন সম্ভব হয় , তবে সেটি তাদের জন্যও একটি বড়ো অর্জন বলে গণ্য হবে । বিশেষত , এর মাধ্যমে তাদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র সৌদি আরবকে কোণঠাসা করতে পারবে । কেননা তখন উত্তরে ইরাক , পূর্বে সৌদি - পূর্বাঞ্চল , কুয়েত , বাহরাইন এবং দক্ষিণে ইয়েমেন দ্বারা বেষ্টিত সৌদি আরব একরকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে ; যা আমেরিকা কিংবা সুন্নী ইসলামী র

ইয়েমেনের হুথি শিয়া প্রসঙ্গ (ডঃ রাগিব সারজানী)

 হুথিদের কথা ডঃ রাগিব সারজানী (বই: শিয়া মতবাদ বিবাদ বনাম ভ্রস্টতা বা শিয়া মতবাদ : ধারণা ও বাস্তবতা)   গত পাঁচ বছর ধরে প্রধান প্রধান সংবাদ মাধ্যমগুলোর কাছে হুথি - প্রসঙ্গ বেশ গুরুত্ব পেয়েছে । প্রসঙ্গটি নিঃসন্দেহে জটিল ; তবে এদের পক্ষে এবং বিপক্ষে এত বেশি আলোচনা - সমালোচনা হয়েছে যে , প্রকৃত বাস্তবতা হারিয়ে গেছে আলোচক , সমালোচক , সমর্থক ও বিরোধীদের ভিড়ে । এখন প্রশ্ন জাগতে পারে হুথি কারা ? এদের উত্থানই - বা কী কারণে ? কী তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ? কেনই - বা ইয়েমেন সরকার তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেল ? এদের উত্থানের পেছনে বহির্বিশ্বের কি কোনো হাত আছে ? থাকলে তা কতদূর ? পাঠক , বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আমরা উল্লিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করব । আশা করছি , নিম্নোক্ত আলোচনাটি একটি জটিল অধ্যায়ের সমাধানে সকলের জন্য সহায়ক হবে ।  বিগত প্রবন্ধে তথা ‘ ইয়েমেনের ইতিবৃত্তে ’ আমরা খুব সংক্ষিপ্তভাবে ইয়েমেন শাসনের ইতিহাস তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি । সেখানে আমরা দেখেছি , যায়দিয়া শিয়ারা সুদীর্ঘ কয়েক শতাব্দী ধরে ইয়েমেন শাসন করেছে । ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত হওয়া ইয়েমেনী বিপ্লব পর্যন্ত ইয়েমেনে তা

প্রসঙ্গ: ইয়েমেনের বর্তমান পরিস্থিতি

  ইয়েমেন বিশ্বের অন্যতম মুসলিম দেশ। গত কয়েকবছর ধরে এই দেশটা বিভিন্নকারনে আলোচনায় এসেছে। বিশেষত ইয়েমেনে যুদ্ধ, সংকট,হুথি শিয়া ও দক্ষিনাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উত্থান ইত্যাদি বিষয় মিডিয়া সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে অনেকেই ইয়েমেনের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়ে বিভ্রান্তির শিকার। বাংলাদেশের অনেক সংবাদপত্রে ইয়েমেন ইস্যুতে অনেক সময় ইহুদিবাদী জায়োনিস্ট সেকুলার ও ইরানী শিয়া সমর্থিত মিডিয়া গণমাধ্যমগুলোর সংবাদকে ফলাও প্রচার করে। এতে অনেকেই বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছে ও অনেকে শিয়া হুথিদেরকে না জেনে বুঝেই সমর্থন দেয়া শুরু করেছে। যা খুবই দুঃখজনক। তাই ইয়েমেন প্রসঙ্গে এই প্রবন্ধ লেখা হল। ইয়েমেন । বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মুসলিম দেশ ।ইতিহাস ঐতিহ্যে ঘেরা দেশ ।যে দেশের ব্যাপারে মহানবী মুহাম্মদ সা এর দোয়া এসেছে । এই ইয়েমেনে অসংখ্য মুসলিম মনীষীর জন্ম হয়েছিল। সিরিয়ার উত্তর আফ্রিকা স্পেন জয়ের অভিযানে তাদের বৃহত্তম অবদান ছিল । ইয়েমেনি জাতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য তারা সুহৃদ ও বিনয়ী জাতি । ইলম জ্ঞান বিজ্ঞানের অঙ্গনে ইয়েমেন সোনালী অবদানে রেখেছিল । নবীজি সাঃ ও খোলাফায়ে রাশেদ

ইবলিসের রাজত্ব -শেষ পর্ব (Part 7 and 8)

 ইবলিসের রাজত্ব - ৭ জিওপলিটিক্যাল গেম খেলতে চাইলে নিজের ফল্টলাইনগুলো সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। পাশাপাশি সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের সামর্থ্য থাকতে হবে। ইরান এই দুইটি বিষয়ে নিজেদের দক্ষতা দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে। ইরান শিয়া নিস মার্কেটে খেলতে চেষ্টা করেছে এবং অন্যদের গোলাম বানাতে চেয়েছে। অন্যদের মানে সুন্নিদের। ইজরায়েল এখানে নেহায়েত একটা দীর্ঘ মেয়াদি উটকো ঝামেলা। তারা ইজরায়েল বিরোধিতা এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার স্লোগান দিয়ে মুসলিম বিশ্বে বাজিমাত করতে চেষ্টা করেছে। তারা প্যান ইসলামিক রাজনীতির বদলে প্যান শিয়া রাজনীতি করায় পশ্চিমারা মুসলিম বিশ্বের ফাটলের প্রয়োজনে তাদের সহ্য করেছে। আমি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ভক্ত না কিন্তু তার মানে এটা না যে রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র হয় না। বরং রাজনীতি মানেই ষড়যন্ত্র। বিপুল পরিমান circumstantial evidence একথা মোটামুটি সুনিশ্চিতভাবে প্রমান করে যে পশ্চিমা চায়ঃ ১) ইরান সুন্নি বিশ্বের জন্য একটা Potent (কার্যকর) হুমকি হিসাবে টিকে থাকুক।  ২) ইরান এমন মাপে বনসাই হয়ে থাকুক যেনো ইজরায়েলের হেজিমনি মধ্যপ্রাচ্যে চ্যালেঞ্জের মুখে না পরে।  আমি

ইবলিসের রাজত্ব (Part 5 and 6)

 ইবলিসের রাজত্ব - ৫ বিগত কয়েক বছরে ইরানের অর্থনৈতিক সংকট সকল সীমা অতিক্রম করেছে। তথাপি এমন দুর্বল অর্থনীতি ইরান নিজের জনগনের উপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে প্যান শিয়া সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে। পাকিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়ামেন, সৌদি আরব, আফগানিস্তানসহ সকল শিয়া কমিউনিটিতে তাদের বিনিয়োগ আছে। ইরানি জনতা অন্ধ না। তারা দেখতে পাচ্ছে চূড়ান্ত দুর্বল অর্থনীতি নিয়ে কিভাবে ইরান তাদের না খাইয়ে সারা দুনিয়ায় বিপ্লব রপ্তানি করে বেড়াচ্ছে। ফলে অভুক্ত পেটে নানা সমস্যায় জর্জরিত ইরানি প্রচন্ড ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত।  কিন্তু কফিনের শেষ পেরেক হলো ইরানি মোল্লাদের দুর্নীতি। ইরানের মোল্লা শ্রেনীপৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ মোল্লা শ্রেনী।  খোদ ইরানের সর্বচ্চো ধর্মীয় নেতা খামেনি থেকে শুরু করে তার সন্তান সন্ততি, পরিবার এবং আত্মিয় স্বজনের পাশাপাশি বিভিন্ন মাজার, মাশহাদের খাদেম পর্যন্ত সকল শ্রেনীর মোল্লারা বিপুল সম্পদের মালিক এবং নিয়ন্ত্রক। রয়টার্সের ২০১৩ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী খামেনি যে সম্পদ সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন তার পরিমান ৯৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে ডেইলি সাবাহয় প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী খাম

ইবলিসের রাজত্ব (Part 3 and 4)

 ইবলিসের রাজত্ব - ৩ -মীর সালমান কলোনিয়াল যুগে রাফেজিরা সর্বত্র কলোনিয়াল শক্তিগুলোর সাথে সহযোগিতা করে মুসলমানদের ধ্বংস করতে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়ায় তারা প্রচুর সহায় সম্পদ অর্জন করে। পাশাপাশি সমাজ এবং রাষ্ট্রে দ্রুত প্রভাবশালী হয়ে উঠে। এমনকি পাকিস্তান এবং সিরিয়া মতো সুন্নি অধ্যুষিত দেশগুলোতেও তারা কলোনিয়াল শক্তির সহায়তায় নেতৃত্ব লাভ করে। তথাপি তাদের ভয়ানক আগ্রাসী নখরওয়ালা থাবা তারা অনেক ক্ষেত্রে আস্তিনের নিচে লুকিয়ে রাখতে চেষ্টা করে যেনো সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি অধ্যুষিত দেশগুলোতে বিস্তৃত গন অসন্তোষ দেখা না দেয় এবং তাদের রাজত্বে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি না হয়। এটা ছিলো মূলত তাদের তাকিয়া নীতির প্রকাশ। পাশাপাশি তারা কলোনিয়াল, নিওকলোনিয়াল ফোর্সগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখতে থাকে যেনো জনসাধারণকে প্রয়োজনে দমন করতে সুবিধা হয়। কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধের রাজনীতি এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ ১৯৭৯ সালে এমন একটা ঘটনা ঘটে যার ফলে দাজ্জালের অগ্রবর্তী বাহিনীর এক বড় দাজ্জাল সিন্দাবাদের ভূতের মতো বোতল থেকে বেড়িয়া আসে। সেই ঘটনার নাম 'ইরানের ইসলামি বিপ্লব'। কিন্তু বাস্তবতা হলো কথ

প্রসঙ্গ ইরান ও শিয়া মতবাদ:ইবলিসের রাজত্ব (Part 1 and 2)

 ইবলিশের রাজত্ব - ১ ও ২ একসাথে -মীর সালমান আমাদের দেশে এক দল মানুষ পাবেন যাদের কাছে ইসলাম অর্থ হলো  ১) নজদি/ ওহাবিদের পিন্ডি চটকানো। ২) ওলি আউলিয়াদের পূজা অর্চনা ৩) প্রচুর পরিমানে জাল হাদিস, জাল আসার এবং জাল কারগুজারি, কারামাত, কাশফ বয়ান করা।  এসকল লোকেরা হয় চূড়ান্ত যারা কোন যুক্তিতর্ক বোঝে না এবং মূর্খতাকে জ্ঞান মনে করে। তারা জ্ঞানকে শয়তানি মনে করে। জ্ঞানীদের বলে জানতে জানতে জানোয়ার। এসকল লোক কুসংস্কারের আখড়া। তাদের কাছে কুসংস্কার এবং মূর্খ মানব মস্তিষ্কপ্রসুত উদ্ভট আচার অনুষ্ঠান হলো ধর্ম।  আমাদের দেশের এসব মূর্খ এবং নির্বোধ লোকেরা তাদের ধর্মীয় চিন্তার এই উসুল উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেছে দুইটি গোষ্ঠীর কাছ থেকে  ১) উপমহাদেশের পৌত্তলিক মুশরিকদের কাছ থেকে  ২) ইরানের মাজুসি রাফেজিদের কাছ থেকে  রাফেজিদের ব্যাপারে প্রখ্যাত তাবেঈ ইমাম শাবি (রহ) বলেন, আমি পৃথিবীতে রাফেজিদের চেয়ে মিথ্যুক কোন সম্প্রদায় দেখি নাই। অথচ সেযুগের রাফেজিরা আধুনিক ইসনা আশারিয়াদের চেয়ে শতগুন ভালো ছিলো। কিন্তু রাফেজি মতবাদের ডিএনএ এর ভেতর দুইটা জিনিস আছে। ১) আহলে বাইতের ইশকে গুলু, খুরাফাত এবং শিরক ২) প্রচুর কুসংস্কার  এ