Skip to main content

Posts

Showing posts from October, 2021

একটু ভেবে দেখু

 আমার কাছে কদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে একটা ফোন আসল। তাকিয়ে দেখি ভারতীয় নাম্বার। রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে এক ভাই বলল, "হুজুর আমি আপনার ছাত্র!"  আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। বললাম, আপনি তো ভারত থেকে। আমার ছাত্র কিভাবে হলেন? সে বলল, হুজুর আপনারা Azhar Academy - Bd  এর যতগুলো কোর্স করাচ্ছেন, সবগুলো কোর্স আমি করছি। আপনাকে ও শায়খ সাইফুল আজম আজহারী সাহেবকে আমার খুব ভালো লাগে।  পরে মনে পড়ল, আরে তাই তো! আমাদের কোর্সে তো অনেক ভারতীয় মুসলমান ভাই-বোনও আছেন।  সে বলল, হুজুর! আমি আপনাকে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য ফোন দিয়েছি।   আমি বললাম, বলুন।  তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে।  সে বলল, হুজুর আপনারা যখন ওয়াজ করেন তখন কী দয়া করে একটা বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেবেন বেশি করে?  আমি জিজ্ঞেস করলাম, কোন বিষয়?  সে বলল, বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম বক্তারা যেন ভারতের বিরুদ্ধে উসকানীমূলক কিছু না বলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উসকানীমূলক কিছু যেন না বলেন।  আমি বললাম, আলহামদুলিল্লাহ আমি তো এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করার চেষ্টা করি।  সে বলল, জ্বী হুজুর আপনি ও কয়েকজন এটা করেন। কিন্তু অনেকেই ভারতের বিরুদ্ধে ও হিন্দু ধ

দেওয়ানবাগী ও সদর চিশতীর খন্ডন

  আমাদের এই পৃথিবীতে দেখি মুসলমানদের মাঝে বা ইসলামের মধ্যে অনেক ধর্মীয় দল উপদল ফিরকা দেখতে পাই।বিশেষ করে আকীদাগত ও আমলগত মতভেদের কারণে,মতাদর্শগত পার্থক্যের কারণে অনেক দল উপদলের জন্ম ও বিভক্তি লক্ষ্য করা যায়। আবার এর মধ্যে উপমহাদেশে আধ্যাত্মিক পীর দরবার প্রথাও দেখা যায়। তাদের মধ্যেও অনেক বিভক্তি দেখা যায়৷ অনেক পীর দরবারের অনুসারীরা কুরআন,সুন্নাহ,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাহাবায়ে কিরাম,আহলুলবাইত,তাবেয়ীন,ইমাম বুখারী রহঃ সহ হাদিসজগতের ইমাম মনীষি গন,ইমাম আবু হানিফা রহঃ সহ চার মাযহাবের ইমামদের মতাদর্শকে বিশ্বাস করে চলেন,বিশেষ করে ইসলামের সঠিক আকীদা মতাদর্শ কে আকড়ে ধরা,নামায,রোজা,কুরআন তিলাওয়াত,যাকাত,হজ ও উমরা,দোয়া দরুদ জিকির আজকার,সৃষ্টির সেবা করা ইত্যাদি নেক আমলের পক্ষে উৎসাহদান করা,কুফর,শিরক,বিদাত,কুসংস্কার,ভ্রান্ত আকীদা মতাদর্শ থেকে নিরুৎসাহিত করণ ইত্যাদি করে থাকেন। আবার অনেক পীর দরবারের অনুসারীদের ক্ষেত্রে এর বিপরীত চিত্র লক্ষ্য করা যায়৷ অনেক পীর দরবারের অনুসারীরা কুরআন সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক ভ্রান্ত আকীদা মতাদর্শের অনুসরণ করে আমাদের বাংলাদেশে বর্তমান সুরেশ্বরী,দেওয়ানবাগী,কুতুববাগী,স

সাইয়্যেদাহ ফাতিমা রাদিয়ালাল্লাহু ‘আনহা এর দাফন

 সাইয়্যেদাহ ফাতিমা রাদিয়ালাল্লাহু ‘আনহা এর দাফন প্রশ্ন:আহলুস সুন্নাহর মতানুসারে, সাইয়্যেদা ফাতিমা রদিয়াল্লাহু ‘আনহা রাসূলুল্লাহ সাঃ মৃত্যুর ছয় মাস পর ইন্তেকাল করেন।সাইয়্যেদিনা আবু বকর রাঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ -এর ইন্তেকালের আড়াই বছর পর ইন্তেকাল করেন।সাইয়্যেদিনা ‘উমর রাঃ ২৬ জিলহজ, ২৪ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। এইভাবে, এই দুই জ্যোতিষ্ক রাওযায় সমাহিত হওয়ার কারণ কী ছিল, যদিও তারা রসূলুল্লাহ সাঃ -এর ইন্তেকালের অনেক পরে মারা গিয়েছিল?  অন্যদিকে, রাসুলুল্লাহ সাঃ -এর একমাত্র জীবিত কন্যা, সাইয়্যেদা ফাতিমা রাঃ, সাইয়্যেদিনা হাসান এবং সাইয়্যেদিনা হুসাইন রদিয়াল্লাহু‘আনহুমার মাকে তার বাবার কবরের পাশে কবর দেওয়া হয়নি?সাইয়্যিদা ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা কি উইল করেছিলেন যে তার কবর তার বাবার কবর থেকে আলাদা হবে?  অথবা, আলী রদিয়ালাল্লাহু‘আনহু কি সেই সময়ের সরকারের সাথে সংঘর্ষ করেছিলেন?  বিপরীতভাবে,মুসলমানরা কি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর প্রিয় কন্যাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরের কাছে দাফন করতে দেয়নি? উত্তর:  শিয়ারা তাদের পূর্বপুরুষদের মতো প্রতারণায় প্রভু।  প্রবাদটি যায়:  একজন

খতমে নবুয়ত,মিলাদুন্নবী সাঃ ও সীরাতুন্নবী সাঃ প্রসঙ্গে কিছু কথা

  খতমে নবুয়ত,মিলাদুন্নবী সাঃ ও সীরাতুন্নবী সাঃ প্রসঙ্গে কিছু কথা  লেখক: আহসান উদ্দিন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)।যিনি শেষ নবী।কুরআনের ভাষায় রাহমাতুল্লিল আলামীন বা গোটা বিশ্ববাসীর জন্য রহমত। যার জন্যে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতুল ফেরদৌস বানিয়েছেন।নবীজির রিসালাতে বিশ্বাস ইমানের একটা অন্যতম ভিত্তি,আবার তাকে শেষ নবী মানাও ইমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন "মুহাম্মদ সাঃ তোমাদের কারো পিতা নন,তিনি শেষ নবী "। মহানবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ হাদিসে তিনি নিজেই বলেছেন "আমিই শেষ নবী আমার পরে কোনো নবী নাই"।আরও বলেন " আমার উম্মাহর মধ্যে অচিরেই ৩০ এর মত ভন্ডনবী দাবীদার মিথ্যুকের আবির্ভাব ঘটবে"(সহীহ বুখারি)।খতমে নবুয়ত এটা আমাদের ইমান,রাসূল সাঃ এর পরে আর কোনো নবী ও রাসূল নাই এটা মুসলমানদের মান্য করা আবশ্যক।রবিউল আউয়াল মাস ইসলামের অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসেই রাসূল সাঃ এর জন্ম হয়েছে আবার এই মাসেই রাসূল সাঃ এর ওফাত ইন্তেকাল হয়েছিল। রাসূল সাঃ এর জন্ম হয়েছিল মক্কায় সুবহে সাদিকের সময়ে মা আমিনার কোলে৷ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লা

কোথা থেকে এলো পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাঃ উদযাপন??

 কোথা থেকে এলো ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ উদযাপন? কৃতঃ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী ------------------------------------------------------------- হাদিসের ৬ খানা বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ  কিতাবের অন্যতম সুনানুত তিরমিজি শরিফে একখানা আলাদা চ্যাপ্টার আছে "বাবু মা জায়া ফি মিলাদিন্নাবি ﷺ" অর্থ্যাৎ "প্রিয়নবী ﷺর জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে যা এসেছে" নামে।  ওই অধ্যায়ের হাদিসও দিলাম নিম্নে দেখুন। দেখুন সাহাবায়ে কেরাম হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺর জন্মবৃত্তান্ত অর্থ্যাৎ মিলাদুন্নবী নিয়ে আলোচনা করতেন কীনা! এরকম অসংখ্য হাদিস এসেছে হাদিস, সিরত, দালায়েলু ন্নুবুয়্যাহ, শামাইল এবং তাবাকাত এর কিতাবে সনদসহ। এসবের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ উদযাপন, এখন আমরা যা করছি।  সাহাবায়ে কেরাম সুন্নাহ শুনেছেন, দেখেছেন কিন্তু সুন্নাহ স্টাডির প্রাতিষ্ঠানিক রুপ তখন ছিল না। পরবর্তীতে মাদ্রাসা সিস্টেমে সেটা হয়েছে " উলুমুল হাদিস" নামে। তাফসির শুনেছেন কিন্তু তা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায়নি, পরে এটা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় "ইলমুত তাফসির" নামে। সাহাবায়ে কেরামের যুগে ইলমুত তাফসির নামে আলাদা কোন সাব্জেক্ট ছিল না।

আমাদের জীবন হোক সুখময়

 আমাদের জীবন হোক  সুখময়... আমরা বড় বড় প্রাসাদ, অট্টালিকাকে ভালোবেসেছি, কিন্তু ভুলে গেছি কবরকে। আমরা নারীদের ভালোবেসে, বেহেশতের  হুরদের ভুলে গিয়েছি। আমরা দুনিয়াকে ভালোবেসে জান্নাতকে ভুলে গিয়েছি। আমরা মাখলুকের প্রতি মোহগ্রস্ত হয়েছি, আমাদের খালিক আল্লাহকে ভুলে গিয়েছি। আমাদের যদি মৃত্যুর প্রস্তুতি থাকতো, আমাদের যদি মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য তৈয়ারি থাকতো, আমাদের অন্তরে যদি আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আকাংঙ্খা থাকতো, তবে আমরা মৃত্যুকে উপহার ভেবে গ্রহণ করতাম। আমার রবের সাথে সাক্ষাৎ।  এজন্য আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের তামান্না আমাদের অন্তরে নেই। অথচ যার অন্তরে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের তামান্না আছে, তার মত সুখি আর কেউ নেই। আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আকাংক্ষা বান্দার অন্তরের রোগসমূহ উপশম করে। আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আকাংক্ষা মানুষের দিল থেকে মাখলুকের ভয় আর দুনিয়ার লোভ বের করে দেয়। এটা অনেক বড় নেয়ামত। কারণ মাখলুকের ভয় আর দুনিয়ার লোভ মানুষকে আল্লাহর আনুগত্য থেকে দূরে রাখে। আর মাখলুকের প্রতি নির্ভয়তা ও দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি মানুষকে অনেক উঁচু মর্যাদায় পৌঁছে দেয়। আর এই জন্য প্রয়োজন ঈমান ও দাওয়াত ইলাল্লাহর মেহনত। 

Bangla translation of inna fil jannati

 নিশ্চয়ই জান্নাতে একটি দুধের নদীর বহর আছে যেখানে আলী,হুসাইন ও হাসান আছে।। যারা এই তিনজনকে ভালোবাসবে তারা এই জান্নাতের বাগানে কোন দুঃখকষ্ট ছাড়াই প্রবেশ করবে।। আমাদের জন্য নবী পরিবার/আহলে বায়তকে ভালোবাসা কর্তব্য  এতে আমরা কোনো অসুবিধার কিছু পাইনা।।