Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2019

শিয়াদের কবরপুজা। Grave Worship of Shia

কবরপন্থা ☗ মুসলিমরা মারা গেলে কবর দেয়া হয়। তারা বারযাখের জীবনে দুনিয়ার কর্মের ফলস্বরূপ নিজ নিজ অবস্থায় থাকে। নবী-রাসূল ও শহীদরা বিশেষ সুরতে রিযিকপ্রাপ্ত হন, জীবিত রুহের সম্মানপ্রাপ্ত হন। মৃতের জন্য দুয়া করতেও কবরকে উদ্দেশ্য করা জরুরি কিছু নয়। আল্লাহ্‌র কাছে মাগফিরাত কামনা করলেই হয়। কবর ইসলামে কোন মুখ্য বিষয় নয়, কবরকে অসম্মান করা যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি কবরকে উদ্দেশ্যে বা কেন্দ্র করে কিছু করাও নিষিদ্ধ। আমরা হাদিসে দেখি- ⌂ জাবির (রা) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কবর পাকা করতে, কবরের উপর বসতে ও কবরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন. [সহি মুসলিম ২১১৪; জানাযা অধ্যায়] ⌂ আবুল হাইয়্যাজ আল আসাদী (র) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমি কি তোমাকে এমনভাবে পাঠাব না, যে কাজে , রাসূলুল্লাহ(ﷺ) আমাকে পাঠিয়েছিলেন? তা হচ্ছে কোন (জীবের) প্রতিকৃতি বা ছবি দেখলে তা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিবে এবং কোন উচূ কবর দেখলে তা ভেঙ্গে দিবে [মুসলিম ২১১২; তিরমীযি ১০৪৯] মোটকথা, ইসলামের শরিয়াত হচ্ছে, কবরকে কেন্দ্র করে সাজসজ্জা,ঘরবাড়ি, আখড়া, ইবাদতের স্থান ইত্যাদি বানানো যাবে না, বরং কবর সমান রাখাই রাস

হুসাইন (রাঃ) এর শেষ প্রশ্ন,The last Question of Imam hussain(ra:) By Dr Abdul Baten miaji

ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামের শেষ প্রশ্নঃ "তোমাদের মাঝে কি একজনও মুসলমান নেই?" - ডক্টর আব্দুল বাতেন মিয়াজী ==== হায়, হায়! মঞ্চ প্রস্তুত। দিনতারিখ নির্ধারিত হয়ে আছে পূর্ব থেকেই। সংবাদ পৌঁছে গেছে জন্মলগ্ন থেকেই। সংবাদদাতা জিবরাঈল আলাইহিস সালাম। সংবাদ গ্রহীতা নানাজান সরকারে দু'জাহান সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহী ওয়াসাল্লাম। উপস্থিত উম্মুল মুমেনীন উম্মে সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা। শিশু হুসাইনকে কোলে নিয়ে কাঁদছেন নানাজান। যে কারো জন্মই আনন্দের। কিন্তু এ আনন্দের সাথে বেদনা মিশ্রিত হয়ে গেছে। নানাজান জেনে ফেলেছেন তাঁর উম্মতেরই কিছু লোক এই আওলাদকে একদিন নির্মমভাবে শহীদ করবে। জিবরাঈল এই সংবাদের সাথে শাহাদতের স্থানের একটুখানি মাটিও নিয়ে এসেছেন। সে মাটি হাতে নিয়ে কাঁদছেন ইমামুল মুরসালীন। তাঁর সুশোভিত পবিত্র শ্মশ্রু ভিজে গেছে অশ্রুতে। কমোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে সে অশ্রু। উম্মুল মুমেনীন জানতে চাইলেন, কেন আনন্দের মুহূর্তে এ কান্না! সরদারে দু'আলম আসল রহস্য জানালেন। রহস্য জেনে নির্বাক হলেন উম্মুল মুমেনীন। এই বাচ্চাকে কতল করবে উম্মতেরই একদল লোক? হায় হায়! তাও কি সম্ভব? সে সংবাদ শুনে কে

কারবালা কাব্য-আবসার তৈয়বী Absar Taiyobi

বিসমিহী তায়ালা কারবালা কাব্য -আবছার তৈয়বী ঐ দেখো আজি নামিছে আঁধার চারিদিক গেছে ছেয়ে, মজলুম বুক করে ধুকপুক আছে পথ পানে চেয়ে। শুন হে ভ্রাতা! আসিবেন ত্রাতা তোমাদের উদ্ধারে, বুকের তাজা খুন ঢেলে তিনি রুখিবেন গাদ্দারে। ভয় কিসে তোমার তড়পাও কেন হয়ো নাকো বেচাইন, দেখো চেয়ে দেখো দীন উদ্ধারে আসিতেছেন হোসাইন। আসিলেন তিনি থামিলেন যেথায় নাম তার কারবালা, নবী বংশের ফুল দিয়ে খোদা সাজাবেন শহীদি ডালা। এই বুঝি সেই জায়াগাটা দেখি- ধূ ধূ মরু প্রান্তর, বিঁধিবে যে তীর কাটিবে যে শির কাঁপিবে না অন্তর। এক ঘোঁট পানি নেয়ামত জানি পায়নি নবীর ফুল, তাই দেখে বুঝি কেঁদে মরে আজি হোসাইনী দুলদুল। দুধ নাই জানি দাও মোরে পানি কাতরায় আসগর, শহীদি কাফেলা হুঙ্কার ছাড়ে আল্লাহু আকবর। শহর বানু চোখ মুছে বলে- যয়নাব কী যে করি, সাকীনা কাঁদে ভাই নিয়ে কাঁধে ইমামের পায়ে ধরি। বাবা গো বাবা সকলেই বোবা কথা নাই কারো মুখে, আলী আসগরের কষ্টে দেখো আরশ কাঁপিছে দুঃখে। কাঁধে করিয়া ইমাম তাহারে নিলো ফোরাতের ধারে, এজিদ সেনার তীর এসে বিঁধে নিয়ে গেলো পরপারে। খোদার কাছে তুলিলেন ইমাম শো

কবিতা: কাশ্মির ও আরাকানের কান্না

কবিতা: কাশ্মির ও আরাকানের কান্না লেখক: শেখ আহসান উদ্দিন। (এই কবিতা গত ০৯আগস্টে লেখা)   দুটি ভূখণ্ড, একটি কাশ্মীর আরেকটি আরাকান একটি ভারত ও পাকিস্তান অংশে আরেকটি মিয়ানমার অংশে। দুটি দেশ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। দুই ভূখণ্ডে আজ অবস্থা নাই ভালো। দুই ভূখণ্ডে আজ চলছে নির্যাতন নিপীড়ন ও গণহত্যা। জন্ম থেকেই শুনেছি যে, কাশ্মীরীদের উপর ভারতীয় বাহিনী চালাচ্ছে নির্যাতন, তাদের সুখ কেটে ফেলছে। সেই ১৯৪৭ থেকে তাদের উপর অত্যাচার ও যুদ্ধ চলছে। আবার যখন আমি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তাম, তখন দেখেছি শুনেছি মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম দের উপর গণহত্যা। অনেক বছর পরপর আরাকানের মুসলমানদের উপর বার্মার রক্ষীবাহিনী চালাচ্ছে নির্যাতন। সেই আরাকানের মুসলমানরা যারা সাড়ে তিনশ বছর শাসন করেছে, তারাই আজ হয়েছে নিপীড়িত। ২০১৭সাল থেকে তারা আজ ক্যাম্পে আশ্রয়ে। কাশ্মীরের মানুষ আজ কতই অসহায়, আবার রোহিঙ্গাদেরও সেই একই হাল। আজ তাদের উভয়ের মনে রয়েছে কান্না। আমরাও আছি কাশ্মিরী ও রোহিঙ্গাদের পক্ষে৷ কাশ্মীর ও রোহিঙ্গার মানুষদের উপর আল্লাহ ছাড়া আর কেউ বাচাতে পারে না। আজ তাদের মনের মধ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তির