Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2022

একটা পাশতুন গজল/কাসিদা/গীতিকবিতার বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ

 সর্বদা সমৃদ্ধ হোক,মুসলিমদের এই দেশ হে আফগানিস্তান।  এই দেশ/ভূমি বীরদের, এই দেশ শহীদদের পূর্ব থেকে পশ্চিমে।  এটি আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি।।  অন্যদের জন্য এটা জাহান্নাম আর নিজের দেশের লোকদের জন্য এটা জান্নাত এটা লন্ডন,আমেরিকা বা চীন থেকেও উত্তম ।। এর বাতাস জান্নাতের মতো এর মরুভূমি  জান্নাতের মতো প্রতিটি অনুর্বর ও উর্বর জমি। এটি এশিয়ার হৃদয়  এর নাম খোরাসান/আফগানিস্তান।  এটি বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী  এবং এটার মুকুট খুবই ব্যয়বহুল।  এখানে কালো, সাদা, বাদামী প্রতিটি জাতির গর্জন, এই ভূমি হল জান্নাতের হুরের পথ, আল্লাহু আকবার।  এখানে প্রত্যেক তাগুত তার মাথা কর্তন হয়েছে পূর্বের বিপ্লবগুলোতে দেখে নাও।  তারা এর সাক্ষী।  তারা পরাজিত হয়েছে  অনেক অত্যাচারী ও খুনি  তাদের ক্ষমতা ও সম্পদ আছে। এটি আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি।।  কোনো ব্যাপার নয় যদি আপনি শিখা পেয়ে থাকেন (বোম,ট্যাংক,ড্রোন)  তারা নিজেরাই কোন ভয় না পেয়ে তলোয়ার বের করে।। মৃত্যু ও বিস্ময়ের ঝড় বয়ে গেছে।  তাদের সাহস এখনো অটুট। এটি আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি।।  আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘ জীবন দান করুন আপনারা সবাই ভালো থাকুন এবং বেঁচে থাকুন তারা আমাদের আশ্বাস,

রাজারবাগীদের খেয়ানত

 

পুরান ঢাকায় মুহাররম মাস ও আশুরা

 ঐতিহাসিকভাবেই পুরান ঢাকা মহররম উদযাপনের প্রাণকেন্দ্র। পুরান ঢাকায় মোগল আমল থেকেই বৈচিত্র্যময় পদ্ধতিতে মহররম উদযাপিত হতো। নবাবদের নেতৃত্বে এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ইমামবাড়া কেন্দ্র করে চলতো এই উদযাপন। সারা মহররমব্যাপী এর রেশ থাকলেও বিশেষত প্রথম দশদিন শান-শ‌ওকতের সঙ্গে চলতো উদযাপন। এই উদযাপনের বিভিন্ন রীতির মধ্যে একটি ছিল— শরবত বিতরণ।  হাকিম হাবিবুর রহমানের নাতি সাদ উর রহমান তাঁর উৎসবের ঢাকা কিতাবে লিখেছেন: “ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত ভিস্তিরা মিছিলকারীদের পানি ও শরবত বিতরণ করলেও পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে শরবত বহনকারী গাড়ি মূল মিছিলকে অনুসরণ করে মিছিলকারী ও জনসাধারণের মধ্যে শরবত বিতরণ করত এবং এ নিয়ে চলত রীতিমত প্রতিযোগিতা।” (উৎসবের ঢাকা : সাদ উর রহমান, ঐতিহ্য, ২০১৮, ১০১)  পুরান ঢাকার প্রাচীন বাসিন্দা সাঈদ আহমদ স্মৃতিচারণ করছেন: “আমাদের নিজস্ব পারিবারিক গোরস্থান ‘হায়াতবাগে’ (আজিমপুরে) দুধের ও তোকমা দিয়ে ‘কেওড়ার’ বানানো শরবত সবার মাঝে বিতরণ করা হতো। মহররমের ৫ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত গরিবদের মাঝে খিচুড়ি খাওয়ানো হতো। দশ‌ই মহররম যখন গঞ্জে শহিদার দিকে মিছিল র

আশুরায়ে মুহাররম প্রসঙ্গে কুরআন সুন্নাহর আলোকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও আশুরায় প্রচলিত কর্মকাণ্ড এর পর্যালোচনা।

  আশুরায়ে মুহাররম প্রসঙ্গে কুরআন সুন্নাহর আলোকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও আশুরায় প্রচলিত কর্মকাণ্ড এর পর্যালোচনা।  লেখক: শেখ আহসান উদ্দিন,সূত্রাপুর,ঢাকা (শিক্ষার্থী বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় BIU, বিবিএ প্রথম বর্ষ) জিলহজ্ব মাস শেষে হিজরী নতুন আরেক বছর শুরু হয়  যার প্রথম মাস হল মুহাররম। এই মাসের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। এই আশুরায় কুরআন সুন্নাহর অনুসারী মুসলিম বা আহলে সুন্নাহর অনুসারী মুসলিমরা মুসা আঃ এর বিজয়ে শুকরিয়াস্বরূপ রোযা রাখে অপরদিকে শিয়া সম্প্রদায় আশুরাসহ মুহাররম মাসে কারবালায় হুসাইন রাঃ এর শাহাদাতের শোক পালন করে।বাংলাদেশসহ আমাদের এই উপমহাদেশে মুহাররম মাস ও আশুরা নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি দেখা যায়, তাই এবিষয়ে প্রবন্ধটি লেখা হল।  হিজরী/ইসলামী বছরের প্রথম মাস।পবিত্র কুরআনুল কারীমের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা চারটি মাসকে হারাম মাস বা সম্মানিত ও নিষিদ্ধ মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন।এই চার মাস হলো, মুহাররম, রজব,জিলকদ ও জিলহজ। তাই মুহাররম মাস একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাস।এই মুহাররম মাসের ১০ তারিখ তথা আশুরা ইসলামের একটি সম্মানিত ও পবিত্র দিবস। এই মাস আল্লাহর একটা সম্মানিত মাস। এই মাসে সকল গুনাহ ও শিরক বিদাত খা

হিজরি নতুন বছর বনাম মুহাররম সমাধান Hijri Islami New Year Vs Muharram Sunni Islami Solution

 হিজরী নববর্ষ পালন-- বনাম--মুহাররম ———————সমাধান—————— “পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।” হিজরী নববর্ষ উদযাপন করাটা মুহাররমের কারবালার শিক্ষার পরিপন্থি বা কারবালার মতো হৃদয়বিদারক মাসে হিজরী কীভাবে পালন করে বুঝে আসে না, তারা কীভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ইত্যাদি ইত্যাদি!! এ কথাগুলো যারা বলেন, অনেকটা না বুঝেই বলেন। এখন আসুন কেন হিজরী নববর্ষ ‍উদযাপন করা উচিত? ১) ইংরেজি নবর্বষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে গোটা বিশ্বেই অনেকটা নোংরামী, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, নারী-পুরুষের অবাধ মিলামেশা ও নানা অপরাধকে বেঁছে নেওয়া হয়।এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ঐ রাতে বাংলাদেশের মতো ধর্মপ্রাণ দেশেও আইন-শৃংখলা বাহিনী কে যথেষ্ট সজাগ অবস্থানে থাকতে হয়।(আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে তো গেইটই বন্ধ করে দেওয়া হয়) এখন এই অসুস্থ সংস্কৃতির মোকাবেলায় আমরা মুসলিমরা জাতিকে কী উপহার দিতে পেরেছি? মুসলিমদের কি কোন দায়িত্ব নেই? সুষ্টু ইসলামিক সংস্কৃতি চর্চা না করে শুধু “হায় হায় গেল সব রসাতলে” বলে বলি আওড়ায়ে কি লাভ? মুসলিমরা কতো সুন্দর, সুশৃংখল ও মার্জিতভাবে নববর্ষ পালন করে এটি বিশ্বকে দেখানো আমাদের উচিত। ২) মুসলিমদের একেবারেই নিজ