Skip to main content

"না স্তি ক তা, ধর্ম দ্রো হী তা, সংশয় বাদ আপনার দরজায় কড়া নাড়ছেঃ সজাগ আছেন তো?"(সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আযহারী) Syed Golam Kibria Azhari

 "না স্তি ক তা, ধর্ম দ্রো হী তা, সংশয় বাদ আপনার দরজায় কড়া নাড়ছেঃ সজাগ আছেন তো?"

---------------------------------------------------------

(সময়ের অপচয় মনে করে হলেও পড়ুন প্লিজ। বিশেষ করে সকল মতবাদের উলামায়ে কেরামগণ। পড়ুন, হৃদয় দিয়ে অনুভব করুন। ভাল লাগলে দয়া করে শেয়ার করুন। সেই মুতাবেক দয়া করে ব্যবস্থা নিন)



কদিন থেকে জরুরী কাজে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ এর রিচিতে আছি। আজ আসরের নামাজের পর ৫ জন সদ্য এইচ এস সি পাশ (কারো বয়সই মনে হল ১৮-১৯ পাড় হয়নি) ভাই হবিগঞ্জ শহর থেকে আমাদের বাড়িতে এলো আমি অধমের সাথে দেখা করতে। কদিন থেকেই তারা আসবে আসবে করছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে আসতে পারছিল না৷ 


যাইহোক, আমাদের বাড়ির পুকুর ঘাটে ছাউনির নিচে কুশল বিনিময়ের পর মূল আলোচনা শুরু করলাম। জিজ্ঞেস করলাম, মূলত কোন উদ্দেশ্যে আপনারা এসেছেন বলুন তো। উত্তরে তারা যা বলল তা শুনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না৷ দীর্ঘসময় আলোচনা হলো তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। আলহামদুলিল্লাহ, সমাধানমূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি৷ বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ আমরা ইন শা আল্লাহ অচিরেই নেব। সেগুলোই শেয়ার করব আজ ইন শা আল্লাহ সবার সাথে। 


তাদের একজন যা বলল তা আমি সংক্ষেপে বলছি।  "শায়খ! আমরা সদ্য দ্বীনের পথে এসেছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু না স্তি ক, সেকুলার (ধর্ম   হীন), সংশয় বাদীতে আমাদের হবিগঞ্জ শহর ভরে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালা কোনরকম বাঁচিয়ে রেখেছেন এসব থেকে। তারা বেশ কয়েকটি সংগঠন করেছে, লাইব্রেরী করেছে ইদানীং। ঢাকা থেকে তাদেরকে শেল্টার দেয় এমন বিভিন্ন বুদ্ধিজীবিরা এসে সেসব লাইব্রেরী উদ্বোধন করছে। তারা বৃন্দাবন সরকারী কলেজে তো ভালই প্রভাব বিস্তার করছে, এমনকি হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের (আমার প্রাক্তন স্কুল, যেখানে ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়ার পর আমি মাদ্রাসাতে গিয়েছি),  বি কে জি সি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সেভেন, এইট থেকে শুরু করে নাইন টেনের ছাত্র ছাত্রীদেরকেও তারা ভালভাবে কাছে টানছে এবং তাদের এসব সংশয় বাদ,  না স্তি ক্য বা দ, উগ্র সেকুলারিজম বা ধর্ম হীনতার পাঠ তাদেরকে দিচ্ছে। শায়খ, এমতাবস্থায় আমাদের করনীয় কী?"


আমি জানতাম, আ স্তি ক তা- না স্তি ক তা সংক্রান্ত বিষয়ে শুধুমাত্র ঢাকাসহ বিভাগীয় বড় বড় শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থাই মনে হয় বেশ খারাপ। মফস্বল শহরগুলোতেও যে না স্তি ক্য বাদ, সেকুলারিজম কিংবা সংশয় বাদের বিষবাষ্প এভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে সে সম্পর্কে আমার ধারণা তেমন ছিল না৷ 


আমরা যখন হবিগঞ্জ শহরে ছিলাম তখন বাম রাজনীতির সাথে জড়িত অল্প কজন ছেলেমেয়ে এসব বিষয়ে  নিজেদের মাঝে আলাপ আলোচনা করত, কিন্তু প্রকাশ্যে ধর্ম কিংবা ধর্মীয় অনুশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস তারা করত না৷ কিংবা তারা বাম রাজনীতিও করত আবার জুমুয়ার নামাজও পড়ত। কিন্তু এখন শুনছি পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ 


আমাদের সম্মানিত উলামায়ে কেরাম, মসজিদের খতিব, ইমাম সাহেবগণ, অভিভাবকবৃন্দ আমরা কী প্রস্তুত এসব মুকাবেলা করার জন্য? প্রস্তুত তো দূরে থাক আমি তো মনে করি আমাদের অন্তত ৯৯% উলামায়ে কেরাম এসব বিষয় সম্পর্কে অবগতই নন। অভিভাবকরাও এসব বিষয়ে উদাসীন। আমার সন্তানের চিন্তা চেতনা কি তা আমার জানতে হবে। এসব বিষয়ে অবহেলা করলে কোনভাবেই হবে না।


তারা বলছিল, "আমাদের হবিগঞ্জের মসজিদগুলোতে দেশের অন্যান্য স্থানের মতই জুমুয়ার দিনে গৎবাঁধা সেই পুরাতন বিষয়গুলোতেই আলোচনা চলে। নতুন যুগে নতুন সময়ে নতুন নতুন উদ্ভূত সমস্যাগুলো সম্পর্কে, কিশোর কিশোরী, যুবক যুবতীদের চিন্তা চেতনাগত বিষয়গুলো সম্পর্কে মোটেও খতিব- ইমাম সাহেবরা সচেতন নন৷ কাজেই এসব বিষয় নিয়ে তারা আলোচনাও করেন না"। 


আর তারা সচেতন হবেনই বা কিভাবে? মিম্বর সমূহের সাথে আম জনতার দূরত্ব তো যোজন যোজন মাইল। আমাদের উলামায়ে কেরামের অন্তত ৯৯% এর সাথে সাধারণ মানুষ কথা বলতেই কমফোর্টেবল ফিল করেন না৷ এর কারণ বহুবিধ। এখানে সেই আলোচনা করতে গেলে লেখা দীর্ঘ হয়ে যাবে। দয়া করে ইয়াং জেনারেশনকে কাছে টানুন। তাদের প্রশ্ন, সংশয় ও সমস্যাগুলো ধৈর্য্য ধরে শুনুন। চীৎকার, চেচামেচি, রাগারাগি ও ফতোয়াবাজী করে হবে না। বুদ্ধিবৃত্তিক জবাব দিতে হবে তাদের সংশয়গুলোর। 


কিন্তু আমরা তো নিজেদের ভেতরকার মতানৈক্যপূর্ণ মাসয়ালাগুলো নিয়েই আমাদের বেশিরভাগ সময় কাটাই। গত ৩ দিন আগে "ফেস দা পিপলে" তাবিজ ব্যবহার  শিরক না মুবাহ সংক্রান্ত ডিবেটের রিভিউতেও আমি লিখেছিলাম সেসব কথা।  


কীসব বিষয় নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপ আলোচনা, তর্ক বিতর্ক করে সময় নষ্ট করছি আমরা? 


আমাদের যুবক যুবতীরা দ্বীন ধর্ম ছেড়ে দিচ্ছে, তাদের বিশ্বাসে শত সংশয় ঢুকছে, বিভ্রান্তির শেষ নেই, আমাদের চরিত্র অধঃপতন থেকে অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে। স ম কা মী তা, মদ জুয়া, ইয়াবা, ফ্যান্সিডিল, জিনা ব্যভিচার, সূদ, ঘুষ, হারামে ছেয়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজ৷ সেসব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হোক। ব্যক্তিজীবনে, পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে কিভাবে কুরআন সুন্নাহ প্রতিষ্ঠা হবে সেই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হোক। আমাদের কিশোর ও যুবসমাজ অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে। 


না স্তি ক, ধর্ম বিরোধী, উগ্র সেকুলার, সংশয় বাদীদের আরোপিত অপবাদ, মিথ্যা অপপ্রচার, অপব্যাখ্যা  ও তাদের সংশয়গুলোর জবাব দেয়া হোক, লিখনীর মাধ্যমে, বক্তব্য আকারে। জুমুয়ার খুতবাতে এসব আলোচনা খুব জরুরি। ওয়াজিব হয়ে গেছে। পারিবারিক চাপে হলেও বেশিরভাগ ইয়াং জেনারেশন এখনো জুমুয়াতে অন্তত আসে৷ তখন তাদের কাছে সেসব কথা তুলে ধরতে হবে কুরআন সুন্নাহ এবং যুক্তির নিরিখে, আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে, যুগোপযোগী ভাষায়৷ সেজন্য আমরা দায়ীদের নিজেদেরকে ট্রেইন আপ করতে হবে। প্রচুর স্টাডি করতে হবে। এসবের জন্য সেমিনার, ওয়ার্ক শপ, কনফারেন্স দরকার। দরকার যুগোপযোগী সিলেবাস৷ https://response-to-anti-islam.com/ ওয়েবসাইটটি বাংলা ভাষাতে বেশ সমৃদ্ধ এই বিষয়ে। তাদের হেল্প নিতে পারেন। শত শত সংশয় ও অপবাদ অপব্যাখ্যার জবাব আছে সেখানে। আল্লাহ পাক এই ওয়েবসাইটের উদ্যোক্তা ও লেখকদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন। 


শুধুমাত্র অনলাইনে লেখা ও ভিডিও ছেড়ে আমরা এসব মুকাবেলা করতে পারব না৷ তাদেরকে সামনাসামনি অনেক বিষয়ের সমাধান দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে সুযোগ্য দায়ী গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নিজেদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। 


কিন্তু আমরা লিপ্ত  কে মিলাদে কিয়াম করছে আর কে করছে না এসব নিয়ে। নুর, মাটি, হাজির নাজির ইলমে গায়ব, আমিন জোরে আস্তে, সূরা ফাতিহা ইমামের পেছনে পড়ব কিনা, হাত কোথায় বাঁধব নামাজে, রফউল ইয়াদাইন করব কীনা এসব নিয়ে আমরা তুমুল ব্যস্ত৷ অথবা মিষ্টি মিষ্টি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনাতে ব্যস্ত৷ কিংবা মুসলমানকে ফতোয়া দিয়ে কা ফি র, মু শ রি ক অথবা বেদাতি বানাতে ব্যস্ত। 


বিভ্রান্ত শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের জন্য আমরা কিছুই করছি না বলতে গেলে। কিছুই না৷  


না স্তি ক তা ও সেকুলারিজমের সাথে স ম কা মী তা, জিনা ব্যভিচার, পর্দা হীনতা, অশ্লীলতা, মদ-জুয়াসহ আরো বহু বিষয় জড়িত৷ ধর্ম ছেড়ে দিলে এই জঘন্য কাজগুলো এমনিতেই সমাজে বেড়ে যাবে এবং তাই হচ্ছে৷


হ্যাঁ, আমি জানি এখন পাল্টা আঘাত আমার দিকে আসবে৷ শায়খ আপনিও তো বিতর্কিত বিষয়ে কথা বলেন। 


প্রিয় ভাই ও বোনেরা! আলহামদুলিল্লাহ, আমার অবস্থান সুস্পষ্ট। আমি কেবল বেয়াদবি ও গুস্তাখি, অথবা কোন কারণ ছাড়া মুসলমানকে কা ফি র, মু শ রি ক, বেদাতি ইত্যাদি ট্যাগ দেয়ার বিরুদ্ধে কথা বলি৷ জ্ঞানগত মতপার্থক্য বা ইলমি ইখতিলাফ বলতে যা বুঝায় তার প্রতি আমার পরিপূর্ণ সম্মান আছে। আমাদের জানা উচিত যে, প্রিয় নবীﷺ, আহলে বায়ত তথা নবী পরিবারের সদস্যগণ, খুলাফায়ে রাশিদিন, নবীজির পবিত্র স্ত্রীগণ, নবীজির সাথে সম্পর্কিত সকল কিছু, সাহাবায়ে কেরাম, আওলিয়াগনের শানে বেয়াদবি ও গুস্তাখিমূলক শব্দচয়ন ইত্যাদি আস্তে আস্তে আমাদেরকে ধর্ম হীনতার দিকেই নিয়ে যায়। 


এই বেয়াদবি ও গোস্তাখিমূলক কথা ও কাজ কোনভাবেই জ্ঞানগত মতপার্থক্য নয়৷ বরং ইমান আমল নষ্ট হওয়ার কারণ। সূরা হুজুরাতের শুরুর ৬ আয়াতের তাফসির পড়লেই আমরা তা ভালোভাবে বুঝতে পারব ইন শা আল্লাহ। 


একজন শায়খকে ওয়াজের মঞ্চে এক ভাই প্রশ্ন করলো, "প্রিয়নবী ﷺ তাঁর রওজা শরিফে কী জীবিত?" তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় সংক্ষেপে এক লাইনে জবাব দিয়ে দিলেন, "নবীর কবর বলতে হবে, রওজা বলা যাবে না৷ নবী কবরে মৃত!" ব্যাস শেষ। আর কোন কথা নেই৷ এখন আমাকে বলুন এই কথার জবাব কিভাবে না দিই? প্রকারান্তরে, ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে কেউ কেউ অকাট্য বিষয় প্রিয়নবীরﷺশাফায়াতকে অস্বীকার করছেন। নবীকে পাক বলা যাবে না বলছেন। এসব কেমন কথা? কিভাবে জবাব না দিই?  এই আদব চলে যাওয়া থেকেই তো ইসলামের স্যাংকটিটি বলতে যা বুঝায় তা যাওয়া শুরু হয়৷ আধ্যাত্মবাদ ভুলে জড়বাদীতার দিকে মানুষ যেতে শুরু করে। কাজেই আমি একাডেমিকেলি, সুন্দর ভাষায় সেসবের জবাব দিতে বাধ্য হই যা সূরা নাহলের ১২৫ নং আয়াতের দাবি।


আলহামদুলিল্লাহ, না স্তি ক্য বা দে র বিরুদ্ধেও লিখছি, কথা বলছি৷ কিন্তু ২-৪ জন সোচ্চার হলে কোনভাবেই হবে না৷ এই ফিতনা ভয়ানক ফিতনা৷ এটা আমাদেরকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেবে৷ পরিস্থিতি ভয়ানক৷ আমাদেরকে বুঝতে হবে কোন সেক্টরকে আমরা প্রাধান্য দেব। কোন ইস্যূগুলোকে আমাদের প্রাধান্য দেয়া উচিত। 


আমাদের মধ্যকার জ্ঞানগত মতপার্থক্য যেগুলো সেই ১২-১৩ শ বছর ধরে চলে আসছে, সেগুলো নিয়ে সারাক্ষণ পড়ে থাকার কোন মানে নাই৷ সম্মিলিতভাবে না স্তি ক্য বা দ এবং উগ্র সেকুলারিজম কিংবা সংশয়বাদের মুকাবেলা করা আবশ্যক হয়ে গেছে৷ কিশোর কিশোরী তরুণ তরুণীদের জন্য  নির্মল বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ শুরুতে ইসলামকে সহজ করে তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এই বিষয়ে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস আছে যা লেখার কলেবরকে বৃদ্ধি করবে বলে উল্লেখ করলাম না। আমরা ইসলামকে খুব কঠিন ও রুক্ষসূক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করছি ইয়াং জেনারেশনের সামনে। এটা হজম না করতে পেরে তারা ধর্ম থেকেই দূরে সড়ে যাচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতে হবে। 


শহরে শহরে অসংখ্য ইসলামিক স্কুল প্রয়োজন। অন্যান্য সকল বিষয়ের পাশাপাশি কুরআন সুন্নাহ ভালোভাবে ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা শিখে পড়ে বড় হবে। এটা খুবই জরুরী। 


আলহামদুলিল্লাহ, আমি দুটো দীর্ঘ ভিডিও সিরিজ শুরু করেছি৷ কুরআন মাজিদের সম্পূর্ণ তাফসির এবং প্রিয়নবী ﷺর সিরত শরীফ যা প্রতি শুক্র ও রবিবার সন্ধ্যা ৭টার আশেপাশে  Syed Gulam Kibria Azhari ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হয়৷ ইন শা আল্লাহ সেখানে, বিশেষ করে প্রিয় নবী ﷺর পবিত্র জীবনি বা সিরতের সিরিজে নবী করিম ﷺর আখলাক ও আমল সম্পর্কে, জীবনি সম্পর্কে যত মিথ্যা অপবাদ, অপব্যাখ্যা ও  সন্দেহের উদ্রেক তারা করে, সেগুলোর কুরআন সুন্নাহ ও যুক্তি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক জবাব আমি দেব ইন শা আল্লাহ বিস্তারিতভাবে। আবার সেগুলো আলাদা করে ছোট ছোট ক্লিপ আকারেও আসবে ইন শা আল্লাহ। 


কিন্তু আমাদেরকে তো সেই সিরিজগুলো দেখতে হবে, প্রচার করতে হবে। নিজেদের মধ্যকার বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে এবং মিষ্টি মিষ্টি বিষয়ে আলোচনা শুনতে আমাদের ভাল লাগে। কিন্তু না স্তি ক তা, সেকুলারিজম, ই স লা মী খে লা ফা ত, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, সংশয় বাদ সংক্রান্ত আলোচনা, লেখা আমরা পড়তেও রাজি না, শুনতেও রাজি না, দেখতেও রাজি না, শেয়ার করা তো দূরের কথা। আর স্টাডির কোন বিকল্প নেই। পড়তে হবে, জানতে হবে আমাদেরকে। প্রতিটি শহরের পাড়ায় পাড়ায় ই স লা মি ক বইয়ের লাইব্রেরী গড়ে তুলতে হবে। সাধারণ বইয়ের জন্য প্রতিটি জেলা শহরেই পাবলিক লাইব্রেরি থাকে যা যথেষ্ট। সর্বোপরি  সবাইকে সমস্বরে আওয়াজ তুলতে হবে। ই স লা মী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে ধর্ম সচেতন সকল কিশোর কিশোরী  ও যুবক যুবতীদেরকে। মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে একটাই, নিজেদের ইমান আমল রক্ষা করা এবং ইসলাম বিদ্বেষীদেরকে ইন্টেল্লেকচুয়ালী প্রতিহত করা৷


 সর্বোপরি ছোট ছোট মতানৈক্যপূর্ণ মাসয়ালা নিয়ে নিজেদের মাঝে মতপার্থক্য বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ নেতিবাচক কথাবার্তা, বেয়াদবি, গোস্তাখি এবং  মুসলমানদেরকে কা ফি র মুনাফিক বলে গালাগাল, মু শ রি ক বেদাতি বলে ট্যাগ দেয়া বন্ধ করতে হবে। 


আল্লাহ পাক আমাদের সকলের ইমান আমলের হেফাজত করুন। আমিন। 


কৃতঃ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আযহারী



Comments

Popular posts from this blog

মীলাদুন্নাবী (সা:) ও মিলাদ-কিয়ামের পক্ষে -বিপক্ষে দলিল ভিত্তিক বইসমূহ Books about mawlid and milaad

 মিলাদের বিপক্ষে ও পক্ষে দলিল ভিত্তিক বই সমূহ Books about mawlid and meelad আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছ।আমরা অনেকে একটা বিষয়ে অনেক কিছু বলি। এটা নিয়ে অনেক কিতাব,ওয়াজ ও বাহাস হয়েছে। সে বিষয়টি হল মিলাদুন্নবী ও মিলাদ-কেয়াম।আমরা অনেকে এটার পক্ষে, অনেকে এটার বিপক্ষে। সেই বিষয়ে  আমরা অনেকে বলি এটি বিদাত।এই বিষয়ে কিছু কিতাবের pdf দেয়া হল মিলাদের পক্ষে : ১.মিলাদুন্নবী ও মিলাদ মাহফিল (নাইমুল ইহসান বারাকাতি,Barakati publication) Download ২.কুরআন হাদিসের আলোকে মিলাদ-কিয়ামের অকাট্য দলিল(মুস্তফা হামিদি,ছারছীনা) http://www.mediafire.com/file/ntw372p7138k142/ ৩.বসন্তের প্রভাত (আমিরে আহলেসুন্নাত, ইলিয়াস আত্তার কাদেরি,মাকতাবাতুল মদীনা) Download ৪.সিরাজুম মুনিরা(আমিমুল ইহসান রাহ:) download ৫.মৌলুদের মাহফিল ও কিয়াম(আলভী আল মালেকি আল মাক্কি রাহ:) download ৬.বারাহিনুল কাতিয়া ফি আমালিল মাওলিদ(কারামত আলী জৈনপুরী [রাহঃ] ৭. মু মুলাখখাছ-মাওলানা কারামত আলী জৈনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি download ৮.হাকীকতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী https://drive.google.com/fil

কাশফুল মাহযুব Kashful mahzub pdf

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কাশফুল মাহযুব হল হযরত দাতা বখশ হাজভেরী রহঃ এর অন্যতম গ্রন্থ । এর বাংলা হল মারেফতের মর্মকথা । বাংলায় প্রকাশ করা হয়েছে রশিদ বুক হাউজ । মূল বইটি ফারসি ভাষায় লিখিত । download this book in bangla : kashful mahzoob in bangla Kashful mahzoob is a book which is written by data ali hazveri rh.  Kashful Mahjoob  was originally written in Persian language by Hazrat Daata Ganj Bakhsh Ali Hajveri but then translated into many other languages as well including Urdu. Complete name of Hazrat Daata Sahab is ‘Abul Hassan Ali Ibn Usman al-Jullabi al-Hajveri al-Ghaznawi’. The book is a master piece in Islamic Sufi genre. Daata Ali Hajveri has written many books but this book has become a symbol in Sufi books. A famous saying about this book is ‘if you want to find a true murshad (spiritual guider) for you then read this book and you will definitely find one’. Download in english   https://ia601901.us.archive.org/21/items/KashfulMahjoobEn/KashfulMahjoob-en.pdf

Books of Shaykh abdul qadir gilani(rah;) বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী (রাহ:) এর কিতাব /বই ডাউনলোড করুন

Download in urdu               Books of Shaykh abdul qadir gilani (rah;)               শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ) এর কিতাব                        বড়পীর শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানী(রাহঃ) আল্লাহর বড় ওলি ছিলেন । তিনি                                         শরীয়ত,তরিকত,মারেফত,  তাসাউফ ও তাযকিয়া বিষয়ে অনেক কিতাব লিখেছেন । সেসব কিতাবসমূহের বাংলা ,ইংরেজী,আরবী ও উর্দু       অনুবাদের pdf নিচে দেয়া হল  ১.সিররুল আসরার Sirr ul asrar In Bangla      Download 1   in English  http://data.nur.nu/Kutub/English/Jilani_Sirr-al-Asrar-1---5.pdf in urdu    https://ia801309.us.archive.org/27/items/sirr-ul-asrar/sirr-ul-asrar.pdf ২.গুনিয়াতুত তালেবীন             download in bangla         in english                                 In urdu               In arabic                                                                           ৩.ফতহুল গায়ব FUTUH AL GHAIB Download in english                in urdu ৪.আল ফাতহুর রব্বানি Fathur rabbani